আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ যার হুসনে যন বা আক্বীদা যত বিশুদ্ধ হবে, সে তত বেশী ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ লাভ করবে। আর যে যতখানি ফয়েজ লাভ করবে; সে সেই পরিমাণ ইসলাহ হাছিল করবে। ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফের হযরত মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী পবিত্র রমাযান শরীফে বিশেষ আলোচনা মজলিসে একথা বলেন। তিনি বলেন, ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ লাভ করার জন্যে অবশ্যই কোন হক্কানী ওলীআল্লাহর নিকট বাইয়াত হয়ে আক্বীদা ঠিক রেখে, ছোহবত ইখতিয়ার করতে হবে, যিকির, ফিকির করতে হবে। অন্যথায় ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিল হবেনা, ক্বলব ইছলাহ হবেনা। এর মেছাল স্বরূপ তিনি বলেন, অনেক ফকীর রয়েছে, তারা রাস্তা-ঘাটে ভিক্ষা করে থাকে। তারা অনেকে দিনে রাতে প্রায় ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা যিকির করে থাকে কিন্তু তার পরেও তাদের কারো ক্বলবে যিকির জারী হয়না। তাদের ক্বলব জারী হয়েছে এমন কথা কেউ বলতে পারবেনা। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে তারা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ পায়না। এজন্যেই বলা হয়ে থাকে। হুসনে যন ঠিক রেখে কোন সালিক বা মুরীদ যদি ফয়েজ পেয়ে অল্প যিকিরও করে তবে তার ক্বলব জারী হয়ে যাবে। সে ইসলাহ লাভ করবে। আর ঐ ফকীর দিন-রাত যিকির করার পরেও তার ক্বলব জারী হয়না। সে ইসলাহ হাছিল করেনা যেহেতু সে ফয়েজ লাভ করেনা। আর এই ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহর ব্যাপারটা সঠিকভাবে বুঝার জন্যে তিনি হাদীছ শরীফে বর্ণিত হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ঘটনা উল্লেখ করেন, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসারীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যতক্ষণনা মাতা-পিতা, স্ত্রী, সন্তান-সন্তুতি, এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও আমাকে বেশী মুহব্বত করবে ততক্ষণ তোমাদের কেউ হাক্বীক্বী মু’মিন হতে পারবেনা।” একথা শুনে হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, আমি সমস্ত কিছুর চেয়ে আপনাকে বেশী মুহব্বত করি কিন্তু এখনো আমার জানের চেয়ে বেশী মুহব্বত করতে পারিনি। একথা শুনে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তাহলে তুমি হাক্বীক্বী মু’মিন হতে পারনি।” একথা শুনে হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বাচ্চা শিশুর মত কাঁদতে লাগলেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে নিকটে ডেকে তাঁর সিনায় হাত মুবারক রেখে ফয়েজে ইত্তেহাদী দিলেন। এবার হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, এখন আমার মত হাজার হাজার নয় বরং কোটি কোটি উমর আপনার জন্যে জীবন কুরবান করতে প্রস্তুত আছি। এর দ্বারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মূলতঃ তাছাউফ অর্জন করা যে ফরয সে বিষয়টা বাস্তবে বুঝিয়ে দিলেন। মুলতঃ ঐ ফয়েজটাই সিনা-ব-সিনা হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম-এর কাছে পৌঁছেছে। তাঁদের কাছে থেকে পরবর্তীতে যারা তাঁদের ছোহবতে আসছে তারা সেটা লাভ করছে এবং ইসলাহ হাছিল করছে।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ
আল বাইয়্যিনাত সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ