অশ্লীলতার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ উলামায়ে ছূদের জন্য আরো এক দৃষ্টান্ত   মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর গত সংখ্যায় মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান ছাহেবের লিখিত ‘প্রসঙ্গ ছবিঃ প্রশ্নের কাঠগড়ায় নিজ লেখনীর দ্বারা প্রকাশ্য মুনাফিক প্রতিভাত” শীর্ষক মতামতটি সঙ্গতকারণেই পাঠকমহলে আলোড়ন তৈরী করেছে।

সংখ্যা: ১৩২তম সংখ্যা | বিভাগ:

এতে হাদীছ শরীফের বরাতে বলা হয়েছে যে, মাওলানাদের ওয়ায শুনে, আমল করে সাধারন মানুষ জান্নাতে যাবে কিন্তু মাওলানারা নিজেদের করা ওয়ায অনুযায়ী আমল না করার জন্য জাহান্নামে যাবে।”  এই হাদীছ শরীফের প্রেক্ষিতে প্রতিভাত হয়েছে, অশ্লীলতার বিরুদ্ধে আমাদের তথাকথিত ইসলামী রাজনীতিকরা নিশ্চুপ থাকলেও চলচ্চিত্রের লাকেরা পর্যন্ত সোচ্চার হয়েছে। কিছুটা হলেও তারাই মাওলানাদের ওয়াযের উপর আমল করছে আর মাওলানারা তথা তথাকথিত ইসলামী রাজনীতিকরা কোন আওয়াজ না তুলে, কিছু না বলে, কোন আন্দোলন না করে, সরকারের কাছে দাবী না জানিয়ে, কোন পদক্ষেপ না নিয়ে, নিজেদের ওয়ায অনুযায়ী নিজেরা আমল না করে; নিজেদের ওয়ায অনুযায়ী নিজেরাই জাহান্নামাী হচ্ছে সে বিষয়টি প্রমাণ সাপেক্ষে উক্ত মতামতে ব্যক্ত হয়েছে।  সঙ্গতকারণেই উক্ত মতাতটির সাথে পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে এখানে আরো একটি উদাহরণ দেয়া গেলোঃ

অশ্লীলতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে শাহজাদপুরের হল মালিকরাঃ   শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ চলচ্চিত্রের অশ্লীলতার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরের সিনেমা হল মালিকরা। ছবি, অশ্লীল পোস্টার, কাটপিস ছবি প্রদর্শন করা হবেনা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আজ (শুক্রবার) থেকেই শাহজাদপুরে অশ্লীল চলচ্চিত্রের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। (মানবজমিন ৩ জুলাই/২০০৪)

পাঠক! ইসলামে একটা কথা রয়েছে যে, “আম লোকের জন্য যেটা ছওয়াবের কাজ, খাছ লোকের জন্য সেটা গুণাহ্র কাজ।” অর্থাৎ সাধারন লোক যদি আমল করে ‘এক’ তবে খাছ লোক তথা আলিম তাদের আমল করতে হবে ‘একশ।’      সেক্ষেত্রে যারা সিনেমা হল মালিক তারাই যদি অশ্লীলতার বিরুদ্ধে নিজ থেকে এগিয়ে আসতে পারে তাহলে “পুরো সিনেমাই যে হারাম বা প্রাণীর ছবিভিত্তিক সিনেমা, টিভিই যে হারাম” এই শিক্ষা তাদের দিলে, হতে পারত- তারা অনুপ্রাণিত হত, সিনেমা, টিভি শিল্পে থেকে তারা সরে আসত। কিন্তু না তথাকথিত মাওলানা, মুফতী, শাইখুল হাদীছ গং নিজেরাই ছবি  তুলছে, টিভিতে প্রোগ্রাম করছে, এমনকি সিনেমা হল উদ্বোধনে মিলাদও পড়ছে। (নাউযুবিল্লাহ)    অথচ এরাই ওয়াযে, লেখনীতে কুরআন-সুন্নাহ্র কথা বলছে, কুরআনী আইনের কথা বলছে, ইসলামী হুকুম জারীর কথা বলছে। কিন্তু বাস্তবে সিনেমা-টিভি তথা অশ্লীলতার বিরূদ্ধে তাদের কোন কর্মকাণ্ড নেই। কাজেই এরাই যে মিরাজ শরীফে উল্লিখিত জাহান্নামী মাওলানা তা সহজেই বলা যায়।

মুহম্মদ তারীফুর রহমান, ঢাকা।

 

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ