আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ “যত ফিৎনা ফাসাদ এবং হারাম কাজ হতে দেখা যায় তার মূলে আছে উলামায়ে ‘ছূ।”
ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী মজলিসে আলোচনাকালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ডেনমার্কের পত্রিকায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যে কাল্পনিক চিত্র প্রকাশিত হয়েছে এজন্য মূলত: উলামায়ে ‘ছূ’রাই দায়ী। উলামায়ে ‘ছূ’রা ছবি তুলে বলেই ডেনমার্কের পত্রিকায় নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাল্পনিক ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের সাহস পেয়েছে।
তিনি বলেন, এরা ডেনমার্কের পত্রিকায় প্রকাশিত ছবির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নিজেরাই শতসহস্র ছবি তুলছে। কাজেই যারা নিজেরাই হারাম কাজে মশগুল তারা কি করে হারামের বিরোধিতা করবে?
তিনি বলেন, মূলত: সর্বপ্রথম উলামায়ে ‘ছূ’দেরকে সর্বপ্রকার হারাম থেকে বিরত থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারী-’০৬, বৃহস্পতিবার থেকে ৩১ জানুয়ারী-’০৬ মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ৬ দিনের এক সংক্ষিপ্ত বিশেষ তা’লীমি সফর অনুষ্ঠিত হয়। ২৬, ২৭ জানুয়ারী-’০৬, হবিগঞ্জের হোটেল জামিলে অবস্থান, তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ জানুয়ারী-’০৬ বৃহস্পতিবার, পৌরসভা মাঠে ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ২৭ জানুয়ারী-’০৬ শুক্রবার, উপজেলা মসজিদে মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী জুমুয়ার বয়ান করেন ও নামায পড়ান।
২৮, ২৯ জানুয়ারী-’০৬, শনি ও রবিবার মৌলভীবাজারের হোটেল নীদ শোভাতে অবস্থান, তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ জানুয়ারী-’০৬, শনিবার বাদ মাগরীব মৌলভীবাজার জেলার উত্তর মোলায়েম বখশীবাড়ী জামে মসজিদে মীলাদ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ জানুয়ারী-’০৬, রবিবার বুদ্ধিমন্তপুর বাজার সংলগ্ন মার্কেটের সামনে ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
৩০, ৩১ জানুয়ারী-’০৬, সোম, মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের হোটেল নূরানীতে অবস্থান, তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, এখানে ইমাম আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, কুতুবুল আলম, সুলতানুল নাছীর, আওলাদে রসূল, মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর আগমনের সংবাদ পেয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দলে দলে লোকজন এসে সাক্ষাত ও বাইয়াত গ্রহণ করতে থাকলে এবং সেই সাথে মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লহুল আলী-এর হক্ব ফতওয়া- “ইসলামের নামে বেপর্দা হওয়া, গণতন্ত্র করা, ছবি তোলা ইত্যাদি হারাম ঘোষণার প্রেক্ষিতে জনগণের নিকট ওহাবী, খারিজী, জামাতীদের ধর্মব্যবসার হাক্বীক্বত ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে উলামায়ে ‘ছূ’রা রাজারবাগ শরীফের মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর মাহফিল ও অবস্থানকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং মিছিল-মিটিং করে; রাত ১০টা থেকে রাত ১২.০০ মি. পর্যন্ত ইট-পাটকেল নিক্ষেপের মাধ্যমে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদী কার্যক্রম চালায়।
বাতিলের বিরুদ্ধে আপোষহীন, ইমামে আ’যম, মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সুনামগঞ্জে অবস্থানের ব্যাপারে দৃঢ়চিত্ত হলে সুনামগঞ্জ প্রশাসন ও বিশেষতঃ পৌরসভা চেয়ারম্যান স্থানীয় সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের পক্ষে সরাসরি সহায়ক ভূমিকা নেয়ার পরও সুনামগঞ্জের বিডিআর উপ অধিনায়ক নিরাপত্তার ব্যাপারে জোরদার ভূমিকা পালন করে। বিডিআর জাওয়ানদের, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে মৌলবাদী, খারিজী, ওহাবী, জামাতী সন্ত্রাসীরা পলায়ন করে। পরে দু’দিনের অবস্থান পূর্ণ করে মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সম্মানিত আহলে বাইত এবং সফরসঙ্গীসহ সিলেটের উদ্দেশ্যে যথাসময়ে সুনামগঞ্জ ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, ওহাবী, খারিজী ও জামাতী সন্ত্রাসীদের ইট-পাটকেলের আঘাতে তারা নিজেরাই গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। অনেকেই অন্ধ, লুলা, ল্যাংড়া হয়ে যায়। কিন্তু মুজাদ্দিদে আ’যমের খাছ কারামত এবং আল্লাহ পাক-এর খাছ রহমতে মুজাদ্দিদে আ’যম এবং তাঁর মুবারক আহলে বাইত এবং সফরসঙ্গীদের সামান্যতম আচড়ও লাগেনি। তাঁরা সকলেই সুস্থ ও নিরাপদে ফেরেন।
এদিকে গত ১১ ফেব্রুয়ারী-’০৬, শনিবার, রাজারবাগ সুন্নতী জামে মসজিদে হামদ, নাত ও কাছীদা শরীফের দ্বিতীয় সামার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথি হিসেবে তাশরীফ নেন। তাঁর মুবারক উপস্থিতি সামার মাহফিলকে রহমত, বরকত ও সাকীনায় ভরপুর করে তোলে।
আল বাইয়্যিনাত সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ