আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক গংদেও হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৭

সংখ্যা: ১৭১তম সংখ্যা | বিভাগ:

  ঐ  আত্মঘাতি বোম,

কাড়িয়া লইছে জীবন প্রদীপ নির্দয়ে হরদম।

গোটা দুনিয়ার মুসলিম গায়ে খোদাদ্রোহীরা মিলে,

আহা মরণের ফাঁদ বিছায় রাখিছে ছল্কির কৌশলে।

হায় দরদি দস্তে কবজা করিযা মুসলমানেরে ধরে,

মারিয়া চলিছে হিংসার বসে দানবীয় রাখি পরে।

ঐ ইহুদী, নাছারা, বৌদ্ধ, হিন্দু, মজুসী ও নাস্তিক,

কাদিয়ানী আর শিয়া-খারিজী ওহাবী ও নজদীক।

ঐ উলামায়ে ‘ছূ’ শুসিল, সুধি, প্রগতিবাদির নামে,

দেখায় তাগুতি পন্থি উর্দি পড়িয়া বরবরি কুৎকামে।

হায় ঈমানের হিস্সা সকল করে করে তছরুপ,

তারা মুসলমানের ক্বদম তলেই পাতিছে মরণ কুপ।

কাটা দিয়ে হায় কাটা তুলিবার মহময়ী পদ্ধতি,

খোদাদ্রোহীরা গ্রহণ করিছে সূক্ষ্ম হতে সূক্ষ্মাতি।

তাই আজ দেখি মুসলিমদের প্রত্যেক মুল্লুকে,

তারা প্রশাসণসহ ধর্ম সমাজে কৌশলে রয় ঢুকে।

পাক আফগান, ইরাক, ইরান, তুর্কি ও কুর্দি,

আফ্রি দার্ফু লেবাননসহ ফিলিস্তিনের গদি।

দাউ দাউ করে জ্বালাইয়া রাখে কলহের পেট্রলে,

আহা! মুসলমানেরে মজলুম করে ফায়দা লভিছে হালে।

ইদানিং তারা আত্মঘাতি বোমা মারে ক্ষণে ক্ষণে,

বেছে বেছে হায় মারিয়া চলিছে পবিত্র স্থানে।

মাযার মসজিদ জামায়েতসহ সকল কাঁতর কুলে,

খুন গোসলেই ডুবায় যে হায় মুসলমানেরে তুলে।

আজমীরে ঐ গরীবে নেওয়াজের মাযার শরীফে হানে,

বোমা মেরে হায় হত্যা করিছে জিয়ারতী রমাদ্বানে।

দেখা যায় ঐ পাক আফগান জনঘন প্রান্তরে,

বোমার আগুনে দগ্ধ করিছে শত শত জনতারে।

কল্পিত ঐ জঙ্গি নামের দিয়ে দিয়ে তোহমত,

ইহুদী-নাছারা মুসলমানেরে নির্দয়ে করে বধ।

ঐ মুসলিম প্রধান বাংলাদেশেও জেঁকে বসে ইহুদী,

দখল করিয়া রাখিছেই তারা ধর্ম ও দেশ গদি।

কেবল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছলে মুসলমানেরে ঠাসে,

তারা ধর্মের চোর মাওলানা দি ঈমানী জজবা নাসে।

তারা পালন করিছে ভালবাসা আর বাপ-মা দিবস খানি,

দেখায় হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্ট পর্ব ঘটা করে মানা মানি।

কিন্তু যে হায় মুসলিম দেশ বাংলাদেশের ভূমে,

মূসলমানের ঈমানী দিবস সংখ্যা রাখিছে কমে।

শবে বরাত, শবে ক্বদর, ঐ রাগায়িব, আশুরা,

ঈদে মীলাদই শ্রেষ্ঠ দিবস কদর দেয় না তারা।

আহা উল্টো নমর শারদীয়সহ জন্মাষ্টমী নিয়ে,

ছুটি ভোগ করে প্রশাসনসহ সৌহার্দ্যরে ভায়ে।

আজ দুনিয়ার জাহিল তাড়াতে মুজাদ্দিদ আ’যম এলেন,

স্বচ্ছ শাসত দ্বীন ইসলামের জ্যোতির জোয়ারে বহেন।

তিনি যে এলেন বাংলাদেশের ঢাকায় রাজারবাগ,

ঐ দরবার তার নববী আদলে রৌণকে অনুরাগ।

তিনি আল্লাহ পাক-এর লালাহি কালাম আসমানী রহমত,

তিনি রসূলের খাছ আওলাদ কাওছারী শরবত।

তিনি বাতিল তরেই তপ্ত ত্রাস অসীমী ভয়ঙ্কর,

তিনি তাগুতের তেলেছমাতি রুধিয়া করেন নিথর।

তিনিই কেবল ইসলামী শান অটুট রাখেন সহী,

তিনি খোদাদ্রোহীর দম্ভ ভাঙ্গিয়া মহাবীর নির্বাহী।

সরাসরি কন সত্য সকল ডর-ভয় নাহি তাঁর,

তাঁহার রোবেই কাঁপতেই থাকে তাগুতের সরকার।

তিনি নাহি লুকে রন ধরণীরে কুহে, ইসলামী সমশির,

তিনি সবলে রাখেন ঢুলে পড়া ঐ দ্বীনিয়াতী ক্লান্তির।

তিনি উলামায়ে ‘ছূ’র মুখোশ খুলেই জনতারে দেন বলে,

তিনি তাগুতি চক্র বক্র করিতে কভু নাহি রন ভুলে।

পূর্ব পশ্চিম দুই মেরু হতে বের হওয়া দাজ্জাল,

তিনি ইমামী দস্তে আস্তই তাহা করে দেন পয়মাল।

ঐ সন্ত্রাসী আর জঙ্গিরাই যে তাগুতের সন্তান,

তাহা প্রমাণ করেন তিনি মুজাদ্দিদ বিশ্বে সবিস্তান।

তিনি মুসলমানেরে ঈমান-আক্বীদা সুন্নাহী মতে বেঁধে,

দোন জাহানেই কামিয়াবী দেন ইসলামী নওস্বাদে।

শুন মহার্ঘ হতে ওহে মুসলিম আপন জীন্দেগীতে,

সৌমত্ত কেবল রহিছে তোমার মুজাদ্দিদের হাতে।

উহাই হাদিছে রহে ইরশাদ ইয়াক্বীন কর হে তুমি,

সাবধান! হায় রহিলে বিমুখ হইবে বিপদগামি।

দুশমনে অলী শাস্তিগুলি নিশ্চিতে সব মিলে,

যৎসামান্য জীবিত বেলায় বাকিটা মৃত্যু হলে।

উবাই, ফজলু, বাছেত, নুরু, সিরাজ, কাহ্হারী দূর্গতি,

দেখ মৃত্যু হতেই গান্ধা পঁচন চেহারাও বিকৃতী।

ওরে মুসলিম ওলীর তাবে’ই অনাদী নাজাত খান,

আল্লাহ ও তাঁর রসূল কহেন খুলে দেখ কুরআন।

-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান

 আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯ 

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০