আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

সংখ্যা: ১৪২তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ আল্লাহ পাক-এর হাবীব আখিরী রসূল,         সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দায়িমী হুযূরী তথা অনুক্ষণ স্মরণ ব্যতীত কারো পক্ষে হাক্বীক্বী মুমিন হওয়া সম্ভব নয়। ইমামে আযম, মুজাদ্দিদে আযম, হাবীবে আযম, আওলাদে রসূল, ঢাকা রাজারবাগ শরীফের মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর বিশেষ মজলিসে আলোচনা কালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, একটা লোককে চব্বিশ ঘণ্টা বরং হায়াতের পূর্ব থেকে মৃত্যুর পর পর্যন্ত অনুক্ষণ আল্লাহ পাক-এর স্মরণে থাকতে হবে। যেমন আল্লাহ পাককে সব জায়গায় হাযির-নাযির জানে, তাঁর ধ্যানে-খেয়ালে থাকে, হুযূরীতে থাকে অনুরূপ সবসময় আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দায়িমী হুযূরীতে, ধ্যানে-খেয়ালে, স্মরণে থাকতে হবে।            যেমন, অযু, গোসল, নামায, রোযা, হজ্জ-যাকাত, মুয়ামালাত, মুয়াশারাত, প্রতি ক্ষেত্রে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুসরণ-এর কারণে স্মরণ আসতেই হবে।  যেহেতু আল্লাহ পাক বলেছেন, তোমাদের জন্য তোমাদের রসূল-এর মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।  সে জন্য সব ক্ষেত্রেই আদর্শ অনুসরণ করতে গিয়ে আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর স্মরণ হয়ে যাবে। সারাক্ষণ যেমন আল্লাহ পাক-এর দায়িমী হুযূরীতে থাকতে হবে। ইবাদত-বন্দেগী, সুরা-ক্বিরাত পাঠ ইত্যাদি প্রতিক্ষেত্রে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুসরণের মাধ্যমে দায়িমী হুযূরী থাকতে হবে। অন্যথায় তার কোন ইবাদত বন্দেগী দায়েমী হুযূরী তথা অনুসরণ ব্যতীত কবুল হবে না। তিনি বলেন, ওহাবী, খারিজী তথা বাতিল ও বদ আক্বীদা বিশিষ্ট লোকেরা বলে থাকে, নামাযে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম-এর নাম মুবারক স্মরণ হওয়া কুফরী শেরেকী। (নাউযুবিল্লাহ) তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাইরুল্লাহ নন। বরং তিনি সৃষ্টির মূল, সৃষ্টি হিসেবে প্রথম।  কারণ, যখন কিছুই ছিল না তখনও তিনি আল্লাহ পাক-এর কুদরতের মধ্যে ছিলেন। আর যখন কিছুই থাকবে না তখনও তিনি আল্লাহ পাক-এর কুদরতের মধ্যে থাকবেন। 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক এবং তাঁর ফেরেশ্তাগণ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন। যেহেতু আল্লাহ পাক ক্বাদিম এবং সবসময় থাকবেন, আর আল্লাহ পাক-এর হাবীব যদি অনন্তকাল ধরে না থাকেন তাহলে আল্লাহ পাক কার উপর ছলাত-সালাম পাঠ করবেন?  আর গাইরুল্লাহ হচ্ছে ঐ জিনিস যা আল্লাহ পাক-এর স্মরণ থেকে গাফিল করে দেয়। অথচ আল্লাহ-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর স্মরণ তথা নাম মুবারক উচ্চারণ ব্যতীত কেউই ঈমানদার হতে পারে না। তিনি হচ্ছেন ঈমান। তাহলে কি করে তিনি গাইরুল্লাহ হতে পারেন? মূলতঃ আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর শানে এসব কথা হলো কাট্টা কুফরী। তিনি বলেন, এটাও ইজমা হয়ে গেছে যে, কেউ যদি আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর বিন্দু থেকে বিন্দুতম ইহানত করে তাহলে সে কাট্টা কাফির ও চিরজাহান্নামী হবে। উল্লেখ্য, গত ১৬মে ২০০৫ ঈসায়ী সোমবার ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে রাজারবাগ দরবার শরীফে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৭মে মঙ্গলবার পূর্ব কদমতলা মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসা ও মসজিদে ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসব মাহফিলে, ইমামে আযম, মুজাদ্দিদে আযম, হাবীবে আযম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। 

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

 আল বাইয়্যিনাত সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত  ও মাহফিল সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ