অবশেষে ওহাবী মুখপত্র “মুহীনুল ইসলামের” ভাড়াটিয়া দালাল, মুসাইলামাতুল কাজ্জাবের উত্তরসূরী আব্দুল গনি সাহিত্য অর্বাচীন মিথ্যা বিশারদের মিথ্যাচারিতার স্বীকারোক্তি প্রদান

সংখ্যা: ১২৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

পাঠক! ওহাবী মুখপত্র মাসিক মুহীনুল ইসলামের ভাড়াটিয়া দালাল, মুসাইলামাতুল কায্যাবের যোগ্য উত্তরসূরী বেহায়া আব্দুল গনি খান মিথ্যা বিশারদ অক্টোবর’০৩ সংখ্যায় রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে যে ডাহা মিথ্যা ও কুৎসা রটনা করেছে। তার জবাবে প্রথমতঃ তার লেখা থেকেই একটি উক্তি তুলে ধারা যায়। সে বলেছে, একটি  প্রচলিত কথা আছে, ২/৪ গণ্ডা পিছার বাড়ি ও জুতার বাড়িতেই যে  মান যাবে, আমাদের মান এত ঠুকনো নয়।

মূলতঃ তার উদ্ধৃত কথাটি যে তর জন্যই সর্বোতভাবে প্রয়োজ্য তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কারণ ইতিপূর্বে বহুবার মাসিক আল বাইয়্যিনাত এ তার ছলনা, মিথ্যাচারীতার মূখোশ উম্মোচন  করা হয়েছে। এবং আব্দুল গণি সাহিত্য অর্বাচীন মিথ্যা বিশারদের মিথ্যা যে কত জঘন্য তার উদাহরণ হিসেবে আল বাইয়্যিনাত-এর ৭১তম সংখ্যা থেকে তুলে ধরা হল-

সাহিত্য বিশারদ দাবিদার আব্দুল গনি সাহিত্য অর্বাচীনের অন্তত: এটুুকু জ্ঞান থাকা দরকার যে সূর্যের আলো দেখার ক্ষেত্রে ত্রুটি কেবল পেঁচার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়। অন্য সবাই সুর্যের আলো দেখলেও পেচা নিজে চোখ বুজে মনে করে তার মত অন্য কেউই বুঝি সূর্য দেখেনা।

মুলত: কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক বলেছেন, “বাল হুম আদল” “অর্থাৎ” “পশুর চেয়ে অধম” এই আয়াত শরীফের আলোকে আব্দুল গনি সাহিত্য অর্বাচীনকে বলতে হয় পেচারও অধম।

এই অধম পেঁচা নাকি মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকা অফিসে এসে কাউকে দেখতে পায়নি। কেননা চোখে ছানি পড়লে কিংবা চোখ নষ্ট হলে অথবা অন্ধ হলে দুনিয়ার কিছু দেখবেনা এটাইতো সহজ কথা, সেক্ষেত্রে উক্ত ছানি পড়া নষ্ট চক্ষু ওয়ালা সাহিত্য অর্বাচীনও যে পত্রিকা অফিসে এসে কাউকে দেখতে পাবেনা এটাই বিশুদ্ধ কথা। তার ভাষায়, গিয়ে দেখি অফিসের দরজায় এক বিরাট তালা ঝুলানো। আশ পাশের লোকজনের কাছে জানতে পারলাম ঐ অফিসটা খোলার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই।যখন যে সময় ইচ্ছে লোকজন আসে যখন যে সময় ইচ্ছে চলে যায়। এর জবাবে বলতে হয় আব্দূল গনি সাহিত্য অর্বাচীন কেবল অধম পেঁচাই নয়, নিশ্চয়ই সে ট্যারা পেঁচা। সার্বক্ষণিক ব্যাপক জনসমাগমের দরুণ যেখানে আল বাইয়্যিনাত অফিসে আল্লাহ্ পাকের রহমতে কখনও তালাই পড়েনা, সেখানে এই অধম ট্যারা পেঁচা আব্দুল গনি কোত্থেকে অফিসে তালা দেখতে পেল তা বোধ করি তার নোংরা অন্তরই জানে। তবে এদের অন্তর যে কতবড় নোংরা, কত নিকৃষ্ট, কত জঘন্য,কত নীচ,কদাকার, কুৎসিত,কুটিল,বর্বর,অসভ্য তা মূলতঃ এদের অকল্পনীয় মিথ্যাচারের দ্বারাই ধরা পড়ে। জ্বলজ্যান্ত দিনকে এরা মিথ্যার জোরে রাত করে ফেলতে চায়। মানুষ না হয়ে ওরা এখন অধম পেঁচা হয়ে থাকতে চায়।

অধম পেঁচা আব্দুল গনি সাহিত্য অর্বাচীন আল বাইয়্যিনাত অফিসে তালা ঝুলতে দেখতে পেয়ে আশ পাশের লোকজনের কাছে জেনেছে যে,অফিস খোলার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। যে যখন ইচ্ছে আসে আবার যখন ইচ্ছে হয় চলে  যায়।

কিন্তু পত্রিকার অফিস ছাড়াও একই সাথে এখানে যে খানকা শরীফ আছে যেখানে সব সময় ব্যাপক লোক আনা গোনা করছে। এখানে যে একটি বড় মসজিদ রয়েছে।

যেখানে প্রায় সর্বক্ষণ কম করে হলেও শতাধিক সুন্নতী পোশাক ধারী ছুফি সাহেবরা থাকেন । এখানে যে একটা কিতাবী মাদ্রাসা আছে যে মাদ্রাসার ওস্তাদই প্রায় অর্ধশত। এখানে যে একটা হেফজখানা রয়েছে, হেফজখানা এবং কিতাবখানা মিলিয়ে অনেক ছাত্র। সব কিছু মিলিয়ে এখানে আল্লাহ পাক-এর রহমতে বড় এক আয়তন নিয়ে রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর সাহেব ক্বিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। শত শত লোকজন এখানে বিরাজ করছে। সেখানে অধম ট্যারা পেঁচা আব্দুল গনি সাহিত্য অর্বাচীন এর নজরে নাকি কাউকেই চোখে পড়েনি। উল্টো এই  পেঁচা তার ট্যারা চোখে নাকি দেখেছে তালা। ছি!ছি!নির্লজ্জ মিথ্যাচারিতার কি নিকৃষ্ট নিদর্শন?বলার অপেক্ষা রখেনা নিশ্চয়ই এই কমজাতদের জাতের মধ্যেই রয়েগেছে গন্ডগোল। নইলে নেহায়েত  বাইয়্যিনাতের বিরোধিতা করার জন্য এরা কি করে রাজারবাগের প্রতি অকল্পনীয় কায়দায় মিথ্যাচার করতে পারে?

পাঠক! মূলতঃ মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর বিরোধীতা করা, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা এখন আব্দুল গনি সাহিত্য অর্বাচীন, মিথ্যা বিশারদ-এর এখন একটা অনিবার্য পেশায় পরিগণিত হয়েছে।

আমরা ঝালকাঠীর আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর প্রতিনিধিরা, অক্টোবর/০৩ সংখ্যায় মাসিক মুহীনুল ইসলামে আব্দুল গনি সহিত্য অর্বাচিন, মিথ্যা বিশারদ যে অবর্ণনীয় মিথ্যাচার করেছে তার প্রতিবাদে স্থানীয়ভাবে তার সাথে যোগাযোগ করলে সে আমাদের কোন উত্তর দিতে পারিনি।

বিষয়টি তখন প্রকাশ পায় যে, সে বর্তমানে একজন অবসর প্রাপ্ত সামান্য স্কুল শিক্ষক। সে অসুস্থ। সে ঘর থেকে মোটেই বের হয়না। কানে কিছুই শোনেনা। এমনকি তার পারিবারিক বা নিজ প্রয়োজনীয় ভাব বিনিময়ও চলে কাগজ কলমে লিখার মধ্য দিয়ে।

এহেন অবস্থায় মুহীনুল ইসলাম তথা উলামায়ে ‘ছূ’দের পত্র-পত্রিকা থেকে তাকে কিছু টাকা-পয়সা দেয়া হয়, রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে লিখা-লিখির জন্য। কি লিখতে হবে তার নির্দেশিকাও তারা দিয়ে দেয়। এভাবেই মুহীনুল ইসলাম গং এর যতসামান্য টাকাকে তার এ সংকটাপন্ন অবস্থায় গ্রহণ করে সে নিজের ঈমান বিক্রী করে ফেলেছে। যেটা আল্লাহ্ পাক ইরশাদ ফরমান “তোমরা অল্প মূল্যের বিনিময়ে আমার আয়াত শরীফ বিক্রি করোনা।” আর হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “কোন লোকের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা বলে যা শুনে তাই প্রচার করে বেড়ায়।” দেখা যায় আব্দুল গণি সাহিত্য অর্বাচিন মিথ্যা বিশারদ এরই  পূর্ণ মিছদাক।

বিশেষতঃ সে এতই  দাজ্জালে কায্যাব যে তার এলাকা ঝালকাঠিতেও সে রাজারবাগ শরীফের মাহফিল সুষ্ঠভাবে সার্থকভাবে হয়েছে এটাও সে না জেনে বলেছে যে ঝালকাঠিতে রাজারবাগ শরীফের মাহফিল হয়নি। বানারীপাড়ায় হয়নি ইত্যাদি। এরূপ আরো অসংখ্য মিথ্যাচার করেছে। অবশেষে ঝালকাঠির প্রতক্ষ্যদর্শী ও সাক্ষীদের সামনে সে প্রকাশ্যে ধরা পড়ে স্বীকারোক্তি দেয়। যার হুবহু নিচে উল্লেখ করা হলো-

 স্বীকারোক্তিঃ

২৫/১০/০৩ ঈঃ

মাসিক মুঈনুল ইসলাম পত্রিকায় গত অক্টোবর সংখ্যায় ভন্ডপীরের কান্ড মাহফিল পণ্ড শিরোনামে আমার একটি লেখা প্রকাশ পেয়েছে। তাতে ঝালকাঠীর মাহফিল হতে পারেনি বলে উল্লেখিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পারলাম যে, সেখানে সুষ্ঠুভাবে মাহফিল হয়েছে। তাতে কোন গণ্ডগোল হয়নি।

ঝালকাঠীতে যে মাহফিল হয়েছে, তা সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। সে মাহফিলে কোন  গণ্ডগোল হয়নি। আমি পত্রিকান্তার জেনে ভন্ড শিরোনাম লিখেছি। (মূলতঃ বাচার জন্য সে একথা বলেছে। আর সে পত্রিকার রেফারেন্স দিয়েছে সেটা ওদেরই গোষ্ঠীর আর এক মিথ্যার বেসাতী পত্রিকা) আমি ভাল ভাবে না জেনে শুনে রাজারবাগী বা বাইয়্যিনাতের বিরুদ্ধে কিছু লেখবোনা।

আল মুজাহিদ কবি মুহাম্মদ আঃ গনি খান

সাহিত্য বিশারদ, পাঁজি পুথি পাড়া।

২৫/১০/০৩

পাঠক! ভাত একটা টিপলেই যেমন বোঝা যায় তেমনি আব্দুল গণি-এর স্বীকারোক্তি থেকেই প্রতীয়মান হয় সে ও তার লেখারত ফরমায়েশ দাতা তথা মুহীনুল ইসলাম গং কতদূর মিথ্যাবাদী। যেমন আল্লাহ্ পাক কুরআন শরীফে ইরশাদ করেছেন, “আপনার পূর্বে অন্য নবীদের সম্পর্কেও মিথ্যাচার করা হয়েছে।” সে ধারাবাহিকতায় আব্দুল গণি সাহিত্য অর্বাচিন মিথ্যা বিশারদও তদীয় মুখপত্র মাসিক মুহীনুল ইসলামের মাধ্যমে রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে অকল্পনীয় মিথ্যাচার করেছে। কিন্ত অবশেষে তার সে মিথ্যাচারের কথা সে নিজেই  স্বীকার করেছে, যার প্রমাণ পত্র এ লেখকের কাছে এবং মাসিক আল বাইয়্যিনাত অফিসে জমা আছে। প্রয়োজনে যে কোন সময়ে আমরা তার স্বহস্তে লিখা ও স্বাক্ষর করা সে স্বীকারোক্তি দেখাতে পারব।

প্রসঙ্গতঃ আল্লাহ্ পাক ইরশাদ ফরমান, “সত্য এসেছে মিথ্যা দূরীভূত হয়েছে নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই মিথ্যা দূরীভূত হওয়ার যোগ্য।”

-মুহম্মদ নাসির, চাঁদকাঠী, ঝালকাঠী।

 শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২২  

ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম  রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?    

চট্টলার বহুল প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের কাছে ক্ষমা চেয়ে তারা রক্ষা পেলো ॥

প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৩