আল্লাহ পাক বলেন- ‘ভোট আমানত’- তথাকথিত খতীবের এ বক্তব্য আকবরের আমলের আবুল ফজল, ফৈজী গং এবং বৃটিশ আমলের কুখ্যাত মাওঃ নামধারী মালিহাবাদীকেও হার মানিয়েছে।

সংখ্যা: ১৫৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহা মিথ্যাবাদী তথাকথিত খতীব প্রকাশ্যে কুফরী করেছে কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, “নিশ্চয়ই আপনি মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় শত্রুরূপে পাবেন ইহুদীদেরকে।” অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য ইহুদী ষড়যন্ত্র সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। ইহুদী ষড়যন্ত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, ‘কাটা দিয়ে কাটা তোলা।’ এক্ষেত্রে আরেকটা দিক হচ্ছে ইহুদীরা সরাসরি নিজেরা কাজ না করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে খ্রিস্টানদের দ্বারা মুসলামানের ভেতর সে কাজ করিয়ে নেয়। বলাবাহুল্য, ইহুদী লবিং এতই শক্তিশালী যে, তথাকথিত পরাশক্তি খ্রিস্টান দেশ আমেরিকার সরকার কাঠামোতে তার অবিচ্ছেদ্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ। তাই একথা আজ ওপেন সিক্রেট যে আমেরিকায় যে সরকারই আসুক তাকে ঐ ইহুদী লবিং এর কাছে খৎ দিয়েই আসতে হয়। আর ঐ ইহুদী লবিং খ্রিস্টানদের দ্বারা মুসলমান ও ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে। বলাবাহুল্য, এ উপমহাদেশে ওদের সে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের শেকড় বৃটিশ আমলেই প্রোথিত হয়েছিল। সুদূরপ্রসারী এ সিস্টেম বন্দোবস্তের যখন পাকাপোক্ত তখন ওরা গর্বভরে তার প্রকাশও কিছু কিছু করেছিল। তা ধ্বনিত হয়েছিল মেকলের কণ্ঠে- “আমরা এদেশ থেকে চলে যাব ঠিকই কিন্তু আমরা এদেশে এমন একটা জনগোষ্ঠী রেখে যাব যারা রক্ত, গোস্ত, চেহারা বর্ণে হবে এদেশীয়; কিন্তু তাদের চিন্তা চেতনায় তারা হবে ইংরেজ তথা পাশ্চাত্য ঘেষা।” উল্লেখ্য, ইহুদী-খ্রিস্টানদের এ কুটপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সে বৃটিশ আমলেই ওরা ঢের বেশী সফলতা পেতে শুরু করেছিল। এরূপ একটি যবানবন্দী পাওয়া যায়  আবুল মনসুর আহমেদের ‘আত্মকথা’ অবলম্বনে। লামাযহাবী এ লেখক নিজেই তার স্বীকার বটে। যদিও সে তা বুঝতে অক্ষম ছিল।  লেখকের ভাষ্যমতেঃ “কলিকাতা গিয়া দেখিলাম শুধু আমি একার নয়, মুসলিম তরুণ মাত্রেরই মধ্যে একটি চিন্তার বিপ্লব চলিতেছে। যাদের চিন্তার সাথে নিজের চিন্তার ঐক্য দেখিলাম, তাদের মধ্যে বিশেষ করিয়া ইয়াকুব আলী চোধূরী, ডা: লুৎফর রহমান, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, মি: এ ওয়াজেদ আলী, আব্দুল মতিন চৌধুরী, মি: আয়েনুল হক খাঁ প্রভৃতির নাম না করিয়া পারিতেছি না। আমার বাল্যবন্ধু শামসুদ্দীন তো ছিলই। মুসলমান সমাজে নব-জাগরণ আনা সকলেরই উদ্দেশ্য। কিন্তু তা করা যায় কেমন করিয়া? মুসলমানদের এই সার্বিক অধ:পতনের জন্য দায়ী মোল্লারা। এসব ব্যাপারে আমরা প্রায় সবাই একমত ছিলাম। কাজেই সবাই মোল্লা বিরোধী লেখা চালাইলাম। ডা: লুৎফর রহমান, এস ওয়াজেদ আলী, নজরুল ইসলাম, কাজী আব্দুল ওদুদ, হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী ও আমি চুটাইয়া মোল্লা বিরোধী অভিযান শুরু করিলাম। এটাই আমার ‘আয়ানা’র যুগ। ‘সওগাতে’র সম্পাদক মৌ: নাসিরুদ্দিন আমাদের পুরা সমর্থক ছিলেন। অতএব, ‘সওগাত’কে কেন্দ্র করিয়া আমরা একটা বুদ্ধির যুক্তির আন্দোলন শুরু করিলাম। আমাদের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ না থাকিলেও ঢাকা হইতে একই সময়ে অধ্যাপক আবুল হোসেন ও কাজী আব্দুল ওদুদের নেতৃত্বে ‘শিখা’ সম্প্রদায় একই আন্দোলন শুরু করিলেন। আমি কিন্তু শুধু লেখাতেই এই সংস্কার প্রয়াস সীমাবদ্ধ রাখিলাম না। পোশাক পাতিতে, চালে-চলনেও এই সংস্কার প্রবর্তন করিলাম। দাড়িতে কেঁচি লাগাইলাম। কোর্তা খাট করিয়া পান্জাবী বানাইলাম। তহবন্দ ফেলিয়া পায়জামা ধরিলাম। বাবরি কাটিয়া আলবার্ট ফ্যাশন করিলাম। কিন্তু তাতেও তৃপ্ত হইলাম না। কতিপয় বন্ধুতে মিলিয়া ‘এন্টি মোল্লা লীগ’ গঠনের সংকল্প করিলাম। অত:পর এই নব গঠিত প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী সভার আয়োজন করিলাম আলবার্ট হলে। এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করিবার জন্য আমরা মাওলানা আযাদ ছাহেবকে অনুরোধ করিলাম। মাওলানা ছাহেব ঐ সময় বিশেষ কাজে অনেক দিন দিল্লী থাকিবেন বলিয়া নিজে সভাপতিত্ব করিতে পারিবেন না বলিলেন। কিন্তু তার প্রিয় সহচর ও প্রাইভেট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক মলিহাবাদীকে সভাপতি করিতে উপদেশ দিলেন। মাওলানা মহিলাবাদীমাত্র কিছুদিন আগে মিশরের জামেউল আযহার হইতে কৃতিত্বের সঙ্গে ফাইনাল ডিগ্রি লইয়া দেশে ফিরিয়া আসিয়াছেন। তার বিদ্যাবত্তার প্রশংসা দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হইয়াছে। কাজেই মাওলানা আযাদকে না পাওয়ার নৈরাশ্য আমাদিগকে খুব বেশি ব্যথিত করিতে পারিল না। আমরা মাওলানা মলিহাবাদীর সাথে দেখা করিলাম। মাওলানা আযাদ আগেই বলিয়া রাখিয়াছিলেন। অতএব, তিনি আমাদের সভাপতিত্ব করিতে রাজী হইলেন। দেখিলাম, মাওলানা মলিহাবাদী ফুটফুটে গৌরবর্ণ খুব ছূরত সুপুরুষ। মুখ ও বুকভরা লম্বা চাপ দাড়ি। চোখ মুখ হইতে প্রতিভা জ্ঞানের নূর ফাটিয়া পড়িতেছে। খুশী হইলাম। ভাবিলাম, হ্যাঁ! তারিফের চেহারা বটে। এমন ছূরতী সিরতী পাক্কা মুসলমান আলেম দিয়াই আমাদের মোল্লা বিরোধী জিহাদ ভালরূপ চলিবে। সভায় বিপুল জন সমাগম হইলো। মাওলানা মলিহাবাদী মুদ্রিত উর্দূ অভিভাষণ দিলেন। উহা যেমন সুলিখিত, পাণ্ডিত্যপূর্ণ ও যুক্তিপূর্ণ হইয়াছিল তেমনি জনপ্রিয় হইয়াছিলো। তিনি ছহীহ হাদীছ শরীফ ও কুরআন শরীফের বহু উক্তি উদ্বৃত করিয়া প্রমাণ করিলেন যে, মোল্লারা সকল ব্যাপারে ইসলামের কদর্থ করিয়া ইসলামের বদনাম ও বেইজ্জত করিয়াছে এবং মুসলমানদের অধ:পতন ঘটাইয়াছে। মাওলানা ছাহেবের অভিভাষণের যে অংশটি সভাস্থলে সবচেয়ে বেশি অভিনন্দিত হইয়াছিলো তা ছিল এই: ‘তিনি ছহীহ হাদীছ শরীফ(?) হইতে পয়গাম্বর ছাহেবের উক্তি উদ্বৃত করিয়া প্রমাণ করিলেন যে, দাড়ি মোচ মুড়ান বর্তমানে মুসলমানদের জন্য সুন্নতে মোয়াক্কাদা(?)। কারণ পোশাক পাতি ও চেহারা ছবিতে তৎকালীন সভ্য জাতি রোমানদের অনুসরণ করিতে উপদেশ দিতে গিয়াই পয়গাম্বর ছাহেব মুসলমানদিগকে দাড়ি রাখিতে এবং চৌগা পরিতে নির্দেশ দিয়াছিলেন। পোশাক পাতিকে সর্ব স্বীকৃত সভ্য জাতির অনুকরণ না করিলে অমুসলমানেরা মুসলমানগিকে অসভ্য জাতি মনে করিবে এবং ইসলামের সৌন্দর্য বুঝিবার চেষ্টা না করিয়াই আগে হইতে ইসলামের প্রতি বিরুদ্ধ মনোভাব পোষণ করিয়া বসিয়া থাকিবে। তারা বলিবে ঐ অসভ্য ও নোংরা আরবদের আবার একটা ধর্ম কি? ফলে ইসলাম প্রচারে ও প্রসারে বিঘ্ন হইবে। শুধু প্রচারকের পোশাকের দোষে ইসলামের অন্তর্নিহিত সৌর্ন্দয্য সম্বন্ধে মানুষ অজ্ঞ থাকুক, এটা যাতে না ঘটে, সেই উদ্দেশ্যেই পয়গাম্বর ছাহেব চেহারা ও পোশাকে তৎকালীন সভ্য জাতির অনুকরণে মুসলমানদের দাড়ি রাখিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

অতএব, মাওলানা মহিলাহাবাদীর যুক্তি এই, বর্তমান যুগে পাশ্চাত্য জাতিসমূহ সর্বস্বীকৃত মতে শ্রেষ্ঠতম সভ্য জাতি, মুসলমানের পোশাকে পাতিতে তাদের অনুকরণ না করিলে ইসলামের প্রতি বিশ্ববাসীর হেকারত-নফরত ডাকিয়া আনা হইবে। এই কারণে মুসলমানদেরও দাড়ি মোচ মুড়াইয়া চেহারা পোশাকে আধুনিক হইতে হইবে।” মাওলানা ছাহেবের উদ্বৃত হাদীছের প্রামান্যতা বিচারের কোনও অধিকার আমার তখনও ছিলনা, এখনও নাই। কিন্তু তার মুদ্রিত অভিভাষণের কোনও নির্ভরযোগ্য প্রতিবাদ আমার নজরে পড়ে নাই। উদ্ধৃত হাদীছ সমূহকে বিশ্বাসযোগ্য ধরিয়া নিলে মাওলানা মলিহাবাদীর যুক্তির সারবত্তা স্বীকার না করিয়া উপায় নাই। মাওলানা ছাহেবের এই বিপ্লবাত্মক উক্তির সঙ্গে তিনি বিপ্লবী একটি কাজও করিয়াছিলেন। এই সম্মিলনী উপলক্ষে তিনি তার সুন্দর লম্বা দাড়িটি শেভ করিয়া ফেলিয়াছিলেন। এই ঘটনার পরে আরও পঁচিশ বছর মাওলানা ছাহেবের সাথে দেখাশোনা হইয়াছে। ঐ সময় পর্যন্ত তিনি আর দাড়ি রাখেন নাই।” (সূত্রঃ আত্মকথা; লেখক- আবুল মনসুর আহমদ)

পাঠক! লামাযহাবী সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমেদের এ স্বীকারোক্তিতে তৎকালীন তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাহিত্যিক, রাজনীতিক মহলকে কুখ্যাত ঐ ইহুদী-নাছারা গোষ্ঠী ইসলাম ও মুসলমান বিরোধী আমলে উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধকরনে কিরূপ বিভ্রান্ত ও উদভ্রান্ত করেছিলো এবং মাতিয়ে ও লেলিয়ে দিয়েছিলো তার বিশেষ প্রমান প্রতিভাত হয়েছে। ধর্মব্যবসায়ী এই মাওলানারা কতদূর নিকৃষ্ট ও জাহিল হতে পারে এবং ধর্মব্যবসার কারণে তারা ধর্মকে কতটা বিকৃত করতে পারে তার একটা জলন্ত উদাহরণ উপরের কাহিনীতে বিবৃত তথাকথিত মাওলানা মালিহাবাদীর ঘটনা।  ইসলামের প্রচার-প্রসারের নামে, ইসলামের অর্ন্তনিহিত সৌন্দর্য্য মানুষকে অবহিতকরণের লক্ষ্যে সে প্রচারণা চালিয়েছে, … দাড়ি কাটার জন্য, ইসলামের লেবাস ত্যাগ করার জন্য। সে বাহনা দিয়েছে, ‘আধুনিকতার ছোঁয়ায় পরশ লাগাবার জন্য।’ সে উদ্ধৃত করেছে যে, ‘তৎকালীন আমলে রোমানরা সভ্যতার উচ্চ শিখরে ছিলো। তাদের অনুকরণেই আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাড়ি রাখতে বলেছিলেন।’

অথচ সে আযহার বিশ্ববিদ্যালয় হতে মহা কৃতিত্বের সাথে পাশ করে এসেছিলো। কুরআন-সুন্নাহয় আল্লাহ পাক ও আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে অসংখ্যবার ইহুদী-খ্রিস্টানদের খেলাফ করতে বলেছেন এ কথা নিশ্চয়ই তার জানা ছিলো। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তোমরা ইহুদী খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করোনা।” হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে যে জাতির সাথে মিলামিশা করবে তার হাশর-নশর তার সাথে হবে।” মূলতঃ বিজাতীয় অনুসরণ করা যে হারাম এবং এজন্যই যে আশুরার রোজা একটা রাখা মাকরূহ তা অতি সাধারণ মুসলামনেরও জানা। কিন্তু তারপরেও তথাকথিত মাওলানা, ধর্মব্যবসায়ী মালিহাবাদী যুগের সাথে তাল মিলানোর অবকাশে সে ইহুদী-নাছারাদের অনুসরণ করতে বললেন। এবং সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী এ কাজটি তিনি করলেন ইসলামের নামে। আরো কথা হলো যে, সে যুগেও তিনি বললেন যে, খ্রিস্টান তথা পাশ্চাত্য শক্তিই শ্রেষ্ঠ ও সভ্য। এবং তাদেরকেই তিনি অনুসরণ করতে বললেন তাদের সাথে পাল্লা দেয়ার নামে। আর এসবকথাই তিনি বললেন, আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নামে মিথ্যারোপ করে। কুরআন এবং সুন্নাহ্র নামে সম্পূর্ণ বানিয়ে বানিয়ে, মিথ্যা রটনা করে। আল্লাহ পাক বলেন, “তোমাদের মুখ থেকে সাধারণত যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে, তেমনি করে তোমরা আল্লাহ পাক-এর প্রতি মিথ্যারোপ করে বলোনা যে, (আল্লাহ পাক) এটা হালাল ওটা হারাম (করেছেন।)। নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ পাক-এর প্রতি মিথ্যারোপ করে তাদের জন্য কামিয়াবী নেই।” আল্লাহ পাক আরো বলেন, “যে ব্যক্তি ইসলামের প্রতি আহুত হয়েও আল্লাহ পাক সম্পর্কে মিথ্যা বলে, তার চেয়ে বড় জালিম আর কে? আর আল্লাহ পাক জালিম সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেননা।” উল্লেখ্য, তথাকথিত মাওলানা মালিহাবাদী সে যুগে খুব বড় মাওলানা ছিলো। তার অনেক খ্যতিও ছিলো। কিন্তু তারপরেও সে কিরূপ নিকৃষ্ট ধর্মব্যবসায়ী, ধর্মবিকৃতকারী  ও মিথ্যাবাদী ছিলো তা উপরের আলোচনায় এসেছে।  প্রসঙ্গত: আজকের যুগে কি তার নজীর রয়েছে? বলতে হয় এ প্রশ্ন আজ খুবই ঠুনকো। যদিও এ বিষয়ে আমাদের উপলব্ধি আজ খুবই কম। কারণ, এখন শুধু একজন মালিহাবাদী নয় বরং হাজার হাজার মালিহাবাদী রয়েছে। বরং সেদিনের মালিহাবাদীর চেয়ে হাজার গুণ বড় ধর্মব্যবসায়ী তৈরী হয়েছে। এই সেদিনও তথাকথিত খতীব ওবায়দুল হক বললেন যে, “আল্লাহ পাক বলেন, ভোট একটি আমানত।’ অর্থাৎ এটি সরাসরি আল্লাহ পাক-এর নামে মিথ্যা বলা সবচেয়ে বড় জালিম আর জাহিল হওয়া।  এ লেখার প্রথমেই বলা হয়েছিলো যে, ইহুদীরা ইসলাম ও মুসলমানের প্রতি শত্রুতা করতে গিয়ে মুসলমানদের মধ্যে থেকেই ওদের এজেন্ট তৈরী করে। তথাকথিত বুদ্ধিজীবি মহলের পাশাপাশি তথাকথিত মুফতী, মাওলানা, শাইখুল হাদীছ, মুফাস্সিরে কুরআনদেরও ওরা বশ করে, মদদ করে।  আজকের তথাকথিত খতীব, শাইখুল হাদীছ, ইসলামী পত্রিকার সম্পাদক, মুফতী, মাওলানা, মুফাস্সির গং তারই প্রমাণ মাত্র। তারা আজকে ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা মালিহাবাদীর মতই ইহুদী-খ্রিস্টান তথা পাশ্চাত্যকে অনুসরণের জন্য এদেশের মুসলমানদের উদ্বুদ্ধ করছে। মালিহাবাদীর মতই পাশ্চাত্যকে সমসাময়িক দুনিয়ায় শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করেছে।  কারণ, প্রচলিত ভোট, গণতন্ত্র হচ্ছে খ্রিস্টান আমেরিকার ধর্ম। যে জন্য তারা নিজেকে বিশ্বে গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তা বলে মনে করে। যে কারণে তাদের রাষ্ট্রদূত এদেশে গণতন্ত্র তথা ভোটের বিষয়ে বিভিন্ন বাণী দেয়। নির্বাচনে তাদের পর্যবেক্ষক দল নিযুক্ত করে।  কাজেই খতীবের ভোট সমর্থনে তাদেরকেই এ পথের ত্রাণকর্তা তথা শ্রেষ্ঠ বলে প্রতিপন্ন করা হয়। তাদের সাথে পাল্লা দেয়ার নামে, পেরে উঠার নামে তাদেরই অনুসৃত পথ ভোট ও গণতন্ত্রের পথে, ছবি তোলার, বেপর্দা, ব্লাসফেমী ইত্যাদির পথে খতীব গং আজ মুসলমানদের আহ্বান করছে।  আর এসবই তারা করছে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নামে মিথ্যারোপ করে। ধর্মের নামে ধর্মবিকৃত করে। ধর্মের নামে ব্যবসায়িক সুবিধা লাভের জন্যে। এদের সম্পর্কেই আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, “তোমরা অল্প মূল্যের বিনিময়ে আল্লাহ পাক-এর আয়াত শরীফকে বিক্রি করোনা।” (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন