আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ “মনগড়াভাবে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিলফুল ফুযূল করার কারণেই মানুষকে হিদায়েতের দিশা দিতে ব্যর্থ হন।” (নাঊযুবিল্লাহ) একথা বলা কাট্টা কুফরী। এ বক্তব্যের দ্বারা মূলত আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি চিহ্নিত গোষ্ঠীর কুফরী ও বদ আক্বীদারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। একথার দ্বারা তারা যে ইহুদীদের ক্বায়িম-মক্বাম সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।
ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- শিবির সভাপতির প্রেসক্লাবে প্রদত্ত কুফরীমূলক বক্তব্যের জবাবে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ইহুদীদের বিদ্বেষের মূল লক্ষ্যস্থল ছিলেন আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ইহুদীরা কোনভাবেই আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মেনে নিতে পারেনি। ঠিক একইভাবে খারিজী, ওহাবী, তাবলীগী, দেওবন্দী, জামাতীদেরও বিদ্বেষের মূল লক্ষ্যস্থল হচ্ছেন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মর্যাদা বা তাঁর সংশ্লিষ্ট মর্যাদাপূর্ণ কোন বিষয়কেই মেনে নিতে পারেনা বরং মর্যাদা ও সম্মান এর বিপরীত যত রকমের অবমাননামূলক কথা রয়েছে, বদ আক্বীদা রয়েছে সেগুলো প্রচারে তারা বল্গাহীনভাবে সোচ্চার।
কথিত ইসলামপন্থী এক ব্যক্তি বলেছে, “হেরা গুহায় ওহী লাভের পরই তিনি মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিতে সক্ষম হন।” (নাউযুবিল্লাহ)
ইমামে আ’যম, হাবীবে আ’যম, মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, একথাও কাট্টা কুফরী। কারণ, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সৃষ্টিই হয়েছে নবী এবং রসূল হিসেবে। হেরা গুহায় ওহী লাভ মূলতঃ নুবুওওয়াতের আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। মূলতঃ সবসময় এবং সর্বাবস্থায় তিনি নবী এবং রসূল ছিলেন এবং আছেন আর তিনি সবসময়েই সকলের জন্যে আদর্শ। তিনি ওহী প্রাপ্তির পূর্বে যা করেছেন তাও আল্লাহ পাক-এর পক্ষ হতেই করেছেন। কাজেই তিনি “ওহীর পূর্বে হিলফুল ফুযূল গঠনের মাধ্যমে মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন” একথা কোন মুসলমান দাবীদারের পক্ষে বলা কস্মিনকালেও সম্ভব হতে পারেনা।
তিনি সকলকে এসব ইহুদীরূপী কথিত ইসলামপন্থীদের কুফরী আক্বীদা ও বদ ছোহবত থেকে দূরে থেকে বিশুদ্ধ আক্বীদা ও খালিছ ওলীআল্লাহর ছোহবত গ্রহণ করার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গত ২ মে-২০০৬ ঈসায়ী, মঙ্গলবার শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনী মাঠে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত শাহজাহানপুর শাখার উদ্যোগে দরছে হাদীছ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ মাহফিলে মুজাদ্দিদে আ’যম মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথি হিসেবে মুবারক বয়ান পেশ করেন।
বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫