ইল্ম হচ্ছে আমলের ইমাম।’ ইল্ম ব্যতীত আমল করা যায়না, আমল ব্যতীত ইখলাছ হাছিল হয়না আর ইখলাছ ব্যতীত কোন আমল, কোন ইবাদত-বন্দিগীই আল্লাহ্ পাক-এর নিকট কবুল হয়না।
ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর মজলিশে আলোচনা কালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেককেই হাক্বীক্বী ইল্ম, বিশুদ্ধ ইল্ম অর্জন করতে হবে। আর ইল্ম হচ্ছে দু’প্রকার। প্রথমটা যবানী ইল্ম- যাকে ইল্মে শরীয়ত বলা হয়। দ্বিতীয়টা ক্বলবী ইলম্- যা উপকারী ইল্ম। হাক্বীক্বী আলিম হতে হলে এ দু’প্রকার ইল্মই হাছিল করতে হবে।
তিনি বলেন, এছাড়া আমভাবে প্রত্যেকের জন্যেই জরুরত আন্দাজ ইল্মে ফিক্বাহ্-এর সাথে সাথে ইল্মে তাছাউফও শিক্ষা করা ফরয।
তিনি বলেন, যদিও মাসিক আল বাইয়্যিনাত একটি মাসিক পত্রিকা হিসেবে বের হয়ে থাকে, কিন্তু এর গুরুত্ব অপরিসীম।
কুরআন শরীফের আয়াত শরীফ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন, “হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার প্রতি যে কিতাব নাযিল করেছি এটা মানুষকে গোমরাহী থেকে হিদায়েতের দিকে নিয়ে যায়।” ঠিক একইভাবে মাসিক আল বাইয়্যিনাত বের হয়ে থাকে। যা মানুষকে গোমরাহী থেকে, গাইরুল্লাহ থেকে হিদায়েতের দিকে, আল্লাহ্ পাক এবং তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দিকে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত মাসিক আল বাইয়্যিনাত ১২২তম সংখ্যা বের হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমান যামানায় মানুষের প্রয়োজনীয় যা রয়েছে, মাসয়ালা-মাসায়িল, ইখতেলাফি বিষয় তার অনেকগুলো এর মধ্যে এসে গেছে। আল্লাহ্ পাক তাওফিক দান করলে ইনশাআল্লাহ্ সামানে যা রয়েছে সেগুলোও পর্যায়ক্রমে আলোচিত হবে।
তিনি বলেন, এখন আখিরী যামানা, ফিৎনার যুগ, অন্যেকে ছুফী, দরবেশ নাম দিয়ে, খতীব, মুফতী, শায়খুল হাদীছ নাম দিয়ে বেপর্দা হচ্ছে, প্রকাশ্যে নামার কালাম ছেড়ে দিচ্ছে; তারা মূলতঃ ওলামায়ে ছু’; তাদের থেকে হিফাযত থেকে হজ্বের উপর দায়িম কায়িম থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত করে নিজেদের মাসিক আল বাইয়্যিনাত পড়ে বুঝতে হবে, মানুষকে বুঝাতে হবে। সেটা যে কোন প্রতিষ্ঠানে হোক, অফিস আদালতে হোক, স্কুল-কলেজে, মাদ্রাসায় হোক, বাড়ীতে হোক, আঞ্জুমান করে মাসিক আল বাইয়্যিনাত থেকে আলোচনা করতে হবে, তাহলে সেটা বুঝা যাবে, হক্ পাওয়া যাবে। যারা বুঝে, ফিকির করে, চিন্তা করে তাদের জন্যে
মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মধ্যে সবকিছুই রয়েছে, তারা সেটা পড়ে নিলেই বুঝতে পারবে।
তিনি বলেন, মানুষ যাতে কুফরী-শিরকী থেকে বেঁচে, নাহক থেকে বেঁচে হজ্বের উপর ইস্তিকামত থাকতে পারে সে জন্যই মাসিক আল বাইয়্যিনাতে কোন কিছুই মনগড়াভাবে লিখা হয়না । প্রত্যেকটা লিখাই তাহক্বীকু করে দলীল দিয়ে লিখা হয়ে থাকে। সে জন্যেই আমরা বলেছি, বলছি এবং বলল যে, আমাদের কোন কথা লিখনী, আমল কেউ যদি কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও কিয়াসের দৃষ্টিতে ভুল প্রমাণ করে দিতে পারে তাহলে আমরা সেটা লক্ষ বার ছেড়ে দিব; কিন্তু ইনশাআল্লাহ আজ পর্যন্ত কেউ তা পারেনি এবং পারবেও না।
উল্লেখ্য, গত ১৯ অক্টোবর শনিবার রাজারবাগ দরবার শরীফ সুন্নতি জামে মসজিদে রাত ব্যাপী ইবাদত-বন্দিগীর মাধ্যমে পবিত্র শব-ই-বরাত পালিত হয়। এছাড় গত ২৫ অক্টোবর শনিবার বাদ আছর হতে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উপলক্ষে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত নাজিমুদ্দীন রোড শাখার উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ কিবলা মুন্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিধির বয়ান পেশ করেন।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহ্ফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও ইফ্তার মাহ্ফিল সংবাদ