আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একাই ইসলামের সবক্ষেত্রে আঞ্জাম দিতে পারতেন,
যুদ্ধ-জিহাদের সমস্ত খরচ বহন করতে পারতেন; কিন্তু তিনি যেহেতু উম্মতের মাশুক ও আশিক, উম্মতের অধিক কল্যাণ চিন্তা করতেন তাই তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমকে সমস্ত নেক কাজে অংশীদার করেছেন যেন প্রত্যেকেই ফায়দা হাছিল করতে পারেন।
ঠিক একইভাবে যারা খালিছ আল্লাহ পাক-এর ওলী তথা শায়খ বা মুর্শিদ তাঁরাও একাই সমস্ত কিছু করতে পারেন কিন্তু তাঁরাও সেই সুন্নত পালন এবং মুরীদকে অধিকতর ফায়দা দানের উদ্দেশ্যে সমস্ত নেক কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে থাকেন।
ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউসুল আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদে রসূল, মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বিশেষ মজলিসে নছীহত কালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, আফজালুন্ নাছ, বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কোন্ আমলের দ্বারা এত উচ্চ মর্যাদা হাছিল করেছেন? বরং তিনি আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্যে তাঁর মাল-সম্পদ, জান সবকিছু অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। যে কারণে তিনি আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এত নৈকট্য, মুহব্বত, নিছবত, সন্তুষ্টি হাছিল করেছেন।
দাইলামী শরীফের হাদীছ শরীফ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “উম্মতের মাঝে নবী যেমন, মুরীদের মাঝে শায়খ বা মুর্শিদ তেমন।”
কাজেই প্রত্যেক মুরীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হবে, নিজের ফায়দা হবে মনে করে মাল-সম্পদ, জান দিয়ে শায়খ বা মুর্শিদের খিদমত করা এবং শায়খ বা মুর্শিদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা ও হুস্নে যন পোষণ করা।
তিনি বলেন, শায়খ বা মুর্শিদের মুরীদের কাছে কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু মুরীদের জাহির-বাতিন প্রতিক্ষেত্রে শায়খ বা মুর্শিদের প্রয়োজন রয়েছে। শায়খ বা মুর্শিদের একটা মুরীদও যদি না থাকে তবুও তিনি মুর্শিদ হিসেবেই থাকবেন কিন্তু মুর্শিদ ব্যতীত কেউ মুরীদ থাকতে পারবেনা।
তিনি বলেন, মুর্শিদ একমাত্র আল্লাহ পাক এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মোহতাজ। এছাড়া তিনি কোন ক্ষেত্রেই মুরীদ বা অন্যকিছুর মোহতাজ নন। কিন্তু মুরীদ প্রতিক্ষেত্রেই শায়খ বা মুর্শিদের মোহতাজ।
তিনি বলেন, মুরীদের জন্য ফরজ-ওয়াজিব হচ্ছে তার জাহিরী-বাতিনী তরক্কী হাছিলের জন্যে মাল-সম্পদ ও জান দিয়ে শায়খ বা মুর্শিদের খিদমত করা। কিন্তু মুর্শিদের ইখতিয়ার তিনি ইচ্ছা করলে তা কবুলও করতে পারেন আবার ফেরৎও দিতে পারেন। তবে মুরীদের দায়িত্ব হচ্ছে শায়খ বা মুর্শিদকে যে কোন উপায়ে সন্তুষ্ট করার কোশেশ করা।
তিনি বলেন, কোন মুরীদ যদি এ আক্বীদা পোষণ করে যে, “আমি মুর্শিদের খেদমত করে তাঁর উপকার করলাম”- তাহলে মুরীদের জন্যে ফরজ-ওয়াজিব হবে এ ধরনের আক্বীদা থেকে খালিছ তওবা করত: বিশুদ্ধ আক্বীদা ও হুস্নে যন পোষণ করা। অন্যথায় সে মুরীদ কস্মিনকালেও ফায়দা হাছিল করাতো দূরের কথা সে মুরীদই থাকতে পারবেনা।
আল বাইয়্যিনাত সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ