আল বাইয়্যিনাত-উনার দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৫

সংখ্যা: ১৬৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

আজকে দেশের চিত্র দেখে মনে লাগে বড় দুখ,

অরাজকতার হিং¯্র থাবায় বনিছে মগমূলুক।

সেচ্ছাচারিতার দাবানলে হায় পুরো দেশ জ্বলতেছে,

গণতন্ত্রের জরুরী আইনে সব আজ থুবড়িছে।

খোদায়ী গজব বন্যায় দেশ ছয়লাবে একাকার,

মহামারি গ্রাসে রোগ শোক দিয়ে করিছে নির্বিকার।

মূল কথা হলো দেশ বাসী আজ ভুলে আছে আল্লাহকে,

অতি বিলাসীর লালসায় হায় মানবতা রহে ধুকে।

তাই আজ দেশ আকড়ায়ে ধরে ইবলিসী প্রসাশন,

নাজায়িয াইন প্রচলনে হায় ভীতি করে নির্ণন।

গণতন্ত্র যে হারাম মন্ত্র, জানে না মুসলমান?

দাইয়ূস যে হায় দোযখেই যাবে, বুঝে না হাদিস খান!

ভোট-নির্বাচন সুদ-ঘুষ ছবি ইসলামে রহে মানা,

জুলমাতে শুধু ধ্বংস আনেই, সবার রহিছে জানা।

তবু মুসলিম হাবা হয়ে রয় ইহুদীর কুটচালে,

ইহুদী নাছারা দুই কান ধরে ইচ্ছে মতই মলে।

বাংলাদেশের মুসলিম তোরা আর কত রবে হাবা,

প্রসাদ ভেবে কত আর গ্রহ তাগুতের কুট থাবা।

বিশ্বে তোমায় নিঃস্ব করিয়া নাজুক বানায় রেখে,

পৃথিবী গ্রহেই তোমার কপালে বদনাম দেয় লিখে।

ওরে মুসলমান! হও জাগুয়ান রহিও না আর ঘুমে,

পূর্ব সৌর্য ফিরায় আনিতে হাতিয়ার গ্রহ চুমে।

শুনো, আউলিয়াদের ছোহবত লাভে জজবা আসিবে ফের,

তুমি মুজাহিদ হিতাহিতে পাবে ইলাহীর শমসের।

কেবল নবী সুন্নাহর বর্মেই তোমা করে দেয় সাহসী,

ঐ তাগুত পালিদ তড়পায় দেখে তোমার বীর্য শাশী।

ঐ কাইয়্যূমুয যামান গরীয়ান তিনি মহিয়ান মহাবীর,

তাহার সকাশেই আল্লাহ পাক উনার দান সদা রহে উদগীর।

উনার নিদের্শে ঝাপাইয়া পড় ধর তাগুতের ঝুটি,

কর্তন করে দফাইয়া ফের অগ্নিতে দাও ঝেটি।

কই কোথা কই উলামায়ে সূ? খুঁজিয়া ধরিয়া তারে,

নিস্তনাবুদ কর হে সাবুদ ফেলে দে অগ্নি গারে।

কইরে নিজামী মইত্যা মৈজ্যা রগ কাটা দালালেরা?

ফুরায়ে আসিল দিন যে তোদের লইতে যে মাশহারা।

ঐ নব্য নায়িব যালিম শাহীরা ইবলিছি নিয়ে রীতি,

বাংলা জমিনে চালু যে রাখতে কোশেশে মগ্ন ঘাতি।

ভোটার বানাবে ছবিও তোলাবে নির্বাচনের ভোলে,

হারামে হারামে বাংলা ভূমিরে পাপে রেখে বিলকুলে।

হায় তমশা দুয়ারে কোলাহল শুনি বাংলা বক্ষ জুড়ে,

শান্তির সিঁড়ি ধুলি মাথা রহে আর্তের বাহু ধরে।

উঠে হাহাকার কাতারে কাতার বাঁচিবার লগজেসে,

আকুতি মিনতি গতিময় করে চিল্লায় উচ্ছাসে।

সেই সে মহান গরীয়ান তিনি মুজাদ্দিদ মহাধন,

ঐ রাজারবাগের গগণে চমকে মুক্তি প্র¯্রবন।

মরু সাইমুম ঘটাইয়া তিনি তাগুতি তখত তোড়েন,

লু হাওয়া শলায় গাথিয়া গাথিয়া তাগুতিরে মুর্ছেন।

মুজাদ্দি আ’যম ফতওয়া দিলেন ছবি যে হারাম কাজ,

রে কমিশনার! কানে তুলো দিয়ে কেন যে রহিছ আজ?

দৈনিক আল ইহসানে তাহা প্রচারিছে দেশ জুড়ে,

তুমি কমিশনার জান নাকি তার ঢোকে না হৃদয় পুরে?

জেদ করে তুমি পাইলট প্রথায় তুলিতেছ ছবি হায়,

ঘরের নারীরে বাহির করিছো শয়তানী অভিপ্রায়।

জেদ করে তুমি পাইলট প্রথায় তুলিতেছ ছবি হায়,

ঘরের নারীরে বাহির করিছো শয়তানী অভিপ্রায়।

মুসলমানেরে দাইয়্যুস বানাতে ইহুদী দালাল হলে,

বাইশটি সুবিধার সুযোগ দানিবে মিডিয়ায় দাও বসে।

কতনা এভাবে হুমকী ও লোভ দেখাও দেশ বাসীরে!

হঠকারীতার চরম শিখরে নিজকে রাখিছ ওরে!

ঐ! কইছি কহিরে চুনো পুঁটি,

শোন মুসলমানেরা! তোদেরে তাড়াবে দেশ হতে ঐ ঝোটি।

রে জামাত ওরফে ইহুদী চামচা আবুল কালাম আজাদ!

ছবি জায়িজ কও কোন মুখে তুই হয়ে হায় উম্মাদ!

বটে, তুই রাজাকার কামান দাগাও প্রশাসন আশ্রয়ে,

রে মওদুদী ছাগ! বেহায়া বেবাক ইবলিছি প্রত্যয়ে।

সাহস থাকলে ময়দানে আয় বাহাছ করার তরে,

কেন ভয় পাস মুজাদ্দিদকে থাকিয়া ইহুদী ঘরে?

তাহার ছোয়ায় জাগ্রত রহে সেই সে মুসলমান,

তাবা করে দিতে প্রস্তুত আছে তাগুতের জিন্দান।

তোদের কন্ঠ ছিড়িতে উদগ্রীব মোরা উত্তালী হিল্লোলে,

তোদের হিং¯্র হায়েনা হরিতে রহিছি টগবলি দুলদুলে।

শুন সামরিকসহ প্রশাসনে, সংখ্যায় বেশি মুসলমান,

তুই পনের কোটি মুসলিমদেরে এদেশে করবি অসম্মান?

ঐ ক্ষেপাসনে কহি মুসলিমদেরে! ধারি নাকো কারো ধার,

হই মোরাই ছাত্র জনতা আর্মি, পুলিশসহ আনসার।

ঐ সরকারী আর বেসরকারী সকল পেশার মুসলমান!

কহি আল্লাহর প্রেমে তোমরা সবাই গড় হে ঐক্যতান।

সেই মুক্তি মশাল হস্তে ধরিয়া মুজাদ্দিদ বারে বার,

তিনি বাতিল নাশিতে দিচ্ছেন দরস কুরআন-সুন্নাহর।

-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

 আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯ 

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০