আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদন: গণতন্ত্রের মাধ্যমে কখনোই ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। বরং বর্তমান সময়ে ইসলাম তথা ইসলামী আকাইদ, তর্জ-তরীক্বা উঠিয়ে দিয়ে কুফরী মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে গণতন্ত্র। ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম কুতুবুল আলম, সুলতানুন্ নাছীর, আওলাদে রসূল, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর বিশেষ মজলিশে আলোচনায় একথা বলেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র কখনোই শান্তি দিতে পারেনা। যেখানে গণতন্ত্র থাকবে সেখান ইসলাম থাকতে পারে না। আর যেখানে ইসলাম থাকবে সেখানে গণতন্ত্রের কোন স্থান থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক এবং তাঁর হাবীব, আখিরী রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুবারক মত ও পথ এবং তাঁদের সাথে তায়াল্লুক-নিছবত থেকে বিচ্যূত হওয়ার কারণেই মুসলমানেরা আজকে তাদের মুসলমানিত্ব হারিয়েছে ইহুদী নাছারাদের গোলামে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, যুগে যুগে মুসলমানদের এই অধঃপতন, তাদের উপর ইহুদী-নাসারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের জুলুম-নির্যাতনের পিছনে কাজ করেছে যুগের উলামায়ে ছূ’রা। তিনি আরো বলেন, যখই ইহুদী-নাসারারা কোন মুসলিম কওম-জাতি বা দেশকে ক্ষতি করতে চেয়েছে তখনই তারা হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে উলামায়ে ছূ’দের। উলামায়ে ছূ’রা ইহুদী নাসারাদের থেকে স্বার্থ হাছিল করে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের বিপরীত কুফরী ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করেছে। তাদেরকে হক্বের বিরোধী করে, যুগের হক্কানী-রব্বানী ওলী-আওলিয়াগণের শত্রু করে, আল্লাহ পাক-এর রহমত থেকে বঞ্চিত করে, আযাব-গজবে গ্রেপ্তার করে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। উলামায়ে ছূ’দের চিহ্নিত করে তাদের ধোকা এবং প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্যে তিনি তাদের আলামত বর্ণনা করে বলেন, বর্তমান সময়ে উলামায়ে ছূ’দেরকে চেনা খুবই সহজ হয়েছে। তাদের আলামত হচ্ছে, তারা পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনকে বিদয়াত ও নাজায়িয বলে ফতওয়া দেয়, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মাটির অথবা জাতী নূরের তৈরী বলে আখ্যা দেয়, মক্কা শরীফ, মদীনা শরীফ সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে সিসি টিভি স্থাপনকে জায়িয ফতওয়া দান করে, ইসলামের নামে গণতন্ত্র, ভোট, নির্বাচন করে, ছবি তোলে, বেপর্দা হয়, মহিলা নেতৃত্ব গ্রহণ করে, টিভি চ্যানেলে গ্রোগ্রাম করে, হরতাল, লংমার্চ, ব্লাসফেমী আইন, কুশপুত্তলিকা দাহ করে, পুজা না করলে মুর্তি তৈরী জায়িয বলে, মৌলবাদ দাবী সহ মেয়েদের কুস্তি-ফুটবল খেলা জায়িয, বিশ্বকাপ, ক্রিকেট খেলা, ফুটবল খেলা দেখা জায়িয ফতওয়া দেয়, ভোটকে আমানত বলে, সুদকে রাষ্ট্রীয় সুবিধা বলে চাঁদ না দেখেই একদিন আগে রোযা ও ঈদ পালন করে, সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালনের ঘোষণা দেয়, বেপর্দা হয়ে মহিলাদের সাথে একত্রে বসে ইফতার করে, ইসলামকে বিক্রি করে ধর্মব্যবসা করে, হারাম মুতা বিবাহকে জায়িয ফতওয়া প্রদানসহ যাবতীয় হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল বলে ফতওয়া দেয়।
তিনি বলেন, মুসলমানদের সময় হয়েছে, মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসান পাঠের, তা প্রচার এবং প্রসারের মাধ্যমে উলামায়ে ছু’দের আলামত দেখে তাদের চিহ্নিত করে তাদের থেকে নিজের এবং মানুষের ঈমান, আমল ও আক্বীদার হিফাযত করে সঠিক ইসলাম তথা হক্বের উপর ইস্তিকামত থাকার কোশেশ করা। তাহলেই তারা আল্লাহ পাক-এর ঘোষিত গায়েবী মদদ প্রাপ্তির মাধ্যমে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওয়াহ লাভ করে তার সঠিক ফায়দা ও কল্যাণ হাছিল করতে পারবে।
তিনি বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি থেকে গণতন্ত্রের কুফল এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম-এর সময়ের সুখ-সমৃদ্ধি, শান্তি দেখে খিলাফত আলা মিন হাজিন নুবুওয়ার সুফল উপলদ্ধি করার এবং হক্ব গ্রহণের মাধ্যমে হাক্বীক্বী মুসলমানিত্ব অর্জন করার কথা বলেন।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ