শোন দুনিয়ার মুসলিমীন, শোন শোন আহ্বান,
এসেছে খোদার খোদায়ী জজ্বা নিয়ে সেই রমাদ্বান।
ঐ খোদার মাহিনা রমাদ্বান তব দেয় দিছে উপহার,
সে আরশ হইতে রহমত এনে তোমা করে সদাচার।
মাহে ছিয়াম, করে কারাম,
তব রোসনাই করে হৃদয়ি তখত জান্নাতি আন্জাম।
সেই আল্লাহর পথে অনুগত হতে শোন হে মুসলমান,
দিছেগো দিক্ষা লক্ষ্যে পৌছতে ইন্সানি মহা শান।
কর মূল্যায়ন সিয়ামি বয়ান, ছেড়ে দাও অভিমান,
হুশিয়ার রহ জামিনি জাগিয়া, রূহ্ কর নূরিয়ান।
ঐ আল্লাহ রঙ্গে রঙ্গিন হতে রমাদ্বান নির্মাতা,
আল্লাহর বলে বলিয়ান হতে তোমা দিল সজীবতা।
ওরে ও মু’মিন সিমাহীন লভ ছিয়ামের অনুদান,
আরশ হইতে আসে রমাদ্বান তোমা দিতে ইহ্সান।
মি মুসলিম চিন হে তোমায়, কিইবা তোমার কাজ?
শোন, গোটা আলমের খলীফা যে তুমি রহমতি মিনহাজ।
রহমত আর বরকত নিয়ে তুমি রবে দুলহান,
মাগ্ফিরাতের পরশে রহিবে এইতো শুভ এ’লান।
নিরবধি তুমি ধন্য রহিবে ইলাহির গুণে গুণী,
ত্যাগের মাহিনায় তাবাস্সুম লও জীবনে মুসলমানি।
ছিয়ামে তোমায় সায়ের করান ছমাদিয়াতের পানে,
রব্বি হাক্বীক্বী আশিক হইতে কহে কহে কুরআনে।
তুমি দুঃখ কষ্ট গরীবি মালুম রমাদ্বানে লও বুঝে,
সহসা দেয়রে ভাতৃ সাম্য ছিয়ামেই লও খুঁজে।
ধনী ও গরীবে নেই ভেদাভেদ ছিয়ামের সরাফতে,
ওহে ইন্সান মু’মিনী প্রাণ দেখ হে জিন্দেগীতে।
আমীরানা তব নিংড়ে রহিছে সৌহার্দের যোশে।
শ্লিল সমঝের ফিরণি পশিয়া মুসলিম রহে মিশে।
ধনীরা যাকাত-ফিতরা দিয়ে গরীবেরে সাথে করে,
ছিয়ামি জজ্বায় পৌছিল সবে ঈদগাহে ফুরফুরে।
ঐ আল্লাহর দেয়া ছিয়ামে শিখায় সত্যের সফলতা,
বন্দি তাগুত চেলাদের নিয়ে পশেনারে ভ্রষ্টতা।
কিন্তু যে হায় ইন্সান তার নফ্সের হয়ে দাস,
ছিয়ামেরে হায় করেনা ক্বদর গ্রহিছে সর্বনাশ।
ঐ তাগুতি পোষ্য ইহুদী-নাছারা ওহাবী খারিজী পাল্,
মুসলমানেরে ছিয়াম হতে দূরে রাখিতে পাতিল জাল।
জয়িফী দোহাইয়ে ধোঁকা যে দিচ্ছে রেখেই ভুলে অধীন,
করে ইনজেকশন আর স্যালাইনে শিকার রোযাদারে মু’মিনীন।
পানিয় পথ্য যেভাবেই লউক ভাঙ্গিয়া যাইবে রোযা,
ফতওয়া, একে ষাট করিতেই হবে কাফ্ফরা সহ কাযা।
হায় ইহুদীর সাথে আঁতাত করিয়া কমজাত ওহাবীরা,
দেখি ছলনা করিয়া ঈমান খোয়ায় মুসলমানেরে তারা।
নাহি যেন পারে লভিতে কুওওয়াত ছিয়াম হতে মুসলিম,
নিম মোল্লা দিয়ে ইহুদী পুষিল ধূর্তের ঘৃন আফিম।
ঐ ঘৃন্য আফিমী নেশায় ঝুকিয়া দূর্বল ঈমানদার,
রোযা যে ভাঙ্গিয়া নিশ্চিত রহে নির্বোধে গুণাহগার।
হাত তালি দেয় ইহুদী-নাছারা এহেন কাহিনী শুনে,
ঐ উলামায়ে “ছূ”রে সাব্বাসি দেয় বখ্শিশী অর্পণে।
উঠেন হুংকার দিয়ে মুজাদ্দিদ তিনি হিমাদ্রির মাস্তুলে,
ঐ আজদাহাদের ধ্বস্যায় দিতে তাশরীফ বাহু মেলে।
তার তেজোদ্দীপ্ত ফতওয়া মিসাইল উল্কার ন্যায় ছূটে,
তাগুতী তনয় ইহুদী ধোকারে ধ্বংসে রাখেন বটে।
তিনি উলামায়ে “ছূ”দের ওকালতি সব করে দেন নস্যাৎ,
তিনি ঘোষণা করেন নিম মোল্লাই আস্ত যে কমজাত।
তিনি কুরআন, হাদীছ, ইজমা, ক্বিয়াসের শক্ত দলীল বলে,
ফতওয়া দিলেন রোযা ভেঙ্গে যায় ইন্জেকশ নিলে।
দিলেন আল বাইয়্যিনাত আল ইহ্সানে দলীল হাজার হাজার,
উহা চক্ষু খুলিয়া লওরে দেখিয়া মুসলিম রোযাদার।
হায় ধোঁকায় পড় না মুসলিম তুমি নিম মোল্লার ডাকে,
ভুল ফতওয়ায় নাসিতে তোমায় উহারা রহিছে লুকে।
ঐ গোমরাহ সকল ডাক্তারদের কহি কহি হুঁশিয়ার,
চাহ ইসলামি জ্ঞানে অজ্ঞ রহিয়া প-িতি দেখাবার?
কাহার হুকুমে পুস্তিকা লিখে প্রচার করিতে চাহ?
নিলে ইন্জেকশন রোযা ভাঙ্গেনা বিবৃতি দিয়ে কহ।
সচেতন হও ওরে মুসলিম আজ জাহিলের ঘেরে,
মুজাদ্দিদের তাজদীদে দেন হাক্বীক্বী ছিয়াম তোরে।
শোন মাগ্ফিরাতের এই রমাদ্বান বরকতে উড্ডীন,
রহমত লয়ে বলিয়ান হও রহিওনা অনাথীন।
ঐ মুজাদ্দিদের মুবারক ক্বওল আমি কবি লিখিলাম,
তাঁর ছোহবতে জেনে লও তুমি ছিয়ামের আহ্কাম।
জেনে লও এসে ছিয়ামি যোশেই ইলাহী ইশ্কি বাস,
ওরে হও স্বার্থক লইয়া যে হক্ব জান্নাতি আশ্বাস।
খোদার হাদিয়া রমাদ্বান হতে মাহরূম নাহি রবে,
দেখ রোযাদার রেজায়ে মাওলা মিলবেই এই ভবে।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০