আল বাইয়্যিনাত শরীফ প্রতিবেদন : যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি স্মরণ করুন সেই সময়ের কথা) যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি (আলমে আরওয়াহতে) সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছ থেকে ওয়াদা নিয়েছিলেন যে, আপনাদেরকে আমি কিতাব ও হিকমত দান করবো। অতঃপর আপনাদেরকে সত্য প্রতিপাদনের জন্য আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রেরণ করবো। আপনারা উনাকে নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে মেনে নিবেন এবং সর্ববিষয়ে উনার গোলামী করবেন (উনার পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবেন)। আপনারা কি এই ওয়াদার কথা মেনে নিলেন? উত্তরে উনারা সকলে বললেন, হ্যাঁ- আমরা এই ওয়াদা স্বীকার করে নিলাম (অর্থাৎ আমরা যমীনে গিয়ে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন পালন করবো)। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন: আপনারা সাক্ষী থাকুন, আমিও আপনাদের সাথে সাক্ষী হয়ে গেলাম। তবে জেনে রাখুন, যারা এই ওয়াদাকৃত বিষয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে (যারা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবে না বা এর বিরোধিতা করবে) তারা চরম পর্যায়ের ফাসিক (ও কাফির) হয়ে যাবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অনুরূপ আরো বহু পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক বা প্রশংসা মুবারক করেছেন। যা মূলত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সর্বপ্রথম সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন। পাশাপাশি বান্দা-বান্দীদেরকেও সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার নির্দেশ মুবারক প্রদান করেন। মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক পালনার্থে খুশী প্রকাশের লক্ষ্যে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- সরকারী-বেসরকারী সকল স্তরে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ জারী করা এবং ব্যাপকভাবে পালনের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া। এ লক্ষ্যে নিম্নোক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা।
১। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানীকর বক্তব্য, লেখা, প্রকাশনা, টিভি প্রোগ্রাম, রেডিও প্রোগ্রাম, ইন্টারনেটে স্ট্যাটাসসহ যে কোন বিষয় প্রচার, প্রকাশ ও প্রদানকারীর শাস্তি মৃত্যুদ- প্রদানের আইন প্রণয়ন করা। মানহানীকর সকল বিষয় নিষিদ্ধ এবং দোষী ব্যক্তির শাস্তি কার্যকরে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২। সব শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুমহান জীবনী মুবারক বাধ্যতামূলক করা। উনাদের শানের খিলাফ বিষয়গুলো প্রত্যাহার করা।
৩। পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ ব্যাপকভাবে পালনে সরকারীভাবে সব মন্ত্রণালয়ে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করা।
৪। দেশের সকল কর্মচারীকে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূর পবিত্র রবিউল আউয়াল শরীফ মাসে বোনাস প্রদান করা।
৫। সরকারী-বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে-মাদরাসায় সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ দিবসে বিশেষ মীলাদ শরীফ মাহফিল ও তাবারুকের আয়োজন করা।
৬। পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ ১২ই শরীফ সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতায় রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা ও নিম্নোক্ত কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা।
ক) দেশের সব সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ ব্যাপকভাবে উদযাপনে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে নির্দেশনা জারী করা।
খ) দেশব্যাপী সরকারী-বেসরকারী স্থাপনাসমূহ মনোরম সাজে সজ্জিত করা।
গ) পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিলি আ’দাদ ১২ই শরীফ দিবসে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি এবং নিজ নিজ এলাকায় মন্ত্রী-এমপি কর্তৃক সর্বস্তরের জনগণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করা।
ঘ) মাসব্যাপী সরকারী ছুটি প্রদান করা।
ঙ) বছরব্যাপী পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার তাহযীব-তামাদ্দুন প্রচার ও সামাজিক অনুষ্ঠানসূচী ঘোষণা করা। যেমন, ওয়াজ মাহফিল, দ্বীনি তা’লীমের ব্যবস্থা, ইসলামী কিতাব প্রদর্শনী, সামরিক প্রদর্শনী, পতাকা উত্তোলন, অস্বচ্ছল ও বেকারদের চাকুরী ও বিবাহের ব্যবস্থা করে দেয়া, গৃহহীনদের গৃহ দেয়ার ঘোষণা দেয়া।
চ) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ দিবসকে বিশ্বছুটির ঘোষণার উদ্যোগ গ্রহণ করা।
১। পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে সরকারী-বেসরকারী সব প্রতিষ্ঠানে ছাড় দেয়া এবং বিশেষ পণ্য সামগ্রী তৈরী করার ব্যবস্থা করা।
২। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে বিশেষভাবে প্রতিযোগীতার আয়োজন করা।
৩। সর্বস্তরে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ জারী করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো স্বতন্ত্র শক্তিশালী গবেষণা কেন্দ্র এবং পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা।
৪। সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ দিবস মুবারকে দেশের সব মসজিদ-মাদরাসা, ইয়াতীমখানা, মাজার শরীফসহ সব গরীব, দুঃখীদের নতুন পোশাক, ওষুধ বিতরণ, নগদ অর্থ বরাদ্দ ও বিশেষ খাবার সরবরাহ করা।
৫। সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ ১২ই শরীফ উনার সম্মানে সর্বপ্রকার অশ্লীল ও অশালীন কাজ বন্ধ করা। দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেটে পর্নো এবং টিভি সিরিয়াল এবং সুন্দরী প্রতিযোগীতা, খেলাধুলাসহ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী সর্বপ্রকার কার্যক্রম বন্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া।
৬। দেশের সকল বিভাগ, জেলা, থানাভিত্তিক তথা দেশব্যাপী সব ধরণের প্রতিষ্ঠানে সর্ব সাধারণের মধ্যে প্রতিযোগীতার আয়োজন করা। যাতে সবাই ‘ফালইয়াফরাহু’ বা খুশী প্রকাশ করতে পারে। পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপন কমিটিকে সর্বোচ্চ সরকারী উদ্যোগ গ্রহণ এবং পৃষ্ঠপোষকতা করা।
মাহফিল সংবাদ
পৃথিবীর ইতিহাসে নজীরবিহীন অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিশেষ শান মুবারক ৬৩ দিনব্যাপী বিশেষ মাহফিল
খ¦লীফাতুল্লাহ, খ¦লীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কর্তৃক পৃথিবীর ইতিহাসে নজীরবিহীন অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিশেষ শান মুবারক ৬৩ দিনব্যাপী আয়োজিত বিশেষ মাহফিল উনার ১ম ৩০ দিন প্রতিদিন সকাল ৯ ঘটিকা থেকে বাদ ইশা ছোহবত মুবারক পূর্ব পর্যন্ত রাজারবাগ শরীফ পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদে প্রতিযোগীতা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় । পবিত্র হামদ শরীফ, নাত শরীফ, ক্বাছিদা শরীফ, মীলাদ শরীফ, শাজরা শরীফ পাঠ, আযান-ইক্বামত, জানাযার নামায, কবিতা আবৃত্তি, বিষয়ভিত্তিক-উপস্থিত-বিভিন্ন ভাষায় ওয়াজ শরীফ, রচনা, জুমুয়া ও ঈদের খুতবা, হিফযুল কুরআন শরীফ, হিফযুল হাদীছ শরীফসহ আরো অনেক বিষয়ে প্রতিযোগীতা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ ব্যাপকভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সারাদেশে সকল থানা পর্যায়ে ফালইয়াফরাহু মাইকিং, পোষ্টারীং, ব্যানার প্রদর্শন, লিফলেট বিতরণ ইত্যাদি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি স্ক্রিনপ্রিন্ট, ষ্টিকার, পতাকা, মাথার মুকুট, ব্যাজ, চকলেট, প্যাড, কলম, মানিব্যাগসহ বিভিন্ন ফাল ইয়াফরাহু সামগ্রী বের করা হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এবং মুসলমান মাত্রই ব্যাপকভাবে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে ৬৩টি বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ ১২ই শরীফ বাদ ফজর সারা বিশ্ব থেকে কোটি কোটি কণ্ঠে একযোগে মীলাদ শরীফ পাঠ এবং শত শত গাড়ীর বহর নিয়ে ঢাকা মহানগর প্রদক্ষিণ এবং রাজধানীর প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে মীলাদ শরীফ পাঠের ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া পুরো রাজধানী জুড়ে বহু সংখ্যক প্যাকেট তবারুক বিতরণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, ৬৩ দিনের বিশেষ মাহফিল ছাড়াও রাজারবাগ শরীফ সুন্নতি জামে মসজিদে আরো অনেক সম্মানিত দিবসসমূহ পালিত হয় এবং মাহফিলে প্রতিদিনই বিশেষ তবারুক বণ্টন করা হয়।
পালিত অন্যান্য বিশেষ মাহফিল সমূহ:
১ মুহররমুল হারাম: খলীফায়ে ছালিছ, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফতি শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
২ মুহররমুল হারাম: আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খয়রুল বাশার, সাইয়্যিদুল আরব, আবুল বাশার, ছহিবু নূরে মুজাসসাম হযরত যবিহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সুমহান পবিত্র বিছালী মুবারক প্রকাশ দিবস।
৫ মুহররমুল হারাম: ক) উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত তাসিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশ। খ) সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
৮ মুহররমুল হারাম: সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নুরূল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
১০ মুহররমুল হারাম: ক) সাইয়্যিদুশ শুহাদা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শাহাদাতি শান মুবারক প্রকাশ দিবস খ) পবিত্র আশূরা শরীফ।
১৬ মুহররমুল হারাম: উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশ।
২৩ মুহররমুল হারাম: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত তাসিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস।
২৫ মুহররমুল হারাম:
ক) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মুমিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস। খ) উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। গ) সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রাবি আলাইহিস সালাম উনার শাহাদাত মুবারক তথা বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
২৬ মুহররমুল হারাম: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ।
৩ ছফর শরীফ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস।
৫ ছফর শরীফ: উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
৭ ছফর শরীফ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি আলাইহিস সালাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ।
২৪ ছফর শরীফ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মুমিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস।
সফর মাসের শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার): পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ।
২৮ ছফর শরীফ: ক) সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। খ) হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিছাল শরীফ।
এসব আইয়্যামুল্লাহ শরীফে খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার সরাসরি মুবারক পৃষ্ঠপোষকতায় ওয়াজ শরীফ ও মকবুল মুনাজাত শরীফ উনার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।। সুবহানাল্লাহ!
একইভাবে সাইয়্যিদাতুন নিসা, আফযালুন নিসা, ইমামাতুস সিদ্দীকা, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম, উম্মুল উম্মাহাত, আফদ্বালুন নিসা বা’দাল আম্বিয়ায়ি ওয়া উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, যামানার উম্মুল মু’মিনীন, আওলাদে রসূল, নুরে জাহান, আল মাবরুরা, আল মাহযুবা, আল ক্বারীবা ওয়াল মুক্বাররিবা, হাবীবাতুল্লাহ, আওলাদে রসূল, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হূযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক পৃষ্ঠপোষকতায় মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বালিকা মাদরাসায় বেলা ১:১৫ মিনিট থেকে প্রতিদিন ও আইয়্যামুল্লাহ শরীফসমূহে ‘ফাল ইয়াফরাহু’ মাহফিলসহ অন্যান্য সমস্ত মাহফিলই অনুষ্ঠিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
এসব সুমহান দিবস মুবারক উপলক্ষে আজীমুশ্বান ওয়াজ শরীফ, সামা শরীফ লে, প্রতিযোগীতা, মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ, বিশেষ মক্ববুল দোয়া-মুনাজাত শরীফ করা হয় এবং দৈনিক আল ইহসান শরীফ উনার বিশেষ সংখ্যা, বিশেষ রেসালা শরীফ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি ব্যাপক আয়োজনে তবারুক মুবারকও বিতরণ করা হয়।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার মাহফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ