হায়রে বেহাল, চায় রহিতে বাংলাদেশী মুসলমানের শিরপর হয়ে কাল।
সেই কাল আহা আক্বীদা-আমল করে দেয় পয়মাল।
উচ্চাভিলাসী আয়েশী জনেরা পতনে রহে পাতাল।
আজ অন্ধকারের বদ্ধ কুহরে, গুজরায় মুসলিম,
দেখি তুষারের পরশ ফাঁপরে কুঁকড়িছে নিজ-ঝিম।
কেবল গণ্য, বণ্য জাতিতে আপনারে করে খালি,
ঈমান-আমল পাগাড়ে ছুড়িয়া সেজে রহে বনমালি।
আহা নব্যযুগের সভ্য সাজিতে পাগল কত মুসলমান,
রহে ধর্ম-কর্ম পাতালে পুঁতিয়া তাগুতির মেজবান।
কোট-টাই-শার্ট পেন্টুতে দেখি সাজিয়াছে রঙ্গিলা,
সহজে বাতিল কচলিয়ে রাখে কুপথে আত্মভোলা।
হায় পাশ্চাত্যের বর্বরগিরি রপ্ত করিয়া শেষে,
হায়া-লাজ সব মরুর গুহায় রাখিতেছে খশেখশে।
অসাম্প্রদায়িক বটিক সেবিয়া সুশীল করিছে দাবি,
সব ধর্মকে এক কারাগারে আটকায়ে মারে চারি।
কহে হিন্দু-খ্রিস্ট-বৌদ্ধ মুসলিম ভেদাভেদ নাহি আর,
এক আদমের সন্তান সবেই, এক পথে একাকার।
তাই আজ হেরি বাংলাদেশীরে সেকেল সুরতে এক,
ধর্মরে তারা খিচুরী করেই বানায়ে রাখিছে কেক।
ঐ প্রগতি প্রবাহ সমীরণে সবে ফূর্তিতে গদ্গদ্, হায়!
দ্বীন ইসলামেই কালিমা লেপনে দিতে চাহে তোহ্মদ।
এর ফলে মিলে সন্ত্রাসসহ চাঁদাবাজি ছিনতাই,
টাকা-গদি আর প্রমোদ তরীতে বেড়াতে কসুর নাই।
বিশেষ করেই চায় মুসলমানের ঈমান নিয়ে করিতে কাড়াকাড়ি,
দ্বীন ইসলামকে হীন করে দিতে করিছে সর্ব প্রকার ছলছাতুরি।
দুনিয়ার বুকে হামেশা চাহিছে নষ্ট করিতে আক্বল,
কত না প্রথায় গাথিয়া রাখিছে মুসলমানের আমল।
প্রশাসনসহ সুধী ও সুশীল বাছিয়া বাছিয়া তারা,
মিছে আশ্বাসে বিশ্বাসে এনে ছিটায় ফল্গুধারা।
ঐ ধর্মব্যবসায়ী মৌ-লুভী ধরে শিকারী বানিয়ে লয়,
মুসলমানেরে দুনিয়ার প্রেমে করে রাখে তন্ময়। হায়!
নালায়েকি স্রোতে দেখি কত মুসলিম প্রবাহিত সারাক্ষণ,
চোখের সামনে ইহুদী-নাছারা, ছলে রাখে প্রশাসন।
তারা চায় মুসলমানের নাকে দড়ি বেঁধে ঘুরাতে ইচ্ছামত,
ফের উলামায়ে ‘ছূ’ ও সুধীর আড়ালে লুকে রহে অক্ষত।
কেন বোকা হলি ওরে মুসলিম জাহিলের কোলাহলে,
ন সুধী ও সুশীল ডুবিয়া রহিছ বাতিলের কল্লোলে।
তোদের উস্কায় দিয়ে অন্তরে রাখে মুজরিমি কোন্দল,
ফের তোদের দ্বারাই তোষামোদে লভে ইহুদীরা অবিচল। তারা ইসলামী শান অবসান তরে ফাঁদ পাতে নওহালে, উলামায়ে ‘ছূ’ দি হারামকে হালাল কহিতেছে কৌশলে। ঐ শুনরে শুন তাগুতবাদীরা চোখ কান খুলে খুলে, মোরা মুসলিম, মুজাদ্দিদ আ’যম পেয়ে গেছি দেই বলে। নেই আর ভয় নেই আর ক্ষয় কহিছি গর্ব করে, ঐ কহিছি আমরা মহানাজ পেয়ে রহিনা পাতালে পরে। মোরা চুড়িয়ে ফেলব নিমিষে তোদের সকল শত্রুতামী, তোদের জাহান্নামেই দাবায় রাখিব উপহাস ফাজলামি। ঐ কুরআন নিয়েই মান-হানিকর সিনেমা করার স্বাদ, সেই মুজাদ্দিদ আ’যম গুঁড়াই দেন কুখ্যাত আহলাদ। দেখ, মুজাদ্দিদের দস্তে দাফন বিবিসি’র আহবান, দেখ, স্যাটানিক ভার্সেস জব্ধ করিছে ক্ষুব্ধ মুসলমান। রে ঐ হিন্দু নমরা তৈয়ার হও শাস্তির এলো যের, ঐ মুজাদ্দিদের রোবের মিসাইল তোদেরে মারতে ঢের। হায়! মসজিদে সানিয়া মির্জার শুটিং করিস তোরা, শুন! মোরা মুসলিম জ্বালাইয়া দিব ভারতবর্ষ পুরা। দেখে বগুড়ার পলিটেকনিকের ম্যাগাজিনি কৌতুক, মোদের শিরায় খুন টগবগে, কোথা লুকে উল্লুক? ঐ খারিজী খবীছ দমাইয়া দিতে রাজারবাগের বীর, মহান মুজাদ্দিদের তাকলিদে মোরা রেখেছি উচ্চে শির। মোরা মওদুদীবাদ জামাত শিবির সসাবো অবশ্যই, বাংলা যমীনেই রাজাকারদের ফাঁসিতে ঝুলাবো কই। মোরা মুরীদান হরদম রহি মুজাদ্দিদের দোরে, প্রতি মুরীদান গুজরান করি গাজী শহীদের ঘোরে। রে ঐ প্রশাসন তুই যতই করিস্ তাগুতের পায়রবী, কহি মোরা মুরীদান থাকতেই কভু পাবিনারে কামিয়াবী। মোরা মুজাদ্দিদের একটি মুরীদও থাকতেই দুনিয়াতে, তাগুতি তামাশা ধুলিস্যাতে রেখে দর্পে রহিব জিতে। চোখের সামনে নবীদের নবী-রসূলে আলার শানে, কুৎসা রটাস ইহুদী ওহাবী, পৃথিবীর ময়দানে। সাহস দেখাস্? তাঁর মুবারক নামে কৌতুক করা? কৈ কদু ভল্লুক আর বিড়ালে জুড়িয়া, রে ঐ হতচ্ছারা। শুন্ নেই নিস্তার আমাদের হাতে তোদের হঠকারিতা, রহি নবীর প্রেমিক আমরা মু’মিন, যমীনেই উচ্চতা। তোদের উচিত শাস্তি দিতেই আমরা রাখিয়াছি জানবাজী, মোরা, মুজাদ্দিদের ফয়েজেই লড়ি কভু নহে আন্দাজি।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০