তাসাউফের সম্পূর্ণটাই আদবের অন্তর্ভুক্ত। যে যত বেশি আদব রক্ষা করতে পারবে সে তত বেশি নিয়ামত লাভ করতে পারবে। কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে। ইমামে আ’যম, মুযাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, মুইইস সুন্নাহ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ রাজারবাগ শরীফের মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী আলোচনা মজলিশে একথা বলেন। তিনি বলেন, তাসাউফের মূলই হচ্ছে আদব। আদব থেকেই সবকিছু হয়। আর বে আদব আল্লাহ পাক-এর রহমত থেকে বঞ্চিত। যেমন ইবলিশ বালআম বিন বাউর, এরা জাহেরী ভাবে অনেক ইবাদত বন্দেগী করলেও, অনেক তালিম তালকীন দিলেও এদের মূলের মধ্যে বেয়াদবী ছিল, ত্রুটি ছিল যে কারণে শেষ পর্যন্ত তারা গোমরাহ হয়ে, লানত প্রাপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, আউলিয়ায়ে কেরাম, সাহাবায়ে কেরাম নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আল্লাহ পাক, ওনাদের সাথে যে যতটুকু আদব রক্ষা করতে পরবে, সে ঠিক ততটুকু নিয়ামত হাছিল করতে পারবে। আদব অনুযায়ী তার দিল ইছলাহ হবে। দিল যে পরিমাণ ইছলাহ থাকবে, নিয়ামতটাও তার সে পরিমাণ হাছিল হবে। তিনি বলেন, কোন মুরিদ যদি পীর ছাহেব এর কোন আমল না বুঝে, তাহলে সেটা জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে হবে। যদি তাও বুঝে না আসে তাহলে বুঝতে হবে উক্ত মুরিদের আক্বলে ত্রুটি রয়েছে তাকে তওবা ইস্তিগফার করতে হবে। তিনি বলেন, তাসাউফ হচ্ছে সূক্ষè ব্যাপার, আদবটাও সূক্ষè ব্যাপার। পীর ছাহেব সামা (হামদ-নাত-কাছীদা) পছন্দ করতেন। কিন্তু মুরিদ সামা পছন্দ করলেন না, দেখা গেল তার সিল সিলাই বন্ধ হয়ে গেল। অনুরূপ পীর ছাহেব এর ইন্তিকালের পর তার মাযার শরীফের চারদিকে ঘেরাও দেয়া হলে বিশিষ্ট খলীফা বিশিষ্ট সূফী তাকে বিদয়াত মন্তব্য করে জিয়ারত থেকে বিরত থাকেন। পরে দেখা গেল তার সিলসিলাও বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, মুরিদের আদব পীর ছাহেব বা শায়খের প্রতি মৃত্যু পর্যন্ত বজায় রাখতে হবে। মুরিদ যদি মনে করে এখনতো আমি বড় অলিআল্লাহ হয়েই গেছি। কাজেই পীর ছাহেব এর আর কি দরকার? সেটা ঠিক হবে না। কারণ পীর ছাহেব পীর ছাহেবই। আর মুরিদ মুরিদই। শায়খের প্রতি যতটুকু আদব বজায় রাখতে পারবে, ততটুকুই সে কামিয়াবী লাভ করবে। উল্লেখ্য গত ১৭ ফেব্রুয়ারি/০৫ ঈসায়ী, বৃহস্পতিবার ছাত্র আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত চৌধুরি পাড়া শাখার উদ্যোগে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে এক বিরাট ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ মাহফিলে ইমামে আ’যম, মুযাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ