শাইখুল হাদীছ দাবীকারী তথাকথিত হাদীছ শিক্ষা দানে, লিখায় এ হাদীছটি বহুবার উল্লেখ করেছেন, “যে যার সাথে মিল-মিশ বা সম্পর্ক রাখবে তার হাশর-নশর তার সাথে হবে। কুরআন শরীফেও এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। হযরত নূহ আলাইহিস্ সালাম যখন প্লাবনে ডুবন্ত স্বীয় ছেলেকে নিজের আহাল বলে উল্লেখ করলেন তখন আল্লাহ পাক ইরশাদ করলেন নিশ্চয় সে আপনার আহাল বা সম্প্রদায়ভুক্ত নয়।
তথাকথিত শাইখুল হাদীছ এতদিন যাবত পেপার পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে আসছেন যে, তারা বোমা হামলার পক্ষে নয়। জঙ্গীপনার পক্ষে নয়। এমনকি গত ১৩ই সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনেও তিনি বলেছেন, জঙ্গীদের সাথে ইসলামী রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই। (দৈনিক সমকাল ১৪-০৩-০৫)
যদিও কিছুদিন আগে মার্কিন দূতাবাস কর্তৃপক্ষ তার মেয়ে জামাইকে জঙ্গীপনার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে আটক করেছিল।
আর খুব বেশী দিন অতীত হয়নি, সবারই জানা রয়েছে যে, এই শাইখুল হদস গংই “আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান” এ শ্লোগানের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এমনকি দেশব্যাপী এই বোমা হামলার ক্রান্তিকালেও।
জিহাদে বুক টান করে
এগিয়ে যেতে হবে
–শায়খুল হাদিস
হবিগঞ্জ অফিস : ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও খেলাফত মজলিসের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক বলেছেন, এ দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হলে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হবে। জিহাদে বুক টান করে সামনে এগিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। প্রত্যেককে মুজাহিদ হতে হবে। আল্লাহর পথে জিহাদ করলে আল্লাহই সব বিপদ থেকে হেফাজত করবেন। তিনি বলেন, ইসলামের জন্য মরে গেলেও ক্ষতি নেই। আল্লাহর পথে শহীদদের জন্য বেহেস্ত নির্ধারিত। দুনিয়ায় কষ্ট করলেও আখেরাতে শান্তি আসবে। সোমবার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় জেলা খেলাফত মজলিসের দেওয়া সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শায়খুল হাদিস এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য এসব কথা মূলত জঙ্গীদেরই কথা। জঙ্গীরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে জিহাদ মনে করেই সারাদেশে বোমা হামলা চালিয়েছে। কিন্তু মুসলমান দেশে মুসলমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা যে জিহাদ নয় তা যেমন জঙ্গীরা মানেনি তেমনি শাইখুল হদছের বক্তব্যেও তা প্রতিফলিত হয়নি। বরং জঙ্গীদের বক্তব্য ও শাইখুল হদছের মন্তব্যের সুর এক ও অভিন্ন। সেক্ষেত্রে তথাকথিত শাইখুল হদছকে অকুণ্ঠভাবে তাদের নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করা যায়। প্রসঙ্গত গত ২১ শে সেপ্টেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বিষয়টি সুস্পষ্ট ধরা পড়ে।
শায়খুল হাদীছ ফোন করেছিলেন
কুষ্টিয়া পুলিশের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড
জঙ্গী নেতাকে আটকের পর ছেড়ে
দিয়েছে গোয়ালন্দ পুলিশ
কুষ্টিয়া, ২০ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব সংবাদদাতা॥ মোস্ট ওয়ান্টেড এক জঙ্গী নেতাকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানা পুলিশ। মাদ্রাসা শিক্ষক ইলিয়াস (৩৫) নামের জঙ্গী নেতাকে ছেড়ে দেয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেন তাকে ছেড়ে দেয়া হলো এ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় পুলিশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। তবে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জানান, জোটের একটি শরিক দলের নেতা শাইখুল হদছ ইলিয়াসকে ছেড়ে দেয়ার জন্য তার কাছে ফোন করেছিলেন।
১৭ আগস্টের বোমা হামলার পর কুষ্টিয়ায় শামসুল ও আকবর নামের দু’জঙ্গী নেতাকে প্রেফতার করা হয়।
অতএব, তথাকথিত শাইখুল হাদীছের বহু বিবৃত, “যে যার সাথে মিল রাখে সে সে সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত” এই হাদীছ শরীফের আলোকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও শাইখুল হদছ নির্বিবাদে শীর্ষ জঙ্গী হোতারূপে সাব্যস্ত হন। নাঊযুবিল্লাহি মিন যালিক।
-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান, ঢাকা
।
বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫