আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি মুহব্বত এবঙ হুসনে যনই ঈমান, আর বিন্দু থেকে বিন্দুতম খিলাফ আক্বীদা ও বিদ্বেষ থাকা কাট্টা কুফরী।
ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, সুলত্বানুন নাছীর, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ২৪ দিন ব্যাপী আয়োজিত প্রতিযোগিতা ও ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বয়ানে একথা বলেন।
তিনি বলেন, সমস্ত উম্মতে মুহম্মদির জন্য পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-ওয়াজীব। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক সমস্ত কায়িনাতকে লক্ষ্য করেবলেছেন, তোমরা আমার যিনি হাবীব, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইজ্জত-সম্মান, খিদমত ও ছানা-ছিফত, প্রশংসা কর। কাজেই এটা আমাদের সারা জীবন তথা জন্ম থেকে ইন্তিকাল পর্যন্ত করা দায়িত্ব-কর্তব্য।
উল্লেখ্য, পবিত্র রবিউল আউয়াল শরীফ উপলক্ষে বারদিন ব্যাপী ওয়াজ শরীফ ও দোয়া মাহফিলের অষ্টম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন বাদ আছর হতে ইশা পর্যন্ত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিল নিয়মিত চলছে। ইনশাআল্লাহ যথাসময়ে শেষ হবে।
মাহফিলে প্রতিদিন গাউছুল আ’যম, ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে মুবারক নছীহত পেশ ও দোয়া মুনাজাত করেন। মাহফিলে প্রতিদিন তাবারুকের ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য এসব মাহফিরে ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম হাবীবুল্লাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবঙ তাঁর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিপূর্ণ বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করা ফরয-ওয়াজিব। তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- আপাদ মস্তক নূর, তাকেঁ মাটির তৈরী বা জাতি নূরের তৈরী বলা কাট্টা কুফরী্ তিনি আমাদের মত মানুষ নন বরং তিনি সাইয়্যিদুল বাশার, তাঁর প্রতি ওহী নাজিল হয়, তিনি নিজ থেকে মনগড়া কোন কথা বলেননি। তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত ইলম এবঙ ইলমে গাইবের অধিকারী, তিনি হায়াতুন নবী, তাঁর কোন ছায়া মুবারক ছিলনা, তাঁর শরীর মুবারকে কখনো মশা-মাছি বসতো না। তিনি সামনে পিছনে, ডানে, বায়ে উপরে-নীচে সমান দেখতে পেতেন। তাঁর রক্ত মুবারক, ঘাম মুবারক, ইস্তিঞ্জা মুবারক এক কথায় তাঁর শরীর মুবারকের সমস্ত কিছু পবিত্র থেকে পবিত্রতম, শুধু পবিত্রতমই নয় বরং তা কোন জাহান্নামী লোক পান করলে তার জন্যে জান্নাত ওয়াজিব। তাঁর সম্মানীত পিতা-মাতা এবং পূর্ব পুরুষ প্রত্যকেই পবিত্রতম এবঙ খালেছ ঈমানদার ছিলেন। তাঁরা কেউই কাফির মুশরিক ছিলেন না।
তার মুবারক বিলাদত শরীফকে খারেজী-ওহাবীদের কথিত জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা জায়িজ নেই এবঙ এ দিনকে সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে তাজীম-তাকরীমের সাথে সমস্ত উম্মতে মুহম্মদির নে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে পালন করা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। তিনি সকলকে, যামানার উলীল আমর তথা যামানার ইমাম ও মুযাদ্দিদে আ’যমের ছোহবত এখতিয়ারের মাধ্যমে, ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি পরিপূর্ণ বিশুদ্ধ আক্বীদা ও হুসনে যন পোষণের দ্বারা খাছ নিসবত, তায়াল্লুক হাছিল করতে বলেন। সকলকে আক্বীদা বিশুদ্ধ করে হাক্বীক্বী হিদায়েত লাভ করার, ইসলাম বুঝার, খালিছ মুসলমান হওয়ার, কুরআন শরীফ বুঝার, এবঙ হাক্বীক্বী ইছলাহ লাভ করার মাধ্যমে উনাদের খাছ সন্তুষ্টি হাছিল করার কথা বলেন।
এ মাহফিলে দেশের সকল জেলা থেকে হাজার হাজার ভক্ত, মুরিদান ও আশেকীনগণ উপস্থিত হন। মাহফিলে বিভিন্ন জেলার দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহগু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংশ্লিষ্ট অর্ধ শতাধিক বিষয়ে দলীল ভিত্তিক মুল্যবান আলোচনা করেন।
স্মর্তব্য পবিত্র রবিউল আউয়াল শরীফ উপলক্ষে রাজারবাগ শরীফে সাইয়্যিদাতুন নিসা, আফযালুন নিসা, কায়িম মকামে উম্মাহাতুল মুমিনীন, হাবীবাতুল্লাহ, আওলাদে রসূল হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া-এর মুবারক তত্ত্বাবধানে খাছ পর্দার সাথে মহিলাদের বিশেষ তালিক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতি শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে বাদ আছর, সোমবার শরীফ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মি: পর্যন্ত তালিম তালকীন অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া ১ রবিউল আউয়াল শরীফ বুধবার থেকে ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ রবিবার পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ২.১৫ মি: থেকে আছর পর্যন্ত মহিলাদের বিশুদ্ধ করে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত ও বিভিন্ন মাসয়ালা-মাসায়িল সংক্রান্ত তালিম প্রদানের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয় প্রতিদিন নিয়মিত তালিম হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইনশাআল্লাহ শেষ দিন পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৩ রবিউল আউয়াল শরীফ, ওলীয়ে মাদারজাত, মুস্তাজাবুদ দাওয়াত, ছহিবে ইসমে আ’যম, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মুবারক বেছাল শরীফ। এ দিন রাজারবাগ দরবার শরীফ সুন্নতি জামে মসজিদে কাছীদা শরীফের (সামার) মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ