প্রত্যেক নবী এবং রসূলের আল্লাহ পাক-এর সাথে সম্পর্কের মূল মাধ্যম হচ্ছে ইলম্। ইল্ম হচ্ছে আমলের ইমাম। ইলম ব্যতীত আল্লাহ পাক-এর মুহব্বত মা’রিফাত অর্জন করা সম্ভব নয়। ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদুর রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর মজলিশে আলোচনা কালে একথা বলেন। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-এর রহমতে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের যে ইল্ম রয়েছে সেটা প্রয়োজন মাফিক আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাতে প্রকাশ করে থাকি। কাজেই কেউ নিয়মিত মাসিক আল বাইয়্যিনাত পড়লেই সে সেটা হাছিল করতে পারবে। উল্লেখ্য গত ৩ ডিসেম্বর, বুধবার থেকে ২০ ডিসেম্বর শনিবার পর্যন্ত ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদুর রসূল হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উত্তরবঙ্গের ৭ জেলায় ১৮ দিনের এক বিশেষ তা’লিমী সফর করেন। এ সফরের প্রথম ৩ দিন নাটোরের বড় হরিশপুরস্থ ভি,আই,পি গেষ্ট হাউজে আহলে বাইত ও মুরীদ-মুতাক্বিদসহ অবস্থান করেন। ৩ ডিসেম্বর বুধবার কেন্দ্রীয় ঈদগাট মাঠ (কাচারী মাঠ) নীচাবাজার, নাটোরে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার নাটোরের বড় হরিশপুর জামে মসজিদে জুমুয়ার বয়ান পেশ ও নামায পড়ান। ৬, ৭ ডিসেম্বর, শনি, রোববার ২ দিন পাবনার এ হামিদ রোডস্থ হোটেল শিলটনে অবস্থান করেন। ৬ ডিসেম্বর শনিবার কফিলউদ্দীন পাড়া, দিলালপুর পাবনায় ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। ৮, ৯, ১০ ডিসেম্বর, সোম, মঙ্গল ও বুধবার, ৩দিন ভোলাহাটে মুহম্মদ আইয়ুব আলীর বাড়ীতে অবস্থান করেন। মুহম্মদ মোবারক মাষ্টারের বাড়ীতে নির্মিত অস্থায়ী খানকা শরীফে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত প্রদান করেন। ৮ ডিসেম্বর, সোমবার বজরাটেক সবজা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। ৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার ভোলাহাট আলী সাহাসপুর জামে মসজিদে বাদ মাগরিব স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত ওয়াজ-নছীহত পেশ করেন। অতঃপর মীলাদ মাহফিল ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। ১০ ডিসেম্বর বুধবার, খানকা শরীফে আগত হাজার হাজার স্থানীয় জনতাকে বাইয়াত প্রদান ও ভক্ত-মুরীদানদের তা’লীম-তালক্বীন প্রদান করেন। উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর বুধবার বিকাল ৪টায় স্থানীয় ছাত্র আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর আমন্ত্রণে হযরত শাহজাদা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ভোলাহাট মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত মুহম্মদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত কার্যালয় পরিদর্শন করেন। ১১, ১২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতি, শুক্রবার ২ দিন জয়পুরহাটের হোটেল সৌরভ আবাসিক-এ অবস্থান করেন। ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জয়পুরহাটের বাজলা হাইস্কুল সংলগ্ন হাফিজ সর্দারের ভবনে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার জামালগঞ্জের ইসমাঈলপুর জামে মসজিদে জুমুয়ার বয়ান পেশ ও নামায পড়ান। ঐ দিন বাদ মাগরিব খঞ্জনপুরস্থ হযরত সায়েম রহমতুল্লাহি আলাইহি মাজার মসজিদে সংক্ষিপ্ত ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর রাত ৯টায় হোটেল সৌরভে রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরোধিতার কারণ উল্লেখ করে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিরুদ্ধবাদীদের প্রতি ১০০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করা হয়। ১৩, ১৪ ডিসেম্বর, শনি, রোববার ২ দিন ঠাকুরগাঁও কোর্ট সংলগ্ন হোটেল সালাম ইন্টারন্যাশনাল-এ অবস্থান করেন। ১৩ ডিসেম্বর শনিবার যুব সংসদ মাঠ, ঠাকুরগাঁও রোড, ঠাকুরগাঁও-এ ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। ১৫, ১৬, ১৭ ডিসেম্বর, সোম, মঙ্গল ও বুধবার, ৩ দিন লালমনিরহাট, পাটগ্রাম, পোষ্ট অফিস পাড়ায় অবস্থিত মোটেল প্যারাডাইস-এ অবস্থান করেন। ১৫ ডিসেম্বর লালমনিরহাটের, পাটগ্রাম, বানিয়াপাড়া, বুড়িমারী রোড খানকায়ে মুহম্মদিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। উল্লেখ্য, ১৭ ডিসেম্বর, বুধবার সকাল ৬টায় হযরত শাহজাদা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বুড়িমারী জিরো পয়েন্ট, দহগ্রাম ছিটমহল ও তিনবিঘা করিডোর পরিদর্শন করেন। সেখানে বাংলাদেশী বিডিআর সদস্যরা তাঁর সম্মানার্থে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন এবং তাঁর কাছে দোয়া-খায়ের কামনা করেন। ১৮, ১৯, ২০ ডিসেম্বর, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার ৩ দিন রংপুর মাহিগঞ্জ, ফতেহপুর রোডস্থ জনাব মুহম্মদ কাওছার জামান বাবলার বাসভবনে অবস্থান করেন। ১৮ ডিসেম্বর রবার্টসনগঞ্জ হাইস্কুল মাঠ রংপুরে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার পীরগঞ্জের শানেরহাট, কাউয়া পুকুর জামে মসজিদে জুমুয়ার বয়ান পেশ করেন ও নামায পড়ান। ২০ ডিসেম্বর, শনিবার বাবলা সাহেবের মাহিগঞ্জের পাটগুদাম সংলগ্ন খানকা শরীফে আগত স্থানীয়দের তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত প্রদান করেন। উল্লেখ্য, এসব সফরে বিপুল সংখ্যক মহিলা ইমামাতুছ্ ছিদ্দীক্বা, সাইয়্যিদাতুন নিসা, কায়িম-মক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাতুল্লাহ হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া-এর নিকট খাছ পর্দার সাথে তা’লীম-তালক্বীন গ্রহণ করেন। পরে খানকা শরীফ হতে সাউ- বক্সের মাধ্যমে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী খাছ পর্দার ভিতরে অবস্থানরত মহিলাদের বাইয়াত প্রদান করেন। ২১ ডিসেম্বর, রোববার ভোর ৫.৪০ মিনিটে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আহলে বাইতসহ ১৮ দিনের দীর্ঘ সফর শেষে ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফে প্রত্যাবর্তন করেন।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহ্ফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ