আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আহলে বাইতে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৭৩

সংখ্যা: ২৭৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

বিবাহের পূর্বে বরকে ও কনেকে পবিত্র শরীয়তসম্মত পন্থায় দেখা সুন্নত:

বিবাহ মানব জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আগামী দিনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না এ সময়ই রচিত হয়। এমনকি জান্নাত ও জাহান্নামের রাস্তা খুলে যায়। তাইতো কবি যথার্থ বলেছেন-

زن نیک و پارسہ فرماں بود کند مرد درویش را پادشہ

زن بد در سرائی مرد نکوں ھم دریں عالم است دوزخ او

অর্থ: নেককার স্ত্রী গরীব স্বামীকে বাদশাহ বানায়। আর বদকার স্ত্রীর কারণে নেককার ব্যক্তির দুনিয়াটা জাহান্নামে পরিনত হয়। নাউযুবিল্লাহ্ !

পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الدُّنْيَا كُلُّهَا مَتَاعٌ، وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا اَلْمَرْأَةُ الصَّالِـحَةُ.

অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, দুনিয়ার সবটাই সম্পদ। তবে শ্রেষ্ঠতম সম্পদ হচ্ছে নেককার, পরহেযগার, আল্লাহ্ওয়ালী আহলিয়া বা স্ত্রী। সুবহানাল্লাহ্! (মুসলিম শরীফ)

নেককার, পরহেযগার, আল্লাহওয়ালী আহলিয়া বা স্ত্রী দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম সম্পদ। যারা নেককার, পরহেযগার আল্লাহওয়ালী আহলিয়া বা স্ত্রী লাভ করতে পারে তারা অবশ্যই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। তাই নিকাহ্ বা বিবাহ করার পূর্বে পাত্র পাত্রীকে এবং পাত্রী পাত্রকে পবিত্র শরীয়ত সম্মত পন্থায় দেখা সম্মানিত দ্বীন ইসলামে সুন্নত স্বীকৃত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হযরত আবু হুরায়রাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একদিন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে বসা ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি উনার খিদমত মুবারকে হাযির হলেন। সে ব্যক্তি বললেন, ইয়া রসূল্লাল্লাহ্! ইয়া হাবীবাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!!

فَأَخْبَرَهٗ أَنَّهٗ تَزَوَّجَ اِمْرَأَةَ مِّنَ الْأَنْصَارِ. فَقَالَ لَهٗ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْظَرْتَ إِلَيْهَا؟ قَالَ لَا قَالَ: فَاذْهَبْ فَانْظُرْ إِلَيْهَا، فَإِنَّ فِـيْ أَعْيُنِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا

অর্থ: আমি আনসারী একজন মেয়েকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিয়েছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি কি তাকে দেখেছেন? তিনি বললেন, না। আমি তাকে দেখিনি। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, বিবাহের পূর্বে উনাকে দেখে নিন। কেননা, আনসারীগণের (কোন কোন লোকের) চোখ ত্রুটিযুক্ত (লাল চোখ বিশিষ্ট) হয়ে থাকে। (মুসলিম শরীফ)

উল্লেখ্য যে, মানুষ মাত্রই কিছু না কিছু ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে বিবাহের পূর্বে তা দেখে নিলে পরবর্তীতে ফিতনা-ফাসাদ মুক্ত থাকা সহজ ও সম্ভব হয়। আর আহাল-আহলিয়ার মাঝে মুহব্বতের কারণ হয়। মুহব্বত বৃদ্ধি পায়। মুহব্বত বৃদ্ধিতে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না। অন্যথায় পরবর্তীকালে তা মনোমালিন্য সৃষ্টির কারণ হয়। এমনকি তা বিচ্ছেদের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত মুগীরা ইবনে শো’বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন-

خَطَبْتُ اِمْرَأَةً، فَقَالَ لِـيْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْظَرْتَ إَلَيْهَا؟ قُلْتُ: لَا، فَقَال: اُنْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّهٗ أَحْرٰى أَنْ يَّؤَدِّمَ بَيْنَكُمَا.

অর্থ: আমি একজন নারীকে বিবাহের প্রস্তাব করলাম। বিষয়টি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে পৌঁছে গেল। তিনি আমাকে বললেন, আপনি কি উনাকে দেখে নিয়েছেন? আমি বললাম,না, আমি উনাকে দেখিনি। তিনি বললেন, আপনি উনাকে দেখে নিন। কেননা, ইহা (পরে) আপনাদের উভয়ের মধ্যে অধিক মুহব্বতের কারণ হবে। (মুসনাদে আহমাদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসায়ী শরীফ, ইবনে মাজাহ্ শরীফ, দারিমী শরীফ)

সাইয়্যিদুল কাওম, মাহবুবুল মা’বুদ, মুছতামবিতুল ইশারাত, রাইয়াতুল মুহতাদীন, নূরুল মুতয়ীন, ওলীউল মুত্তাক্বীন, ইমামুল আদিলীন, কুদওয়াতুল মুত্তাক্বীন, যীনাতুল আরিফীন, ছহিবুল কালবিল উকুল, আহদুল ওয়াফী, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয যামান, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৮

 ইমামুল খইর, আল আর্বারু বিল্লাহ, আহসানুন্ নাস, আখিযুছ্ ছদাক্বাত, আরহামুন্ নাছি বিল ইবাদ, ছাহিবু আহসানিল ক্বওল, আল আ’লামু  বিল্লাহ, আকরামুল আউলিয়াইল্লাহ, আল্ আমির ওয়ান্ নাহী, আছদাকু ফিল্লাহ, যীনাতুল আরিফীন, ছাহিবুল ক্বালবিল উকূল, আহ্দুল ওয়াফী, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৯

মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাওলানা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৯৫ বিবাহের কতিপয় সুন্নত মুবারক-৬

রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম  মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২০

ইমামুল খইর, আল আর্বারু বিল্লাহ, আহসানুন্ নাস, আখিযুছ্ ছদাক্বাত, আরহামুন্ নাছি বিল ইবাদ, ছাহিবু আহসানিল ক্বওল, আল আ’লামু  বিল্লাহ, আকরামুল আউলিয়াইল্লাহ, আল্ আমির ওয়ান্ নাহী, আছদাকু ফিল্লাহ, যীনাতুল আরিফীন, ছাহিবুল ক্বালবিল উকূল, আহ্দুল ওয়াফী, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২১ –