আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

সংখ্যা: ১৪০তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদন : আখিরী রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনার সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করা প্রত্যেকের জন্য ফরযের অন্তর্ভুক্ত।

ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদে রসূল, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর মজলিসে প্রধান অতিথির বয়ানে একথা বলেন।

তিনি বলেন, আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূরে মুজাসসাম তথা আপাদমস্তক নূর। এ বিষয়ে কেউ বিন্দুমাত্র সন্দেহ পোষণ করলে সে কাট্টা কাফির হবে।

তিনি বলেন, অনেকে বলে থাকে, ‘সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সিনা মুবারক চাক করে ভিতর থেকে কিছু ফেলে দেয়া হয়েছে এবং কিছু জিনিস প্রবেশ করানো হয়েছে।’ মূলত: একথা বলা কাট্টা কুফরী। কারণ, উনার মধ্যে ফেলে দেয়ার মত কিছু ছিলোনা এবং উনার ভিতরে প্রবেশ করানোর মতোও কিছু ছিলোনা। এটা তরতীব করা হয়েছে। যা উনাকে প্রদত্ত সুমহান মর্যাদার বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, বরং উনার রক্ত মুবারক, ইস্তিঞ্জা মুবারকও পবিত্র থেকে পবিত্রতম। কোন জাহান্নামী লোক যদি তা পান করে ফেলে তাহলে তার জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।

আক্বীদা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওহাবীরা বলে থাকে, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব জীবিত নন। তিনি মাটির সঙ্গে মিশে গেছেন।’ (নাউযুবিল্লাহ) বরং তিনি হায়াতুন নবী। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতা বলে মীলাদ মাহফিলসহ যে কোন সময় যে কোন স্থানে হাজির-নাজির হতে পারেন।

আক্বীদা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রতিদিন সত্তর থেকে একশ বার ইস্তিগফার করেছেন। অথচ তিনি হচ্ছেন মা’ছূম তথা নিস্পাপ। আর এটা উনার মর্যাদা বৃদ্ধিরও কোন বিষয় ছিলো না বরং শুধুমাত্র উম্মতকে তা’লীম দেয়ার জন্যই তিনি ইস্তিগফার করেছেন।

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনার শরীর মুবারক উনার কোন ছায়া মুবারক ছিলোনা। উনার দেহ মুবারক-এ কখনো মশা-মাছি পর্যন্ত বসতো না। এমনকি এ বিষয়ে সকল উমামগণ উনাদের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, রওজা শরীফ উনার যে মাটি মুবারক আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পা মুবারক স্পর্শ করে আছে উনার মর্যাদা লক্ষ্য-কোটি আরশে আযীমের চেয়েও বেশি।

তিনি বলেন অনেকে বলে থাকে, ‘ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ব-পুরুষগণ ঈমানদার ছিলেন না’- একথা বলাও কুফরী। কারণ উনার পূর্ব-পুরুষগণ প্রত্যেকেই ছিলেন খালিছ ঈমানদার।

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম সম্পর্কে তিনি বলেন, অন্যান্য মাহফিলের তুলনায় ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা তেমন, যেমন অন্যান্য নবী উনাদের ত্বলনায় আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা।

তিনি বলেন, আজকাল অনেকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্øাম তিনি পালন করাকে বিদয়াত, শিরক ইত্যাদি বলে প্রচার করে থাকে। অথচ ঈদে-মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা এবং তা পালন করা ফরয-ওয়াজিব। তা অস্বীকারকারী কাট্টা কাফির এবং চির জাহান্নামী।

তিনি বলেন, বর্তমানে ওহাবী, খারিজীরা ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ঈদের দিন হিসেবে পালন না করে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করার দাবী জানাচ্ছে। এটাও কাট্টা কুফরী দাবী। কেননা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদের দিনকে তথা খুশির দিনকে শোকের ছদ্মাবরণে অবজ্ঞা করাও কাট্টা কুফরী।

মাহফিল সংবাদ

উল্লেখ্য, সাইয়্যিদুল আইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে প্যারিদাস রোড শাখা আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর উদ্যোগে গত ১৮ মার্চ শুক্রবার এক বিরাট ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ২৯ মার্চ মঙ্গলবার ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে গোড়ান টেম্পু স্ট্যান্ডে, গোড়ান শাখা আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর উদ্যোগে ১১তম ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এরব মাহফিলে ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, গাউসুল আ’যম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন।

উল্লেখ্য, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৪২৬ হিজরী উপলক্ষে রাজারবাগ দরবার শরীফ-এ (সুন্নতী জামে মসজিদে) ৬ই রবিউল আউওয়াল থেকে ১২ই রবিউল আউওয়াল পর্যন্ত ৭ দিন ব্যাপী বিরাট ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিলের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর পক্ষ থেকেও অনুরূপ কর্মসূচী গ্রহণের খবর পাওয়া যায়।

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

 আল বাইয়্যিনাত সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত  ও মাহফিল সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ