আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত এর মজলিস কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের আলোকে মানুষের আকাঈদ, আমল, ইবাদত, মুয়ামেলাত, মুয়াশেরাত ইত্যাদি বিশুদ্ধ করার এবং তাছাউফ ও ইখলাছ হাছিলের মজলিস। ইমামুল আ’ইম্মা, মুহইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয যামান, আওলাদে রসূল, ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লূহুল আলী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের মজলিসে আলোচনায় একথা বলেন। তিনি বলেন, মাসিক আল বাইয়্যিনাতে কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস থেকে লিখা হয়ে থাকে; এর বাইরে কোন কিছুই লিখা হয়না। মাসিক আল বাইয়্যিনাত মানুষের আকাঈদ, ইবাদত, মুয়ামেলাত, মুয়াশেরাত, তাছাউফ, অর্থাৎ ইসলামের যে বিষয়গুলো রয়েছে প্রতিটি বিষয়ই আলোচনা করে মানুষের সঠিক ইলম্, আমল ও ইখলাছের বিষয় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করে থাকে। তিনি বলেন, বিশেষ করে মাসিক আল বাইয়্যিনাতে আকাঈদের যে বিষয়গুলো রয়েছে, তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, ঈমান ও বিশুদ্ধ আকাঈদ ব্যতীত মানুষ ছূরতান যত নেক আমলই করুক না কেন সেটা কস্মিনকালেও আমলে ছলেহ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যদি কারো ঈমানের পরে আক্বীদা বিশুদ্ধ থাকে তাহলে তার আমলগুলো আমলে ছলেহ এর অন্তর্ভুক্ত হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে-বিদেশে, লক্ষ-কোটি, রকমের আক্বীদা বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে। সে সমস্ত বিষয়ে যদি কারো আক্বীদা বিশুদ্ধ না হয় তাহলে সে কস্মিনকালেও ঈমানদার থাকতে পারবে না। বরং কারো আক্বীদায় সামান্য ত্রুটি এসে গেলেই সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে কাট্টা কাফির হয়ে চির জাহান্নামী হয়ে যাবে। যেমন কাদিয়ানী, ওহাবী সম্প্রদায় হয়েছে। তিনি বলেন, কুফরী-শেরেকী আকীদা থেকে বেঁচে ঈমান, আক্বীদা ও আমলের বিশুদ্ধতা অর্জনের লক্ষ্যেই সকলকে নিয়মিত মাসিক আল বাইয়্যিনাত পড়তে হবে। তাহলে সে কুফরী-শেরেকী এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনি আক্বীদা ও আমল হতে হিফাযত থেকে হক্ব মত, হক্ব পথে দায়িম-কায়িম থাকতে পারবে। উল্লেখ্য, গত ০৯ জানুয়ারী/০৪ ঈসায়ী, শুক্রবার, শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনী মাঠে দরসে হাদীছ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ জানুয়ারী, রোববার, বেলতলী বাজার ঈদগাহ ময়দান, মতলব, চাঁদপুরে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল এবং ২৩ জানুয়ারী, শুক্রবার, প্যারিদাস রোড, বাংলা বাজারে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইমামে আয’ম, মুজাদ্দিদে আয’ম, হাবীবুল্লাহ্, মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লূহুল আলী এসব মাহফিলে প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। উল্লেখ্য, এসব মাহফিলে অসংখ্য লোক সমাগম ঘটে। মাহফিল শেষে তারা বাইয়াত গ্রহণ করেন। এসব স্থানে অনেক স্থানীয় আনজুমানে আল বাইয়্যিনাতও গঠিত হয়।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও ইফ্তার মাহ্ফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ