আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদন: লাইলাতুর রগায়িবের মর্যাদা লক্ষ কোটি শবে বরাত ও শবে ক্বদরের চেয়েও বেশী।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুযাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম, কুতুবুল আলম আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফের মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী রাজারবাগ শরীফে বিশেষ আলোচনা মজলিশে একথা বলেন।
ইসলামের মহান দিবসমূহের মধ্যে একটি অন্যতম মর্যাদপূর্ণ দিবস হচ্ছে- লাইলাতুর রগায়িব। এ দিনের ফযীলত সম্পর্কে মুযাদ্দিদে আ’যম বলেন, লাইলাতুর রগায়িব’ হচ্ছে রজব মাসের পহেলা জুমুয়ার রাত্রি। এ পবিত্র রাত্রিতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাস্্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সম্মানিত আম্মাজন হযরত আমিনা আলাইহিাস্ সালাম-এর নিকট তাশরীফ নেন।
মিরাজ শরীফে সরকারের ইসলামী অনুভূতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিরাজ শরীফ উপলক্ষে ২৭ রজব সরকারী ছুটি ঘোষণা করা প্রত্যেক মুসলিম সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য।
তিনি বলেন, ১লা মে, বৌদ্ধ পূর্ণিমা, দুর্গাপুজাসহ বিধর্মীদের বিভিন্ন দিনে মুসলিম বিশ্বে ছুটি পালন করা হয় যার সাথে মুসলমানদের ধর্মীয় কোন ধরনের সম্পর্ক নেই এমন কি মুসলমানদের এ ধরনের ছুটির কোন প্রয়োজনও নেই। কেননা, এসব কথিত দিনের মধ্যে মুসলমানদের ধর্মীয় কোন জজবা বা চেতনা নেই অথচ ইসলামের বিশেষ বিশেষ মহান দিবসের মধ্যে মুসলমানদের অনেক বেশী দ্বীনি জজবা ও চেতনা রয়েছে। ঐ সব মুবারক দিবসে মুসলমানদের চিন্তা ও নেক আমলের অবকাশ রয়েছে।
তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে প্রত্যেকেরই উচিৎ মুসলিম ঐতিহ্য ও ফযীলতপূর্ণ দিন সম্পর্কে সবিশেষ অবগত থাকা। ঐসব দিনের চেতনা বোধ ও মর্যাদা-মর্তবা অনুধাবনে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত থাকা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের মসজিদে ছবি তোলার পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য এক শ্রেণীর উলামায়ে ছূ’রা সমর্থন ব্যক্ত করলে এর প্রতিবাদে মুজাদ্দিদে আ’যম বলেন, মসজিদে ছবি তোলার পক্ষে প্রচারণা চালানোর অর্থ হলো আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরোধিতা করা। আর আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরোধিতা করা কুফরী। যে কুফরী করে সে মুরতাদ হয়ে যায়। মুরতাদের হজ্জ ও ওয়ারিছ সত্ত্ব বাতিল হবে, স্ত্রী তালাক হবে। আর এ অবস্থায় মারা গেলে তার জানাযা, কাফন-দাফন কোনটাই জায়িয নেই। বরং তাকে শৃগাল-কুকুরের ন্যায় গর্তে পুঁতে রাখতে হবে।
মূলতঃ সব ক্ষেত্রেই মুসলমানের ধর্মীয় জজবা ও দ্বীনি চেতনা থাকা আবশ্যক। এজন্যে প্রয়োজন হক্কানী-রব্বানী ওলী আল্লাহর তথা যামানার মুযাদ্দিদে আ’যমের নেক ছোহবত। আল্লাহ পাক সবাইকে মুযাদ্দিদে আ’যমের উছীলায় সে নিয়ামত নছীব করুন।
উল্লেখ্য, গত ১লা রজব, সোমবার, মুতাবিক ১৬ই জুলাই রাজারবাগ সুন্নতি জামে মসজিদে পবিত্র সামার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথি হিসেবে মুবারক নছীহত পেশা, দুয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ