অবৈধ সন্তানের ন্যায় মুনাফিক গোষ্ঠীর অবৈধ লিফলেটের মিথ্যা প্রপাগান্ডার দাঁতভাঙ্গা জবাব ও প্রকাশ্য বাহাছের চ্যালেঞ্জ

সংখ্যা: ১৩০তম সংখ্যা | বিভাগ:

 কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, “আপনারা অন্যান্য স্ত্রীলোকের মত নন।” বলাবাহুল্য, হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের প্রতি উদ্দেশ্যে করে এ আয়াত শরীফ। যার দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, পৃথিবীর অন্য সব নারীদের থেকে হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের তাক্বওয়া, পরহিযগারী, মর্যাদা, মর্তবা, ফাযায়েল, ফযীলত সম্পূর্ণ আলাদা তথা বেমেছাল।  এখন প্রশ্ন হতে পারে, যেখানে আল্লাহ পাকই স্বীকৃতি দিচ্ছেন যে, তারা অন্যদের মত নন। তাহলে তাদের মধ্যে যিনি শ্রেষ্ঠা, যার বিছানায় ওহী নাযিল হতো সেই হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর জীবন মুবারকে ইফকের মত ঘটনা ঘটলো কেন? কেন তাঁর চরিত্রে কাফিররা অপবাদ দিলো? এবং সে অপবাদ মিথ্যা প্রমাণে কেন এত দেরী হলো? কেন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের থেকেই জবাব দিয়ে দিলেন না? হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পর্যন্ত বললেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যেখানে একটা মশা-মাছি আপনার শরীর মুবারকে বসেনা সেখানে এটা কি করে সম্ভব যে, আপনার যিনি সহধর্মীনি তিনি অন্যরকম হবেন।’ তা সত্ত্বেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ থাকলেন। এরপর ওহী নাযিল হলো এবং উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর চরিত্রের নিস্কুলুষতা ওহীর মাধ্যমে প্রতিপাদন হলো।  এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, আল্লাহ পাক-এর রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি জানতেন না? কেন তিনি নিশ্চুপ থাকলেন। মূলতঃ তিনি অপেক্ষা করলেন এজন্যই যে, যাতে ওহীর মাধ্যমে বিষয়টি ফায়সালা হয়ে যায়। যেন কারোরই কোনরূপ সন্দেহের অবকাশ না থাকে। তদ্রুপ বলতে হয় যে, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সম্পর্কে অবৈধ সন্তানের ন্যায়, মুনাফিক গোষ্ঠী যে অবৈধ লিফলেট ছাপিয়েছে, তাতে যে মিথ্যাচার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে মুনাফিক গোষ্ঠী সত্য জবাবদানের সুযোগ করে দিলো। যা মূলতঃ ভাল হয়েছে।  কারণ, মুনাফিকরা যদি এসব বিষয়ে মিথ্যা লিফলেট না ছড়াত তবে আমরা সেসব বিষয়ে আদৌ কোন আলোচনার প্রয়োজন মনে করতাম না। আর মুনাফিকরাই সে সুযোগ নিতে পারত। তারা গোপনে গোপনে ওয়াস্ওয়াসা দিতে পারত। তাতে কেউ কেউ সন্দেহেও পড়তে পারত। কিন্তু এখন তারা সে মিথ্যা লিফলেট ছড়ানোর ফলে আমাদের সে সম্পর্কে প্রকৃত সত্য তুলে ধরার সুযোগ হলো। এসব বিষয়ে রাজারবাগ শরীফ থেকে সংক্ষিপ্ত হলেও প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হলো যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই বুঝতে পারবে যে, রাজারবাগ শরীফ বিরোধীরা কত বড় মিথ্যাবাদী। যে সম্পর্কে আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, “কত কঠিন তাদের মুখের কথা। তারা যা বলে তা তো সবই মিথ্যা।” (সূরা কাহফ/৬)

আল্লাহ পাক “সূরা নূরে” ইরশাদ ফরমান, “নিশ্চয়ই যারা ভালবাসে যে, ঈমানদারগণের সম্বন্ধে কুৎসা রটে যাক, তাদের জন্য দুনিয়া এবং আখিরাতে কঠিন আযাব অপেক্ষা করছে। যা আল্লাহ পাক জানেন কিন্তু তোমরা অবগত নও।” এ আয়াত শরীফ থেকে প্রতিভাত হয় যে, প্রত্যেক যামানায় এমন কিছু লোক বা এমন একটা মহল থাকবে যাদের প্রবৃত্তিই হবে ওলীআল্লাহগণের নামে কুৎসা রটনা করা। এদের পরিচয়ের সচেতনতা সম্পর্কে সূরা নাস-এ আল্লাহ পাক আরো বলেন, “বলুন! আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের পালনকর্তার কাছে, … যে কুমন্ত্রনা দেয় মানুষের অন্তরে জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।” অর্থাৎ- জ্বিন শয়তান বা কুমন্ত্রণাকারীর পাশাপাশি এখানে মানুষ শয়তান বা কুমন্ত্রণাকারীর কথাও বলা হয়েছে। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “মানুষ ও জ্বিনের মধ্যে যারা দুষ্টপ্রকৃতির তাদেরকেই আমি নবী-রসূল (এবং তাঁদের নায়িব তথা হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ্)গণের শত্রু করে থাকি।” শত্রুতার কারণেই যিনি ইল্মের দিক থেকে সমস্ত ফক্বীহগণের কাছে পিতৃতুল্য, যিনি দায়িমীভাবে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুবারক দীদারে মশগুল ছিলেন, যিনি হাকীমে হাদীছ বা সমস্ত হাদীছ শরীফ আয়ত্বকারী ছিলেন, সারা পৃথিবীর অধিকাংশ লোক যার মাযহাবের অনুসারী, পৃথিবীর সমস্ত ইমামগণ যাকে এক বাক্যে ইমামে আ’যম, ইমামুল আইম্মা হিসেবে মেনে নিয়েছেন; সেই হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহিকেও বিরুদ্ধবাদীরা বিদ্য়াতী, মূর্খ, একটা ছহীহ্ হাদীছও জানেননা, ইসলামকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্নকারী, মনগড়া, বানিয়ে বানিয়ে ফতওয়া দানকারী, হালালকে হারামকারী, হারামকে হালালকারী ইত্যাদি অসংখ্য অপবাদে দোষী সাব্যস্ত করেছে। মিথ্যা প্রচারণা ও প্রপাগান্ডার কারণেই ইমামুল আইম্মা, হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহিকে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। ইমামুল মুজতাহিদীন হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিকেও দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।  মিথ্যা প্রচারণা ও প্রপাগান্ডার শিকার হয়েই ইমামুল আইম্মা, হুজ্জাতুল হাদীছ হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহিকে খলক্বে কুরআন-এর ফিৎনার কারণে জুলূম নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। ইমামুল মুহাদ্দিছীন হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ আরো অনেক ইমামগণও মিথ্যা প্রচারণা ও প্রপাগান্ডার কারণেই অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন ও গালমন্দ সহ্য করেছেন এবং অনেকে মাতৃভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।  মিথ্যা প্রচারণা ও প্রপাগান্ডার কারণে গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহিকে, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল হিন্দ ওয়াল মাশায়িখ, হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে, আফদ্বালুল আউলিয়া, কাইয়্যূমে আউয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে কাফির ফতওয়া দেয়া হয়েছে। এমনকি তাঁদেরকে জেল-জুলূমও সহ্য করতে হয়েছে। এ কারণেই হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে কাফির বলা হয়েছে। তাঁর লিখনীকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হয়েছে।

মিথ্যা প্রচারণা ও প্রপাগান্ডার জন্যই মুজাদ্দিদে যামান, শহীদে আ’যম হযরত সাইয়্যিদ আহমদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে অমানুষিক জুলূম সহ্য করে শেষ পর্যন্ত নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে শাহাদত বরণ করতে হয়েছে।  মিথ্যা প্রচারণা ও প্রপাগান্ডার কারণে গত চৌদ্দশত হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে কাফির ফতওয়া দেয়া হয়েছে। মূলতঃ মিথ্যা প্রচারণা ও প্রপাগান্ডা শেষ হয়ে যায়নি বরং তা ক্বিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে। যেমনঃ আফদ্বালুল আউলিয়া, ক্বাইয়্যুমে আউয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি হাদীছ শরীফের বরাত দিয়ে বর্ণনা করেন, “যখন হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস্ সালাম জাহির হবেন, তখন মদীনা শরীফের জনৈক মাওলানা তাঁকে বিদয়াতী ফতওয়া দিবে। হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস্ সালাম তখন সেই নামধারী মাওলানা, মুনাফিককে কতল করার নির্দেশ দিবেন।” এরই বাস্তব নিদর্শন হিসেবেই আমরা দেখি বর্তমান যামানায় যেসব মিথ্যাবাদী তথা দাজ্জালে কায্যাব রয়েছে, উলামায়ে ‘ছূ’ বা নিকৃষ্ট নামধারী আলিম রয়েছে, বিদয়াতী গোষ্ঠী রয়েছে, হারামকে হালালকারী রয়েছে, ইসলামের নামে ব্যবসায়ী গোষ্ঠী রয়েছে, হক্ব মত-পথ পরিত্যাগকারী, সুন্নতের আদর্শ বর্জনকারী, বেয়াদব ও মুনাফিক মহল রয়েছে তারাই মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরোধিতাকারী, তাঁর নামে মিথ্যা রটনাকারী, অপপ্রচারকারী। মূলতঃ এই কারণেই তারা রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ও মনগড়া প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মাসিক, সাপ্তাহিক, এমনকি জাতীয় দৈনিকে বহুদিন যাবত এরা নানা মিথ্যা প্রপাগান্ডা করে আসছে। সঙ্গত কারণেই উক্ত পত্র-পত্রিকায় অতঃপর প্রতিবাদ প্রত্রস্থ হবার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি এরা ঠিকানাবিহীন ভুয়া নামে একটি নতুন লিফলেট বের করেছে। নিম্নে তার জবাব দেয়া হলো- অবৈধ সন্তানের ন্যায় অবৈধ লিফলেট-এর দফাওয়ারী দাঁতভাঙ্গা জবাব হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে, যাচাই-বাছাই না করে তাই বলে বেড়ায়।”  (মিশকাত) মূলতঃ ‘আমরা ঢাকাবাসী নামের’ সংগঠনটি কোন মুনাফিক মহলের মিথ্যা দ্বারা প্ররোচিত হয়ে এই অবৈধ লিফলেট প্রকাশ করেছে। কিন্তু তাদের এই লিফলেট যে সম্পূর্ণই মিথ্যায় ভরপুর তা তারা নিজেরাও জানে। যে কারণে তাদের লিফলেটে তথাকথিত বেলায়েত হোসেন … নাম দেয়া হলেও তার ঠিকানা উল্লেখ করার সাহস তারা পায়নি। উল্লেখ্য, অবৈধ সন্তানের কোন নাম/ঠিকানা থাকেনা। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সুতরাং লোক সমাজে ঠিকানাবিহীন অবৈধ লিফলেটের কিইবা মূল্য থাকতে পারে?

১.০০ সুদ: সুদ প্রসঙ্গে রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর সম্পর্কে মুনাফিকরা যে বক্তব্য দিয়েছে তা ডাহা মিথ্যা। তৎপ্রেক্ষিতে বলতে হয় যে, পৃথিবীর যমীনে কোন মা এমন কোন সন্তান প্রসব করেনি, যে সন্তান প্রমাণ করতে পারবে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সুদভিত্তিক বা অন্য কোন প্রক্রিয়ায় লোন নিয়েছেন। মুহম্মদিয়া মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড-এর সম্মানিত শেয়ার হোল্ডার হিসেবে তাঁর হিস্যা নগদ টাকায়ই পরিশোধিত হয়েছে। তাঁর নামে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোন লোন নেই। হ্যাঁ, প্রতিষ্ঠান হিসেবে মুহম্মদিয়া মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড, উত্তরা ফিন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট থেকে লোন নিয়েছে। কাজেই সে প্রতিষ্ঠান থেকে কোন লোন নিলে তার জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, এমডি, ফিন্যান্স ডাইরেক্টর, পরিচালনা পরিষদ সংশ্লিষ্ট হতে পারে।  কিন্তু ‘হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী পরিশোধের মাধ্যমে নগদ টাকা দিয়ে সম্মানিত শেয়ার হোল্ডার হওয়ায়’ এ ঋণ কোনভাবেই তাঁর প্রতি সম্পৃক্ত হতে পারে না। কাজেই মিথ্যাবাদী মুনাফিক গোষ্ঠীর প্রতি চ্যালেঞ্জ রইল, তারা প্রমাণ করুক যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী কোন সুদী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ বা লোন নিয়েছেন। এটি প্রমাণ করতে পারলে তাদের পুরস্কৃত করা হবে। প্রকৃতপক্ষে মুনাফিকরাই সুদী লোনের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত।

২.০০ ক্বায়িম-মক্বামঃ ক্বায়িম-মক্বাম সম্পর্কে আশাদ্দুদ দরজার জাহিল মুনাফিকদের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল। কারণ হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর জন্য যে স্বর্ণালংকার, লাল কাপড় ও রেশমী কাপড় নিষেধ ছিল, তা  আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ৬৩ বৎসর বয়স মুবারক পর্যন্ত নয়। বরং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ৬৩ বৎসর বয়স মুবারক পর্যন্ত হযরত খাদিজাতুল কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা ও হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা ভারী স্বর্ণালংকার পড়তেন। উল্লেখ্য, মশহুর ইফকের ঘটনা; হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর পরিহিত গলার হারকে কেন্দ্র করে ঘটেছিল। আর প্রকৃতপক্ষে সাইয়্যিদাতুন্ নিসা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর ক্বায়িম-মক্বাম। মূলতঃ ভুল ও মনগড়া মাসয়ালা বর্ণনা করা জাহিল মুনাফিকদের দায়িমী স্বভাব।

৩.০০ স্বর্ণের ব্যবসাঃ   স্বর্ণের ব্যবসা সম্পর্কেও জাহিল মুনাফিকদের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল ও মিথ্যা। কারণ ব্যবসা হিসেবে স্বর্ণের ব্যবসা হারাম নয়, বরং সম্পূর্ণ হালাল। কোন স্বর্ণের ব্যবসায়ী মুরীদ যদি পীর ছাহেবকে বরকতের জন্য শেয়ার দেয় তবে সেটাও দোষের নয়। যে কোন হালাল ব্যবসাই হারাম হয়ে যায় তখন, যখন উক্ত ব্যবসায় অসদুপায় অবলম্বন করা হয়। যারা হারাম ও অবৈধ ব্যবসায় জড়িত তারা হালাল ব্যবসা বুঝবে না।  বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সব সময়ই সবাইকে হালাল মত ও পথের উপর চলতে আদেশ ও উপদেশ দিয়ে থাকেন এবং হাদিয়া দেয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, কেউ যদি তাঁকে হাদিয়া দিতে চায় তা যেন অবশ্যই হালাল থেকে দেয়। তারপরেও যদি কেউ পুরোপুরি হালাল মতে-পথে চলতে না পারে তার জন্য হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী দায়ী নন।

৪.০০ পীর ছাহেবের প্রতি আচরণঃ অবৈধ এ লিফলেটে পীর ছাহেবের প্রতি তাঁর আচরণ সম্পর্কেও মুনাফিকরা মিথ্যা উদগীরণ করেছে। মূলতঃ যাত্রাবাড়ীর পীর ছাহেব ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় জীবদ্দশায় সব সময়ই রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর প্রশংসায় উচ্চকিত কক্ত ছিলেন। তিনি ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওসীলায়ই তাঁর সিলসিলা জিন্দা থাকবে। আজ বাস্তবে তাই প্রমাণিত হয়েছে। একমাত্র রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওসীলায়ই দেশব্যাপী ও সারাবিশ্বে হিদায়েত ও সুন্নাহ্ জিন্দা করণের তথা তাজদীদের কাজ চলছে। মিথ্যা লিফলেটকারীরা এর ধারে কাছে থাকা দূরের কথা, এ তাজদীদের কণামাত্র উপলব্ধির বোধও তাদের নেই। উল্লেখ্য, যাত্রাবাড়ী পীর ছাহেব ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সাথে এখনও রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর প্রগাঢ় রূহানী সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে, যা একমাত্র কাশ্ফধারী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। যাদের রূহানিয়ত নেই, ক্বালবী যিকির জারি নেই তারা এর মর্ম বুঝবে কি করে? পেঁচা সূর্যের খবর রাখেনা। তাছাউফের এমন অনেক বিষয় আছে, যা সাধারণের বোধগোম্য নয়। রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী যাত্রাবাড়ীর পীর ছাহেব ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর জানাযায় যাননি। স্মরণীয় যে, যাত্রাবাড়ীর পীর ছাহেব ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহিও তাঁর পীর ছাহেব ক্বিবলা-এর জানাযায় যাননি। কাজেই এ বিষয়গুলো সাধারণভাবে বুঝে আসবে না। ইতিহাসে এ রকম নজির আরো বহু রয়েছে। যেমন, হযরত খাজা বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহিও তাঁর পীর ছাহেব হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশ্তী আজমিরী সানজিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর জানাযায় শরীক হননি।

৫.০০ দেয়াল লিখনঃ আল বাইয়্যিনাতের নামে যে দেয়াল লিখন হয় তা অনুমতি গ্রহণ সাপেক্ষেই হয়।

৬.০০ সি.এন.জিঃ সি.এন.জি সম্পর্কেও জাহিল মুনাফিকদের বক্তব্য কাট্টা মিথ্যা। দু’-তিনবার বিজ্ঞাপন মানেই নিয়মিত বিজ্ঞাপন নয়। আর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন মানেই হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর সাথে সংশ্লিষ্টতা নয়। ‘বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা গ্রহণের যে কথা বলা হয়েছে’ তাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। যদি তারা সত্যবাদী হয় তাহলে তাদের নাম/ঠিকানা ও ব্যক্তিগত অভিযোগ এবং স্বাক্ষর প্রকাশের জন্য চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করা হলো। আর সংশ্লিষ্ট কামালের জন্য হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর প্রতি দোষারোপ করা খাছ মুনাফিকী ও সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রপাগান্ডা। উক্ত প্রপাগান্ডা প্রমাণে পুরস্কৃত করা হবে। পরের অর্থ আত্মসাৎকারী মুনাফিক মিথ্যাবাদীরা কখনই তা প্রমাণ করতে সক্ষম হবেনা ইনশাআল্লাহ্।

৭.০০ গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎঃ  গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সম্পর্কে আশাদ্দুদ্ দরজার জাহিল মুনাফিকদের বক্তব্য ডাহা মিথ্যা। কারণ যে জায়গাটি ওয়াক্ফ করা হয়েছিল তা শুধু মসজিদের জন্যই নয় বরং তা মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, ঈদগাহ, জানাযা ইত্যাদি দ্বীনি কাজের জন্য ওয়াক্ফ করা হয়েছিল। আর যে জায়গাটি ওয়াক্ফ করা হয়; তখন সেখানে বাড়ী ছিল, আর বর্তমানে মাদ্রাসা রয়েছে। অতিসত্ত্বর সেখানে স্থায়ীভাবে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, ঈদগাহ ইত্যাদি স্থাপন করা হবে ইনশাআল্লাহ্।  কাজেই ওয়াকফকৃত জায়গায় মার্কেট তৈরীর প্রশ্নই উঠেনা। উল্লেখ্য, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ইত্যাদির জন্য আনিত গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ তৎসংশ্লিষ্ট কাজের জন্যই ব্যবহৃত হচ্ছে। বাসস্থানের জন্য আদৌ নয়। আর ঘুষ দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচারণা। তা সত্য প্রমাণ করতে পারলে পুরস্কৃত করা হবে। প্রকৃতপক্ষে মুনাফিকরাই গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বিল চুরি করে থাকে এবং ঘুষ দিতে অভ্যস্ত হয়েছে।

৮.০০ মাদ্রাসার এতিম ছাত্রঃ অবৈধ লিফলেটে বলা হয়েছে, “মাদ্রাসায় এতিম ছাত্র নাই বলেই জানা যায়। উপরন্তু প্রতিটি ছাত্রকে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা দিতে হয়” এটাও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ও কাট্টা মিথ্যা প্রচারণা।  প্রকৃত সত্য এই যে, মাদ্রাসায় এক তৃতীয়াংশ ছাত্রও ফুল বেতন দিতে পারে না। বরং মোট ছাত্রের বেতনে মাদ্রাসার দৈনন্দিন বাজারের টাকাও উঠেনা। অথচ এই মাদ্রাসায় অন্যান্য মাদ্রাসা থেকে সবচেয়ে ভাল খাবার খাওয়ানো হয়। বৎসর ব্যাপী নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী সপ্তাহে প্রায় দু’-তিন দিন পোলাও-গোশ্ত, বড় মাছ, খিচুড়ি ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর ভর্তুকী দিয়ে থাকেন হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী।  মুনাফিকরা এত বড় জাহিল যে, তারা এটাও জানেনা যে, মাদ্রাসায় শুধু এতিমরাই থাকেনা বরং গরীব-মিসকীন ছাত্রও রয়েছে তার সাথে মাদ্রাসার আনুসঙ্গিক বহুবিধ খরচও রয়েছে। সুতরাং যারা হারামখোর তারা এটা বুঝবে না।

৯.০০ বিলাসিতাঃ হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আমলের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর ছহীহ্ যে কোন নিয়তের ভিত্তিতে আমল সম্পদানই মূল বিষয়। যেমন, হাদীছ শরীফে প্রাণীর ছবি অঙ্কন নিষিদ্ধ, যার আধুনিক ছূরত ক্যামেরার ছবি যা অঙ্কনের মতোই হারাম। তদ্রুপ বাতাস খাওয়া সুন্নত, যার আধুনিক ছূরত হলো ইলেকট্রিক ফ্যান। এর আরো আধুনিক ছূরত হলো এসি। একইভাবে ঠাণ্ডা পানি পান করা সুন্নত, যার আধুনিক ছূরত ফ্রিজে রাখা ঠাণ্ডা পানি পান করা। বাতি জ্বালানো সুন্নত, আধুনিক ছূরত হলো ইলেকট্রিক বাতি বা লাইট। বর্তমানে দরস-তাদরীস, তা’লীম-তালক্বীনের জন্য বাতি বা লাইট ব্যবহার ফরযের অন্তর্ভুক্ত। ইত্যাদি সুন্নত ও ফরয সুষ্ঠুভাবে আদায়ের জন্য জেনারেটরও সুন্নত ও ফরযের অন্তর্ভুক্ত। আর সময়ের আবর্তনে ঘড়ি ব্যবহার যেমন ফরয, তেমনি বাহন হিসেবে কেবল গাড়ী সুন্নতই নয় বরং পর্দা রক্ষার জন্য এখন গাড়ী ব্যবহার ফরয। এগুলো বিলাসিতা নয় বরং পূর্ণাঙ্গভাবে শরীয়ত পালনের জন্য অতিপ্রয়োজনীয়। আর নিত্যব্যবহার্য ও অতিপ্রয়োজনীয় মাল-সামানাসহ সফর করা খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর একটি পোশাক মুবারকের মূল্য ছিল ২৭টি উটের মূল্যের সমান। বর্তমান হিসাবে যার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় কয়েক কোটি টাকা। (সুবহানাল্লাহ্) ইমামে আ’যম, হযরত আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি ৩০ দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) দিয়ে চাদর কিনে নিজে ব্যবহার করেছিলেন। হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রতিদিনই নতুন নতুন কাপড় পরিধান করতেন। তিনি এক কাপড় দু’বার ব্যবহার করতেন না। এসব বিষয় আরো অনেক ইমাম-মুজতাহিদগণ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে। তাঁরা সকলেই সুন্নতি জিন্দিগী যাপন করতেন। যারা ফকির-মিসকীন, ভিক্ষা করে খায় তারা এটা বুঝবে না। প্রকৃতপক্ষে মুনাফিকদের বাহ্যিক লেবাসটিই তাদের মুখোশ।

১০.০০ ব্রডওয়েঃ অবৈধ লিফলেটে প্রকাশিত ব্রডওয়ে সম্পর্কিত বক্তব্যও সম্পূর্ণ মিথ্যা। ব্রডওয়ের মালিকানা, চেয়ারম্যান ও এম.ডি বা কোন ডাইরেক্টর হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী নন। যদি তা না হয়ে থাকেন তবে ‘ব্রডওয়ে তাঁর মালিকানায়’ কি করে বলা যায়? ব্রডওয়ে চালুর সময় ছিল নেটওয়ার্ক ব্যবসার যুগ। সে প্রবাহে কয়েকজন মুরীদ একান্ত স্বচ্ছভাবে এ ব্যবসা চালু করেন। যাবতীয় সরকারী কাগজ-পত্র ঠিক করেই এ ব্যবসা শুরু হয় এবং তা এখনও চালু রয়েছে। উল্লেখ্য যে, থানায় জিডির দ্বারাই কোন বিষয়ে প্রতারণা প্রমাণিত হয়না। শত্রুতাবশতঃ থানায় সম্পাদিত জি.ডি দ্বারাই প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হয় কি? ব্রডওয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে এখনও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানা যেতে পারে। মুনাফিকরাই প্রতারণার মাধ্যমে পরের অর্থ আত্মসাৎ করে।

১১.০০ মহিলা সফরঃ এখানে মাহ্রাম শব্দের ব্যাখ্যা অনুধাবন করা আবশ্যক। শরীয়তের উছূল হলো যে, মহিলারা যদি কোন বিশেষ মহিলার অধীন হয় এবং তাঁর যদি মাহরাম থাকে তবে সেক্ষেত্রে ঐ মাহরামই যথেষ্ট। যেমন, বালিকা ও মহিলা মাদ্রাসা। এক্ষেত্রে অধ্যক্ষার অধীনে সমস্ত বালিকা, মহিলা ছাত্রী ও উস্তাদরা অবস্থান করে থাকে। যদি সাধারণ মাহরামের কথা বলা হয়, তবে মেয়েদের শরয়ী ইল্ম হাছিল যেমন বন্ধ হয়ে যাবে, তেমনই ইলমে তাছাউফ শিক্ষাও বন্ধ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আরো স্মর্তব্য যে, শুধুমাত্র মাহরাম হলেই শরীয়তে সফর জায়িয হবে তাও নয়। কারণ, মাহরামের স্বভাব-চরিত্র যদি ভাল না হয় তবে সে যত নিকটাত্মীয়ই হোক না কেন, সে কখনোই মাহরাম হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাহলে দেখা যাচ্ছে, শুধু ঢালাওভাবে মাহরাম শব্দের প্রয়োগ করলেই চলবে না। বরং মাহরামের অনেক অর্থ ও প্রয়োগের ক্ষেত্র রয়েছে।  রাজারবাগ শরীফের পক্ষ থেকে যে সব মেয়ে ও মহিলাগণ সফর করে থাকেন তা সম্পূর্ণ জায়িয ও সুন্নত। কারণ যারা সফরে যান তারা সবাই মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বালিকা ও মহিলা মাদ্রাসার মুহতারামা অধ্যক্ষা, সাইয়্যিদাতুন্ নিসা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া-এর জাহিরী ও বাতিনী ছাত্রী। কাজেই রাজারবাগ শরীফে যেমন তারা তাঁর অধীনে থাকেন, তেমনি সফরেও তারা তাঁরই অধীনে থাকেন। এছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মহিলাদের সরাসরি মাহরাম থাকে। আর ইতিহাস সাক্ষী যে, উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের অধীনে এরূপ অনেক মহিলা সফর করতেন, যাদের কোন সরাসরি মাহরাম থাকতেন না। অতএব, মূর্খলোক সব সময়ই বিপদের কারণ। আর আশাদ্দুদ্ দরজার জাহিলরা শরীয়তের মাসয়ালা বুঝবে কি করে?

১২.০০ লক্ববঃ  লক্বব ব্যবহার করা ভণ্ড পীরের আলামত নয় বরং তা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরামগণ ব্যবহার করেছেন। কাজেই লক্বব ব্যবহার তাঁদের সুন্নত। তাহলে কি জাহিল মুনাফিকরা এটা বলবে যে, তাঁরাও ভণ্ড। (নাউযুবিল্লাহ)  কাজেই সে মহান সুন্নত আদায়ের লক্ষ্যেই রাজারবাগ শরীফের পক্ষ থেকে লক্বব ব্যবহার করা হয়। কাজেই লক্বব ব্যবহার করা ভণ্ডামী বলা কাট্টা কুফরী। বিদ্য়াতী, গোমরাহ ও মুনাফিকরা সুন্নতের ক্বদর বুঝবে না।

১৩.০০ সি.আই.এঃ এ সম্পর্কেও মুনাফিকদের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। তালেবান, লাদেন, মোল্লা উমর, সাদ্দাম যে মুনাফিক, সি.আই.এ’র এজেন্ট সে বিষয়ে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এ বিস্তর দলীল-আদিল্লাহ দেয়া হয়েছে। তালেবানরা যে হেরোইন বিক্রি করে চলতো, লাদেন যে বুশ পরিবারের গৃহভৃত্য, সাদ্দাম যে সি.আই.এ’র সাথে সম্পর্কযুক্ত, সে ব্যাপারে শুধু মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এ-ই নয়, অন্যান্য আন্তর্জাতিক, জাতীয় পত্র-পত্রিকায়ও অনেক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। “একজন সি.আই.এ’র এজেন্ট বলতে পারবে, আরেকজন এজেন্ট কিনা” এটা আশাদ্দুদ্ দরজার জাহিলদের অবান্তর কথা। আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক মুনাফিক ও জাহান্নামী লোকদের চিহ্নিত করার অর্থ কি মুনাফিকরা এটা বলবে যে, তিনি মুনাফিক ও জাহান্নামী। (নাউযুবিল্লাহ) আশ্চর্য হলেও সত্য, মুনাফিকরা এত বড় জাহিল যে, তারা এটাও জানে না, সি.আই.এ’র এক এজেন্ট অপর এজেন্টের নাম প্রকাশ করেনা।

১৪.০০ সমালোচনাঃ  জাহিল মুনাফিকদের এ বক্তব্যও ডাহা মিথ্যা। কারণ, মাসিক আল বাইয়্যিনাতে কোন হক্কানী-রব্বানী আলিমগণের সমালোচনা করা হয়না। যারা ইসলামের নামে ছবি তোলে, বেপর্দা হয়, লংমার্চ করে, হরতাল করে, ব্লাসফেমী আইন চায়, মৌলবাদ দাবী করে, কুশপুত্তলিকা দাহ করে, হারামকে হালাল করে তাদেরকে মশহুর উলামা বলে গণ্য করা আর আল্লাহ পাক এবং তাঁর প্রিয়তম রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অস্বীকার করা একই কথা।  কাদিয়ানীদের মতোই এরা নব্য কাদিয়ানী সম্প্রদায়। এরা ভণ্ড পীরের চেয়েও অধম। কারণ ভন্ডরাতো ভণ্ড হিসেবে চিহ্নিতই আছে। আর এরা তা হয়নি বলেই এদের আসল ছূরতে চিহ্নিত করা হয়। আশাদ্দুদ দরজার জাহিল মুনাফিকদের এ মাসয়ালা না জানাটাই স্বাভাবিক যে, কার সমালোচনা করা শরীয়ত সমর্থিত।

১৫.০০ আয়ের উৎসঃ প্রথমতঃ বলতে হয়, কোন শরীফজাদার পক্ষে কারো প্রতি এরূপ প্রশ্ন আরোপ করা শরাফত নয় যে “আপনার আয়ের উৎস কি?” হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবই আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নতে ভরপুর এবং তিনি পরিপূর্ণরূপে শরীয়তের পাবন্দ। প্রেক্ষিত কারণে রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর জীবন-যাপন পদ্ধতি, তাঁর পানাহার, অর্থ উপায় ও খরচ এবং সর্বোপরি তাঁর মুবারক জীবন নির্বাহ সম্পর্কে অশুদ্ধতার প্রশ্ন তোলা বা সন্দেহ পোষণ করা গোমরাহী বৈ কিছু নয়।  স্মর্তব্য যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে মূলতঃ আল্লাহ পাক গায়িবী মদদে পরিচালিত করে থাকেন। এছাড়াও আল্লাহ পাক তাঁকে জন্মসূত্রেই বিশেষ পারিবারিক স্বচ্ছলতা দান করেছেন। পাশাপাশি হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, ‘হাদিয়া সর্বোৎকৃষ্ট হালাল।’ তাঁর লক্ষ লক্ষ মুরীদান আল্লাহ পাক এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুষ্টি ও বরকত হাছিলের লক্ষ্যে তাঁকে হালাল হাদিয়া দিয়ে থাকেন। সে সব হাদিয়ার বেশীর ভাগ তিনি নিয়মিতভাবে দ্বীনের পথে খরচ করে থাকেন। এখানে উল্লেখ্য, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে পরিবারের তরফ থেকেই তাঁর প্রাপ্য জায়গা বুঝিয়ে না দেয়া পর্যন্ত তার এওয়াজে চতুর্থ তলা দেয়া হয়েছে। কমজাত ও বেঈমানরাই গায়রুল্লাহকে রিযিকদাতা মনে করে। আরো উল্লেখ্য যে, মুহম্মদিয়া মেডিকেল, জুট বেলীং, আল আরাফা’ উত্তরা ফিন্যান্স, সি.এন.জি ইত্যাদি থেকে অর্থ সংগ্রহের যে কথা বলা হয়েছে, তা নিখাঁদ ঢালাও মিথ্যা ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ মাত্র। সে প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই অধিকাংশ ধারণা পাপের কারণ।”   আমরা আল্লাহ পাক-এর শুকরিয়া করি দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে ছুরিকাঘাত করার পর তিনি বিস্মিত হয়ে জানতে চাইলেন, ‘কে আমাকে ছুরিকাঘাত করল?’ জবাবে বলা হলো, ‘আবু লুলু নামে জনৈক মজূসী।’ তখন হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আল্লাহ পাক-এর শুকরিয়া আদায় করলেন যে, ‘আলহামদুলিল্লাহ। কোন মুসলমান আমাকে আঘাত করেননি।’ একইভাবে আমরাও শুকরিয়া আদায় করছি যে, ‘আমরা ঢাকাবাসী’র ব্যানারে ঠিকানাবিহীন যে অবৈধ মহল রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অবৈধ লিফলেট ছড়িয়েছে, মূলতঃ তারাই সুদী প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। তারা ছবি তোলা, লংমার্চ করা, বেপর্দা হওয়া, হরতাল করা, মৌলবাদ দাবী করা, ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, নারী নেতৃত্ব সমর্থন করা, পরের জায়গা অবৈধভাবে দখল করা, অসৎ চরিত্রতা, পরের স্ত্রীকে অবৈধভাবে বিয়ে করা, এতিম-মিসকীনের অর্থ আত্মসাৎ করা, গ্যাস, পানি, ইলেকট্রিক বিল চুরি করা, ঘুষ দেয়া ও নেয়া, অসৎ ও অবৈধ ব্যবসা করা, আত্মীয়দের অর্থ আত্মসাৎ করা, সুদী ব্যাংকের লোনের টাকা আত্মসাৎ করা ইত্যাদি হাজারো হারাম কাজের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাদের ক্বলবে যিকির জারি না থাকায় তারা আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে তায়াল্লুকবিহীন, নফসের দাস, শয়তানের গোলাম তথা মিথ্যাবাদী ও মুনাফিক। তাদের সকল কাজ, কথা, আমল, লিখা দুনিয়া হাছিলের সাথে সম্পৃক্ত।

কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষী- নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদীরাই মুনাফিক এবং মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” আরো ইরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদীদের উপর লা’নত।”  কাজেই, সেদিন বেশী দূরে নয় যেদিন এই মিথ্যাবাদী মুনাফিকরা খোদায়ী লা’নত তথা গযবে পড়ে নিজেরাই ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আমাদের শত ধিক্কার এদের প্রতি। কারণ এরা ইসলাম ধর্মের ক্ষতি সাধনে বিধর্মীদের নীল নকশা বাস্তবায়নের নেপথ্য যোগানদার। বাণিজ্য-বেসাতির নামে ইসলামের মুখোশ পরে যারা আল্লাহ পাক এবং তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দুষমণে পরিগণিত হয়েছে, সে জাহিল ও মুনাফিকদের প্রতি আমাদের শত ধিক্কার।  আল্লাহ পাক এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট থেকে লা’নতগ্রস্ত হয়ে আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থল, তাঁর মাহবুব ওলী রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কুৎসা রটনা করে তাঁর কোনই ক্ষতি সাধন করা যায়না। বরং কুৎসা রটনাকারীরাই ক্রমান্বয়ে সমূলে বিধ্বংস হয়। পরকালে তাদের জন্য নির্ধারিত আযাব ও গযবের পরিমাণ সীমাহীন। দুনিয়াতেই তার আলামত পরিদৃষ্ট হয়ে থাকে। যেমন, বিদ্বেষ ও অপবাদকারীদের আচরণ, বিচরণ, কথা, কাজ, আমল, লিখা এমনকি তাদের চেহারাতেও সে কুৎসিত আভাস স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। বিদ্য়াতীদের কখনো তওবা নছীব হয় না। আর আশাদ্দুদ্ দরজার জাহিল মুনাফিকরা এই মাসয়ালাও জানে না যে, ‘একজনের গুনাহ্র জন্য আরেকজন দায়ী নয়।’  আল্লাহ পাক বান্দাকে সৃষ্টি করেছেন তারপরেও বান্দা আল্লাহ পাককে অমান্য করে সেজন্য আল্লাহ পাক দায়ী নন। উবাই বিন সুলূল আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উম্মত দাবী করার পরও আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে  অমান্য করেছে সেজন্য আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দায়ী নন।  একইভাবে কোন ব্যক্তি মুরীদ দাবী করার পরও পীর ছাহেবকে অমান্য করলে সেজন্য পীর ছাহেব দায়ী নন। তাহলে কি মুনাফিকরা বলতে চায় যে, কাবীলের জন্য হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম এবং কেনানের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস্ সালাম দায়ী? (নাউযুবিল্লাহ) অতএব, “যারা আল্লাহ পাক-এর ওলীগণের বিরোধিতা করে, আল্লাহ পাক তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন”- এ হাদীছ শরীফের প্রেক্ষিতে আলোচ্য ঠিকানাহীন লিফলেট প্রচারকারীরা সচেতন না হলে আল্লাহ পাক-এর তরফ থেকে তাদের ধ্বংস অনিবার্য। উল্লেখ্য, রাজারবাগ শরীফ-এর বিরোধীদের প্রতি বহু পূর্ব থেকেই প্রকাশ্য বাহাছের চ্যালেঞ্জ দিয়ে আসা হচ্ছে। একইভাবে এই অবৈধ লিফলেট প্রকাশকারীদের প্রতিও প্রকাশ্য বাহাছের চ্যালেঞ্জ রইল। জ্ঞাতব্য যে, ইনশাআল্লাহ আগামী সংখ্যা থেকে মাসিক আল বাইয়্যিনাতে মুনাফিকগোষ্ঠীর অবৈধ লিফলেটে বর্ণিত প্রতিটি মিথ্যাচারের আরোও বিস্তারিত জবাব দেয়া হবে। প্রচারে-

উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত ৫, আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ,

ঢাকা-১২১৭,  মোবাইলঃ ০১৭১-২৬৪৬৯৪, ০১৭২-০৫৭৬০৫, ০১৭১-২৩৮৪৪৭।

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ