আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

সংখ্যা: ১৫৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ আল্লাহ পাক এর রহমত এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইহসান ব্যতীত কারো পক্ষে হক্বের উপর ইস্তিক্বামাত থাকা সম্ভব নয়। ইসমে আ’যম, মুযাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, সুলতানুন নাছীর, আওলাদে রসূল, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ রাজারবাগ শরীফের মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বিশেষ মজলিসে আলোচনাকালে একথা বলেন। তিনি বলেন, উলামায়ে ছূ’রা সুন্নতকে বাদ দিয়ে হারামের মধ্যে দৃঢ় থাকার কারণে আল্লাহ পাক-এর রহমত থেকে মাহরূম হয়ে গোমরাহীর মধ্যে নিপতিত হয়েছে। তিনি বলেন, মুসলমানরা আজকে তাদের মুসলমানিত্ব হারিয়ে কুফরীতে লিপ্ত হয়েছে। তারা আজকে বেদ্বীন-বদদ্বীন, কাফির, মুশরিকের অনুসরন, অনুকরণে মশগুল। অথচ তাদের উচিত ছিল আল্লাহ পাক এবং তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পিছনে থাকা, তাহলে কাফির-মুশরিকরা তাদের পিছনে ঘুরত। অথচ আজ মুসলমানরা কাফির-মুশরিকদের পিছনে ঘুরে ঘুরে চরমভাবে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হচ্ছে। তিনি বলেন, মুসলমানদের এই অধঃপতনের জন্য মূলতঃ ওলামায়ে ছূ’রাই দায়ী। কারণ তারা কখনোই মুসলমানদেরকে হারাম থেকে সতর্ক করছে না, সাবধান করছে না বরং তারা নিজেরাই হারামের মধ্যে মশগুল হচ্ছে এবং আম জনতাকে উৎসাহিত করছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালের বিশ্বকাপ ফুটবলই এর জ্বলন্ত প্রমান। এই হারাম বিশ্বকাপ ফুটবলকে উলামায়ে ছূ’রা হারামতো বলেইনি বরং অনেক মসজিদের ইমাম-খতীব, মাদ্রাসার মুহতামিম-শিক্ষক তারা হারাম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখেছে এবং ফযরের নামাযকে পিছিয়ে দিয়েছে। অথচ এই খেলা-ধুলা সম্পর্কে ইসলামী শরীয়তের স্পষ্ট ফায়সালা হচ্ছে, ইসলামে যে কোন খেলাধুলা কোন শর্ত ছাড়াই নাজায়িয ও হারাম। তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, এই হারাম খেলাধুলাকে উলামায়ে ছূ’রা শুধু যে দেখে এবং করেই ক্ষান্ত হচ্ছে তা নয়, বরং তারা এই হারাম খেলাকে জায়িয এবং হালাল করার বিভিন্ন শর্ত শারায়েতও যুক্ত করছে। যেমন জাতীয় মসজিদের তথাকথিত খতীব, কথিত ইসলামী পত্রিকার তথাকথিত সম্পাদক এবং তথাকথিত শাসনতন্ত্র আন্দোলনের কথিত আমীর “মহিলাদের ফুটবল ও কুস্তি খেলাকে জায়িয ফতওয়া দিয়েছে।” তিনি বলেন, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এসব উলামায়ে ছূ’রাই আবার ইসলামের মর্যাদাপূর্ণ বিষয় যেমন, পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনকে বিদয়াত, শিরক, শবেবরাত, শবে ক্বদর পালনকে বিদয়াত ফতওয়া দিচ্ছে। অথচ এসব পালন করা ইসলামী শরীয়তের দ্বারাই ফরয-ওয়াজিব, সুন্নত প্রমাণিত রয়েছে। কাজেই, এখনো সময় রয়েছে এ সমস্ত উলামায়ে ‘ছূ’দের থেকে দূরে থেকে নিজের ঈমান ও আক্বীদার হিফাজত করা এবং হক্বের উপর ইস্তিক্বামাত থাকার কোশেশ করা। এজন্য সকলেরই উচিত নিয়মিত মাসিক আল বাইয়্যিনাত পাঠ করা এবং যামানার মুযাদ্দিদের নিকট বাইয়াত হয়ে, ছোহবত ইখতিয়ার করে সুন্নতের আমলে অভ্যস্ত হয়ে আল্লাহ পাক-এর খাছ রহমত হাছিল করা।

 আল বাইয়্যিনাত সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত  ও মাহফিল সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ