আল বাইয়্যিনাতে আলিমদের বিরোধিতা করা হয়না॥ স্বার্থান্বেষী নামধারী ইসলামী নেতারা নিজেরাই নিজেদের মুখোশ উন্মোচন করে একে অন্যকে না-হক্ব প্রতিপন্ন করে

সংখ্যা: ১৩৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কায়িনাতের মধ্যে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। যাঁকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছুই সৃষ্টি হতনা। মহান আল্লাহ্ পাক-এর পরেই তাঁর স্থান। তাঁরও বিরোধিতাকারী, অপবাদ রটনাকারী গোষ্ঠী ছিল।  তারা রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উদ্দেশ্য করে হাসি-ঠাট্টা, বিদ্রুপ-উপহাস করত এবং তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে অভিহিত করত। কখনো তারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাগল বলতো। এর উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের মনোবল নষ্ট করা এবং সমাজে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা। এরপর তারা আল্লাহ্ পাক-এর রসূলের শিক্ষাকে বিকৃত করা, সন্দেহ, অবিশ্বাস সৃষ্টি করা, মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা করা, দ্বীনের শিক্ষা এবং দ্বীন প্রচারকারীদের ঘৃণ্য সমালোচনা করা ইত্যাদিতে ব্যাপৃত হলো। এসব কাজ তারা এতো বেশী করতো যাতে জনসাধারণ রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শিক্ষা সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করার সুযোগ না পায়। কাফিররা পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে বলতো, “ওরা বলতো, এগুলোতো সে কালের উপকথা, যা তিনি লিখিয়ে নিয়েছেন, এগুলো সকাল-সন্ধ্যা তাঁর নিকট পাঠ করা হয়।” (সূরা ফুরক্বান/৫)

এ আয়াত শরীফের প্রেক্ষিতে আজকে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশত বছর পর যদি প্রশ্ন করা হয় যে, বর্তমানে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রায় হুবহু অনুসরণ-অনুকরণ করে দ্বীন ইসলামের আঞ্জাম কে দিচ্ছেন? সঙ্গতঃ কারণেই তার জবাব হবে, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, মুযাদ্দিদে যামান, মহ্ইস্ সুন্নাহ্, আওলার্দু রসূল, ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী। তার পাশাপাশি তাঁর বিরোধিতা কারা করছে? সেক্ষেত্রে বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, এরা সেই আবু জেহেল, আবু লাহাবেরই উত্তরসূরী। দেখা যায় আবু জেহেল, আবু লাহাব গং এর উত্তরসূরীরা বর্তমানে রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর সাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর লক্বব নিয়ে ঠাট্টা-উপহাস করে। তাঁকে মিথ্যাবাদী, ভণ্ড বলে প্রচার করে। রাজারবাগ শরীফের অনুসারীদের প্রতি ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকায়। কাফিররা বলত, “এটা মিথ্যা ব্যতীত কিছুই নয়, তিনি এটা উদ্ভাবন করেছেন এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক তাঁকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছে।” (সূরা ফুরক্বান/৪)

আর এর বাস্তব মিছদাক হিসেবে তারা রাজারবাগ শরীফকে ভিন্ন সম্প্রদায় তথা ইহুদী-খ্রীস্টানদের এজেন্ট বলে অপবাদ দিচ্ছে।  তার পাশাপাশি তারা এ অপবাদও রটনা করছে যে, বর্তমান যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এ বর্তমান সমসাময়িক আলিম-উলামা তথা পীর ছাহেবদের বিরোধিতা করা হয়। তাদের গালি-গালাজ করা হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বারবার প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ দেয়া করা হয়েছে যে, মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এ কোন হক্কানী-রব্বানী আলিমদের বিরুদ্ধে কিছু বলা হয়না। বরং যারা গোমরাহ-বিদয়াতী বা তথাকথিত শাইখুল হাদীছ,  খতীব, মুফতি, আমীর, মাওলানা তথা পীর ছাহেব নামধারী কেবলমাত্র তাদেরই বিরোধিতা করা হয়। অথবা ঐসব লোক যারা হয়তবা একসময় হক্ব ছিলেন কিন্তু পরে দুনিয়ার লোভে, সম্মানের মোহে, নফ্সের প্রবণতায়, শয়তানের ধোকায় পড়ে; পথভ্রষ্ট হয়েছে তাদেরই কেবলমাত্র সমালোচনা করা হয়। বলা হয়েছে যে, কোন্ জিনিস আলিমের অন্তর থেকে ইল্ম বের করে দেয়? তা হলো দুনিয়ার লোভ।” এরপর বলা হয়, কোন্ জিনিস ছূফী তথা পীর ছাহেবের (খাছভাবে মকবুল বা পূর্ণ কামালত হাছিল যারা করেনি) অন্তর থেকে ছূফিগিরির নূর বের করে দেয়? জবাব হলো- সম্মানের মোহ।  মূলতঃ এই দুনিয়ার লোভ আর সম্মানের মোহ উভয়টিই আজকের তথাকথিত শাইখুল হাদীস গং তথা নামধারী পীর ছাহেবদেরকে পরাভূত করেছে। তাই তারা আজ ইসলামের নামে তথাকথিত রাজনীতিতে নেমে হালুয়া-রুটির ভাগাভাগিতে লিপ্ত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে তারা নিজেদের ইল্ম-আমল সবই হারিয়ে আজ চরম গোমরাহ ও বিদয়াতী তথা উলামায়ে ‘ছূ’তে পরিণত হয়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, এরা প্রত্যেকেই একে অপরের বিরোধিতা করে থাকে। একে অপরকে নাহক্ব বলে থাকে, গোমরাহ ও দুর্নীতিবাজ বলে থাকে।

পত্রিকান্তরে রিপোর্ট হয়েছে, ইসলামী ঐক্যজোট ফের ভাঙ্গলো আমিনীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মুফতী ফজলুল হক আমিনীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলেছেন তার দীর্ঘদিনের সহযোগীরা। আমিনীর বিশ্বাসঘাতকতামূলক আচরণে জোট সরকারের শরিক দল ইসলামী ঐক্যজোট আবারও ভাঙ্গলো।  মঙ্গলবার মুফতী ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী নেজামী ইসলাম পার্টি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমিনী জোটের একক সুবিধাভোগী ব্যক্তি হতে চান। আমিনী স্বেচ্ছাচারিতা ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক আচরণ করছেন। এমপিও হবেন তিনি, আবার মন্ত্রীও হতে চান তিনি। মুফতী আমিনীর এই উচ্চাভিলাষী মনোভাব ইসলামী ঐক্যজোটের যাত্রাকে বার বার ব্যাহত করছে বলে মাওলানা ইজহারুল ইসলাম দাবি করেছেন।  মুফতী ইজহারুল ইসলাম বলেছেন, মুফতী আমিনী দেশী-বিদেশী সরকারবিরোধী অপশক্তির চক্রান্তে বার বার জোট ভাঙ্গা ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চক্রান্ত করে আসছিলেন। ইতোপূর্বে মুফতী আমিনী নমিনেশনকে কেন্দ্র করে জোট ভাঙ্গার প্রয়াস চালান এবং বিভিন্ন ছুতো ধরে জোট ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র করে আসছেন। আমিনী তাঁর স্বার্থসিদ্ধি ও উচ্চাভিলাষী আচরণের জন্য রাতারাতি স্বৈরাচারী কায়দায় সংগঠন তৈরী করে ফেলেছেন। হাফেজ্জী ছাহেবের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের মাধ্যমে আমিনীর রাজনৈতিক সূচনা। কিন্তু স্বার্থসিদ্ধির জন্য স্বজনদের সঙ্গেও তৈরি করেছেন বিশাল দূরত্বের দেয়াল। আমিনী ইসলামী ঐক্যজোটকে বানাতে চান তাঁর পকেট সংগঠন। ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই আমিনী নিজের মন্ত্রীত্বের জন্য ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুল হক ছাহেবের সঙ্গেও গ্রুপিং করেছেন। সংসদ থেকে পদত্যাগের নাটক করেছেন। অচিরেই আমিনীর অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দলীয় প্রতিনিধিসভা ডেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমিনী জাতির সঙ্গে বেঈমানি করছেন। যিনি জাতির সঙ্গে বেঈমানি করেন তার সঙ্গে কোনভাবেই থাকা ঠিক নয়।   (দৈনিক জনকক্ত ৩ নভেম্বর/২০০৪) খবরের কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে যা প্রকাশ পায়- (ক) মুফতে আমিনীর স্বেচ্ছাচারিতা ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক আচরণ করেছন। (খ) আমিনী জোটের একক সুবিধাভোগী ব্যক্তি হতে চান। (গ) মুফতে আমিনী এমপিও হতে চান মন্ত্রীও হতে চান। (ঘ) মুফতে আমিনী উচ্চাভিলাষী। (ঙ) দেশী-বিদেশী অপশক্তির দ্বারা চালিত। (চ) স্বার্থ সিদ্ধির জন্য স্বজনদের সাথেও খারাপ আচরণ করেছেন ও তাদের বঞ্চিত করেছেন। (ছ) ক্ষমতার জন্য তিনি গ্রুপিং করেন। (জ) আমিনী জাতির সাথে বেঈমানী করেছেন। এতসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুব সূক্ষ্ম এবং তীব্রভাবে অনুধাবনীয় যে, তাদের দ্বন্দ্বটা স্বার্থ ও সুবিধা হাছিলের সংক্রান্ত। এম,পি ও মন্ত্রীত্ব পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব। ক্ষমতার জন্য গ্রুপিং নিয়ে দ্বন্দ্ব।  কোন আদর্শিক দ্বন্দ্ব বা ঈমান-আমলী দ্বন্দ্ব এখানে হয়নি। মুফতে আমিনী ছাহেব ইসলামের নামে রাজনীতি করতে গিয়ে হারাম ছবি তুলছেন। পর্দাহীনতা জায়িয করছেন। নারী নেতৃত্ব সমর্থন করছেন। মাওসেতুং এর লংমার্চ করছেন। গান্ধীর হরতাল করছেন। খ্রীস্টান প্রোটেস্ট্যান্টদের মৌলবাদ সমর্থন করছেন। ইহুদী-খ্রীস্টানদের ধর্ম রক্ষার আইন ব্লাসফেমী চাইছেন। ইহুদী-খ্রীস্টানদের তন্ত্র গণতন্ত্র করছেন। বেদয়াতী টুপি পাঞ্জাবী পড়ছেন। এসব বিষয়ে তাদের কোন ক্ষোভ নেই। দ্বন্দ্ব নেই। বরং ক্ষোভ যা নিয়ে তা তারা বক্তব্যে উচ্চারণ করেছেন। বলেছেন আমিনী জোটের একক সুবিধাভোগী ব্যক্তি হতে চান। অর্থাৎ সুবিধাটা যদি তারাও কাঙ্খিতভাবে পেতেন তাহলে তারা আমিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেননা। বিশ্বাসঘাতকতার এবং জাতির সাথে বেঈমানীর কথা তুলতেননা। তাদের ভাষ্যানুযায়ী- আমিনী মন্ত্রী হতে চান, এমপিও হতে চান। তাদের জন্য রাখতে চান শুধু ছোবড়াগুলো। সুতরাং তারা কি করে তা মানেন? মূলতঃ একথাগুলো এতদিন যাবত সবাই বুঝতে পারলেও তাদের মুখ থেকে এভাবে খোলামেলা স্বীকৃতিমূলক বক্তব্য এবারই প্রথম বেরিয়ে আসছে। তারা অকপটেই স্বীকার করছেন আমিনী জোটের একক সুবিধাভোগী হতে চান। যে কথা আগেই বলা হয়েছে আমিনীর সাথে সাথে তারাও যদি সমভাবে সুবিধাভোগী হতে পারতেন তাহলে তাদের কোন ক্ষোভ বা আক্ষেপ ছিলনা। মূলতঃ তাদের এ বক্তব্য মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মন্তব্যই নতুন করে প্রমাণিত করল। তারা যে জোট করেছেন, ইসলামের নামে রাজনীতি করছেন, দল করছেন, ভোট চাইছেন, নারী নেতৃত্ব সমর্থন করছেন তা আদৌ ইসলামের জন্য নয়।  ইসলামের কাজ করার জন্য নয়। ধীরে ধীরে ইসলামী হুকুম বা আইন বাস্তবায়নের জন্য নয়। অপেক্ষাকৃত ভাল দলকে সমর্থনের জন্য নয়। বরং নির্ঘাত সুবিধা হাছিলের জন্য। ইসলামের নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা হাছিলের জন্য। মন্ত্রী, এমপি ব্যবসার পারমিট, রাজনৈতিক অবস্থান হাছিলের জন্য। ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার জন্য। তাই এসব ক্ষমতা লিঞ্ঝু তথাকথিত ইসলামী রাজনীতিকদের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে হাওয়া বদলে দোলা চালে আজকের বেশী খারাপ তথা তাদের কথিত হিন্দু ঘেষা দলটিই ক্ষমতার খুটির দিকে এগিয়ে যাবে আর তাদের সাথে আঁতাতে বর্তমান জোটের চাইতে বেশী এমপি মন্ত্রীত্বের পদ  পাওয়া যাবে তবে তারা নিমিষেই চোখ উল্টিয়ে তাদের দিকেই ভীড়ে যাবে।

বলাবাহুল্য, ইতোপূর্বেও তারা তাদের কথিত আজকের বেশী খারাপ দলের সাথেই আন্দোলন করেছিল। অর্থাৎ ক্ষমতার মোহে এরা গিরগিটির ন্যায় ঘনঘন রং বদলাতে খুব বেশী পারঙ্গম। আজকে এদের দলের নতুন বিভাজনও তার উদাহরণ। আজকে এরা নিজেরাই নিজেদের হাক্বীক্বত উন্মোচন করছে। পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। পত্রিকায় আরো রিপোর্ট হয়েছে- ইসলামী ঐক্যজোট এ পর্যন্ত চার দফা ভাঙ্গলো কাগজ প্রতিবেদকঃ ক্ষমতাসীন চারদলীয় জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোটে আরেক দফা ভাঙ্গন ধরেছে। এ নিয়ে চারদফা ভাঙ্গনের মুখোমুখি হলো ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন দলের সমন্বয়ে গঠিত এ রাজনৈতিক জোটটি। ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতাই বারবার ভেঙ্গেছে এ জোটকে। নৈতিকতা ও আদর্শচ্যুতির অভিযোগও এনেছেন শীর্ষ নেতৃবৃন্দ পরস্পরের বিরুদ্ধে। (দৈনিক ভোরের কাগজ, ৮ নভেম্বর/২০০৪) পাঠক! প্রসঙ্গতঃ এ লেখায় কেবলমাত্র একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হল। ইনশাআল্লাহ্ আরো দেখানো যাবে যে, আল বাইয়্যিনাতের লেখনীই নয়; ওরা নিজেরাই নিজেদের স্বার্থগত কারণে একে অপরের বিরুদ্ধে বলেছে। এখন যদি ওদেরকেই হক্কানী আলিম বলতে হয়, যদি ওদের কথাকে বিশ্বাস করতে হয়, তবে দেখা যায় ওদের কথানুযায়ীই ওরা প্রত্যেকেই নাহক্ব।  বাদশাহ্ আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের মতই ওরা স্বার্থের কারণে একে অপরের বিরোধিতা করছে। এরপর নতুন কোন স্বার্থের জন্য পুনরায় মিললেও অপেক্ষাকৃত বৃহৎ স্বার্থের জন্য অথবা চলমান স্বার্থ ক্ষুণিœর জন্য আবার বিরোধিতা করছে।  মূলতঃ আল বাইয়্যিনাতে ওদের সমালোচনা করা হয় খালিছ আল্লাহ্ পাক-এর জন্য। যেটা হযরত ইমাম গায্যালী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন; “কিছুক্ষণ সময় উলামায়ে ‘ছূ’দের দোষত্রুটি তুলে ধরা ষাট বছর বেরিয়া নফল ইবাদতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।” আর ওদের নিজেদের বিরুদ্ধে নিজেদের বিরোধিতা কেবল হালুয়া-রুটির ভাগ এককভাবে হাছিলে পরস্পর স্বার্থ সংঘাতের জন্য। তাই এ ভাগ কখনও মনমত হলে আপনারা মিলেন আর পুনরায় তা পছন্দ না হলে অথবা ঠিকঠাকমত বখরা না মিললে সটকে পড়েন।  অর্থাৎ এরা চারপায়া এক ধরনের জীবের মত। কারো উচ্ছিষ্ট খেতে গিয়ে একে অপরকে দেখলে ঘেউ ঘেউ করে। যখন দেখে ঘেউ ঘেউ করলে দু’জনের ক্ষতি তখন বন্ধ করে একসাথে খায়। কিছুক্ষণ পর যখন একজন বুঝতে পারে যে সে পার্শ্ববর্তীজনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী হয়েছে তখন প্রতিপক্ষকে হটানোর জন্য নতুন করে ঘেউ ঘেউ করে কামড় দিতে চেষ্টা করে।  অবশ্য সামান্য দুনিয়াবী স্বার্থের জন্য যারা তথাকথিত ইসলামী রাজনীতির নামে ছবি তোলা, বেপর্দা হওয়া, ইসলামের নামে নির্বাচন করা ইত্যাদি হারাম কাজে লিপ্ত তাদেরকে পবিত্র কুরআন শরীফে চারপায়া জীবের চেয়ে নিকৃষ্ট তথা বালহুম আদল বলা হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহি মিন জালিক)

-মুহম্মদ মাহবুর্বু রহমান, ঢাকা।

 শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২২  

ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম  রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?    

চট্টলার বহুল প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের কাছে ক্ষমা চেয়ে তারা রক্ষা পেলো ॥

প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৩