আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

সংখ্যা: ১৩৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ ‘যারা হক্বের উপর ইস্তিকামত থেকেছে তারাই কামিয়াবী হাছিল করেছে। আর যারা হক্ব থেকে বিচ্যুত হয়েছে তারা গোমরাহীর অতলে তলিয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে।’ ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আঞ্জুমান মজলিসে আলোচনাকালে একথা বলেন। উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর ২০০৪ ঈসায়ী হতে ২০ ডিসেম্বর ২০০৪ ঈসায়ী সোমবার পর্যন্ত ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আহলে বাইতসহ দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে ১৯ দিনের এক বিশেষ সফর করেন। ২, ৩ ও ৪ ডিসেম্বর, বৃহস্পতি, শুক্র  ও শনিবার নাটোরের বড় হরিশপুরস্থ ভিআইপি হোটেলে অবস্থান গ্রহণ ও তা’লীম-তালক্বীন অনুষ্ঠিত হয়। ২ ডিসেম্বর ২০০৪ বৃহস্পতিবার নাটোর পুরাতন বাস টার্মিনালে অনুষ্ঠিত ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথি হিসেবে বয়ান পেশ করেন। ৩ ডিসেম্বর, শুক্রবার, তিনি নাটোর পুলিশ লাইন জামে মসজিদে জুমুয়ার নামায পড়ান, অতঃপর মীলাদ শরীফের মাহফিল শেষে দোয়া ও মুনাজাত করেন। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর, রবি ও সোমবার জয়পুরহাটের হোটেল সৌরভে অবস্থান ও তা’লীম-তালক্বীন অনুষ্ঠিত হয়। ৫ ডিসেম্বর, রবিবার জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ রোড, সিদ্দীকিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথি হিসেবে বয়ান পেশ করেন। ৬ ডিসেম্বর, সোমবার জয়পুরহাট পুলিশ লাইন জামে মসজিদে বাদ মাগরিব সংক্ষিপ্ত ওয়াজ শরীফ, মীলাদ শরীফ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথি হিসেবে বয়ান পেশ, দোয়া ও মুনাজাত করেন। ৭ ও ৮ ডিসেম্বর, মঙ্গল ও বুধবার গাইবান্ধা সদরে জনাব উলফৎ মিয়ার বাসভবনে অবস্থান ও তা’লীম-তালক্বীন অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার গাইবান্ধা সরকারী কলেজ মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। ৯, ১০, ১১ ও ১৫, ১৬, ১৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতি, শুক্র, শনিবার ও বুধ, বৃহস্পতি, শুক্রবার রংপুরের মাহিগঞ্জে জনাব আলহাজ্ব মুহম্মদ কাওছার জামান বাবলা ছাহেবের বাসভবনে অবস্থান, তা’লীম-তালক্বীন অনুষ্ঠিত হয়। ৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রংপুর রবার্টসনগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। ১০ ডিসেম্বর, শুক্রবার ছোট রংপুর, সর্দারটারী জামে মসজিদে জুমুয়ার নামায পড়ান অতঃপর মীলাদ শরীফ ও দোয়ার মাহ্ফিল  শেষে দোয়া ও মুনাজাত করেন।  ১৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার জনাব আলহাজ্ব মুহম্মদ কাওছার জামান বাবলা ছাহেবের পাট গুদাম চত্ত্বরে মীলাদ শরীফের মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ ডিসেম্বর, শুক্রবার ছোট রংপুর সর্দারটারী জামে মসজিদে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী জুমুয়ার বয়ান পেশ করেন ও নামায পড়ান।  ১২, ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর রবি, সোম ও মঙ্গলবার সৈয়দপুরের হোটেল আরাফাত-এ অবস্থান, তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। ১২ ডিসেম্বর রবিবার সৈয়দপুর জিআরপি মোড়ে ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। ১২ ডিসেম্বর বাদ আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত ইমামে আযম ছানী, মুজাদ্দিদে আ’যম ছানী, হাবীবে আ’যম ছানী, আওলাদে রসূল হযরত শাহাজাদা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী স্থানীয় ভক্তবৃন্দ সমেত মিছিলসহ গাড়ীতে সৈয়দপুর শহরের মূল মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বাদ মাগরিব হতে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী স্থানীয় শত-সহস্র ভক্তবৃন্দসহ বিশাল গাড়ীর বহর নিয়ে সৈয়দপুর শহর প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় ভক্তরা বিভিন্ন ইসলামী শ্লোগান দেয়।  উল্লেখ্য, শহর প্রদক্ষিণের কারণে গোটা সৈয়দপুরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। হাজার হাজার উৎসূক জনতা রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থেকে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে মুবারকবাদ জানান। ১৮, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর শনি, রবি ও সোমবার বগুড়া চারমাথায় অবস্থিত হোটেল সেঞ্চুরীতে অবস্থান গ্রহণ ও তা’লীম-তালক্বীন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ ডিসেম্বর বগুড়ার ঠনঠনিয়ায় ভাই পাগলা গোরস্থান সংলগ্ন বাইতুর রহম জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লূহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। ২০ ডিসেম্বর সোমবার হোটেল সেঞ্চুরী মিলনায়তনে মীলাদ শরীফের মাহফিলে অনুষ্ঠিত হয়। ঐ দিন বাদ মাগরিব বগুড়া জেলা প্রশাসকের আমন্ত্রণে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত ওয়াজ শরীফ ও মীলাদ শরীফের মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। উল্লেখ্য, এই সফরে সাইয়্যিদাতুন্ নিসা, আফযালুন নিসা, হাবীবাতুল্লাহ, কায়িম-মক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া আগত স্থানীয় মহিলাদের খাছ শরয়ী পর্দার সাথে তা’লীম-তালক্বীন প্রদান করেন। আগত স্থানীয় মহিলাগণ হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া-এর মুবারক সান্নিধ্যে নিজেদের ধন্য করেন। হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া-এর মুবারক নছীহত আগত মহিলা ও ছাত্রীদের মাঝে ব্যাপক দ্বীনি জজ্বা সৃষ্টি করে। নছীহতে অভিভূত হয়ে প্রত্যেকেই বাইয়াত গ্রহণ করেন এবং মহিলা ও ছাত্রী আন্জুমানে আল বাইয়্যিনাতে নিজেদের সম্পৃক্ত করেন।  উল্লেখ্য, এই সফরে প্রত্যেক জেলাতেই পুরুষদের পাশাপাশি অনেক মহিলা ও ছাত্রী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত গঠিত হয়।  ২১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, ভোর ৫.১৫ মিনিটে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আহলে বাইত ও মুরীদ-মুতাকিদসহ ১৯ দিনের দীর্ঘ সফর শেষে ঢাকা রাজারবাগ শরীফে প্রত্যাবর্তন করেন।

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

 আল বাইয়্যিনাত সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত  ও মাহফিল সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ