আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদন: আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে ফায়সালা করেছেন, সে বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করা হারাম এবং কাট্টা কুফরী।
ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, সুলত্বানুন নাছীর, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এক বয়ানে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ইসলামে হালাল এবং হারামকে স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং ইসলামে নতুন করে কেউ কিছু হালালও করতে পারবে না এবং হারামও করতে পারবে না। যদি কেউ তা করার অপচেষ্টা করে তাহলে সে কাট্ট কাফির ও চির জাহান্নামী হবে।
তিনি বলেন, কেউ ইসলামের বিধি-নিষেধকে স্বীকার করে কিন্তু আমল করে না তাহলে সে ফাসিক হবে। ার কেু যদি তা অবজ্ঞামূলকভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, অস্বীকর করে এবং তা পালনকারীর বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যমূলক শাস্তির বিধান জারী করে তাহলে সে কাট্টা কাফির এবং চির জাহান্নামী হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি এরই মিসদাক হয়েছে তথাকথিত নির্বাচন কমিশনার। সে তার এক ঔদ্ধতামূলক বিবৃতিতে ছবিসহ ভোটার তালিকায় ভোটার না হওয়ার জন্য ফতওয়া প্রদানকারীকে “এক বছরের জেল দেয়া হবে”, বলে ইসলাম বিরোধী কুফরী ফতওয়া দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। এটা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তার চরম জিহালতী এবং ধৃষ্টতা প্রমাণ করে।
তিনি বলেন, অনৈসলামিক বিষয়ে কাউকে বাধ্য করা কাট্টা হারাম এবং কুফরী। কাজেই যারা এরূপ করবে তারা মুসলমান তো নয়ই বরং তারা জালিম এবং কাট্টা কাফির।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে ৬৬৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ২শ কোটি মুসলমান। নির্বাচন কমিশনার শত সহ¯্র হাদীছ শরীফ-এ নিষিদ্ধ হারাম ছবির বিরুদ্ধে ফতওয়া দানকারীকে ১ বছরের জেল দেয়ার কথা বলে ২শ কোটি মুসলমানের বিশেষ করে এদেশের মুসলমানদের ঈমানী চেতনায় তীব্র আঘাত হেনে অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন।
সুতরাং তার ইসলাম বিরোধী বক্তব্যের জন্যে ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনাসহ খালিছ তওবা ইস্তিগফার করতে হবে। এটা তার পরকালে মুক্তির কারণ হতে পারে।
তিনি সকলকে বাতিল ও সিলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ