আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

সংখ্যা: ১৬১তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদন: আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরোধিতা করে আবু জেহেল, আবু লাহাব যেমন ধ্বংস হয়ে গেছে একইভাবে যারা হক্কের বিরোধিতা করবে, তারাও ধ্বংস হয়ে যাবে।

ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, কুতুবুল আলম, সুসতানুন নাছীর, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, রাজারবাগ শরীফের মামদুহ মুর্শিদ কিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর মজলিসে আলোচনায় একথা বলেন।

উল্লেখ্য, ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীরে আযম মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী গত ১৭ নভেম্বর/০৬ ঈসায়ী রোজ শুক্রবার থেকে ৮ ডিসেম্বর/০৬ ঈসায়ী পর্যন্ত দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ১১ জেলায় ২২ দিনের দীর্ঘ ছফর করেন।

১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার, বগুড়া ভাই পাগলা মাজার জামে মসজিদে মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী জুমুয়ার নামাযের ইমামতি করেন। ১৮ ডিসেম্বর শনিবার, বগুড়ার বিশিষ্ট সূফী জনাব মুহম্মদ মুযাহিল ইসলাম ছাহেবের খানকা শরীফ প্রাঙ্গণে ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিলে মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। এছাড়া এ দু’দিন তিনি ডি.টি.টি. আই রেষ্ট হাউজে আগত অগণিত লোকদের ডা’লীম-তালকীন দেন ও বাইয়াত করেন। অপরদিকে কায়িম মকামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাল্লাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হয়ূর ক্বিবলা মুদ্দা জিলহাল আলীয়া-এর খানকা শরীফে হাজার হাজার মহিলা তালীম-তালকীন গ্রহণ করেন।

১৯, ২০ নভেম্বর, রবি ও সোমবার জয়পুরহাটের হোটেল সৌরভে অবস্থান, তালীম-তালকীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে কায়িম মকামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাল্লাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযুর কিবলা মুদ্দা জিল্লুহান আলীয়া-এর খানকা শরীফে হাজার হাজার মহিলা তালীম-তালকীন গ্রহণ করেন।

২১ নভেম্বর মঙ্গলবার, পঞ্চগড় আল ইসলাম হোটেলে অবস্থান, তালীম-তালকীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। মুজাদ্দিদে আ’যম-এর নিকট স্থানীয় বিপুল সংখ্যক জনতার তালীম গ্রহণ এবং আরেকদিকে কায়িম মকামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা ইষুর কিবলা মুদ্দা ख़িরুহান আলীয়া-এর খানকা শরীফে হাজার হাজার মহিলা ভালীম-তালকীন গ্রহণে কথিত ইসলামী দল জামাত-শিবির, তাবলীগী, খারিজী ও কাদিয়ানী সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিত নীল নকশা অনুযায়ী মুজাদ্দিদে আযমের অবস্থান ও তা’লীমকে কেন্দ্র করে ফিৎনা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় । কথিত ইসলামী জোটভুক্ত সন্ত্রাসীরা এডিশনাল এসপি নওরোজ-এর নির্দেশে চিহ্নিত দলের কিছু পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদেই মাঠে রক্ষিত ১৫টি গাড়ী ভাংচুর করে। এদিকে রাজারবাগ শরীফের মামদুহ হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর রোবের কাছে নীল নকশাকারীদের বড় ধরনের নাশকতামূলক পরিকল্পনা পন্ড হয়ে যায়। পরে তিনি অন্যান্য জেলার মত যথাসময়ে পঞ্চগড় ত্যাগ করেন ।

২২ নভেম্বর, বুধবার সৈয়দপুরের প্রিন্স হোটেলে তা’লীম-তালকীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। এস্থানে কায়িম মক্কামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া-এর বানকা শরীফে হাজার হাজার মহিলা তালীম-তালকীন গ্রহণ করেন ।

২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতি, শুক্র, শনি ও রবিবার রংপুরের জনাব কাওছার জামান বাবলা ছাহেবের বাসভবনে অবস্থান, তা’লীম, তালকীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে কায়িম মক্কামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া-এর খানকা শরীফে হাজার হাজার মহিলা তালীম-তালকীন গ্রহণ করেন। ২৪ নভেম্বর রংপুর মাহিগঞ্জ সর্দারটারী জামে মসজিদে মুজাদ্দিদে আ’যম জুমুয়ার নামায পড়ান। ২৫ নভেম্বর শনিবার, উক্ত মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিলে তিনি প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন।

২৭, ২৮ নভেম্বর সোম, মঙ্গলবার লালমনিরহাট নর্থ বেঙ্গল রেষ্ট হাউজে অবস্থান, তা’লীম-তালকীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে কায়িম মক্কামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হযর কিবলা মুদ্দা জিল্লুহান আলীয়া-এর খানকা শরীফে হাজার হাজার মহিলা তালীম-তালকীন গ্রহণ করেন। ২৮ নভেম্বর হোটেলের বাহিরে বিডিআর গেট প্রাঙ্গণে ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

২৯, ৩০ নভেম্বর বুধ ও বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা জেলার হোটেল আর রহমানে অবস্থান, তা’লীম, তালকীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে কায়িম মকামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা ইঘুর কিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া-এর খানকা শরীফে হাজার হাজার মহিলা তালীম-তালকীন গ্রহণ করেন। ৩০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

১২ ডিসেম্বর শুক্র ও শনিবার নাটোরের হোটেল রুখসানায় অবস্থান, তা’লীম, তালকীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে কারিম মক্কামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাল্লাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযূর কিবলা মুদ্দাজিলুহান আলীয়া-এর খানকা শরীফে হাজার হাজার মহিলা তালীম-তালকীন গ্রহণ করেন। ২ ডিসেম্বর উক্ত হোটেলের ২য় তলার হলরুমে ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

৩, ৪ ডিসেম্বর রবি ও সোমবার, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটের আলীসাহাসপুর গ্রামে জনাব মুহম্মদ আইয়াৰ আলী ও জনাব মুহম্মদ মুবারক আলী মাস্টার সাহেরের বাসভবনে অবস্থান তালীম-তালকীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে কারিম মকামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযূর কিবলা মুদ্দা জিল্লুহান আলীয়া-এর খানকা শরীফে হাজার হাজার মহিলা তালীম-তালকীন গ্রহণ করেন। একারণে স্থানীয় জামাত-শিবির, তাবলীগী ও খারিজীরা পঞ্চগড়ের কায়দায় হামলা করার এবং তাজদীদী কাফেলাকে ভোলাহাটে ঢুকতে না দেয়ার হুমকী প্রদান করে। হুমকীর জবাবে আঞ্জুমান কর্মীরা দৃঢ় অবস্থান নিলে উলামায়ে ছু’রা পালিয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর রবিবার, মুন্সিগঞ্জহাটখোলা মাঠে বিরাট ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ৪ ডিসেম্বর, ভোলাহাটের মুন্সিগঞ্জ জামে মসজিদে মুজাদ্দিদে আ’যম মাগরিবের নামাযে ইমামতি করে।

৫, ৬ ডিসেম্বর, মঙ্গল ও বুধবার নওগাঁ জেলার ইসলামপুর (রামভদ্রপুর) গ্রামের জনাব মুঈনুদ্দীন, মুহম্মদ সরওয়ার এবং মুহম্মদ আব্দুল লতিফ সাহেবের রাইছ মিলে অবস্থান, তা’লীম-তালকীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে কায়িম মকামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাতুল্লাহ্, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া-এর খানকা শরীফে হাজার হাজার মহিলা তালীম-ডালকীন গ্রহণ করেন। ৬ডিসেম্বর, বুধবার পার্শ্ববর্তী স্থানীয় ঈদগা মাঠে ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উলামায়ে ছু’রা মাহফিল বানচালের চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা ও আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর শত সহস্র কর্মীরা মাহফিল বানচালের পাল্টা জবাবে বিশাল মিছিল করে তাদের অপতৎপরতা পন্ড করে দেয়।

৭, ৮ ডিসেম্বর, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সিরাজগঞ্জের হোটেল পূবালীতে অবস্থান, তা’লীম-তালকীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে কায়িম মক্কামে উন্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযূর কিবলা মুদ্দা জিল্লুহান আলীয়া-এর খানকা শরীফে হাজার হাজার মহিলা তালীম-তালকীন গ্রহণ করেন। ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার হোটেল পূবালীর ছাদে হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী জুমুয়ার নামায পড়ান। নামায শেষে স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলা হতে আগত, শত শত আঞ্জুমান কর্মীদের নিয়ে উলামায়ে ছু’দের বিরুদ্ধে বিশাল শান্তিপূর্ণ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে হোটেল চত্ত্বরে ফিরে আসে। কিছুক্ষণ বক্তৃতা ও তাকবীর ধ্বনির পর চিহ্নিত ইসলামী দলের সমর্থক পুলিশের এসআই রবিউল আঞ্জুমান কর্মীদের তিরষ্কারমূলক কথা ও আচরণের মাধ্যমে উষ্কানী দিতে থাকে এবং আঞ্জুমান কর্মীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ও গুলি ছোড়ার হুমকি দেয়। বিতর্কিত এসআই রবিউলের আচরণে আঞ্জুমান কর্মীরা আরো দৃঢ় হতে থাকলে এক পর্যায়ে সে ওসির নির্দেশে সরাসরি আজমান কর্মীদের লক্ষ্য করে প্রায় ৫৭ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। শেলের আঘাতে ঘটনা স্থলেই ৬/৭ জন আহত হন। হোটেলেই আহতদের ডাক্তারী চিকিৎসা দেয়া হয়।

আল্লাহ পাক-এর অসীম রহমতে মুজাদ্দিদে আযমের রোবের দাপটে এখানেও উক্ত মহলের চক্রান্ত নস্যাৎ হয়ে যায়। পরে যথা সময়ে পুলিশ ও র‍্যাব স্বসম্মানে সফরের গাড়ীর বহরকে যমুনা ব্রীজ পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

আনজুমানে ও আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ