আকাশ কুসুম
গোটা প্রশাসন জামাতিরা আজ পারায়ে রাখিছে ঘুম।
একাত্তরের রাজাকার কেন মাথা চারা দিয়ে ঘেষে,
কেন বাংলা ভূমিতে প্রসাদ বানিয়ে আয়াসেই উল্লাসে।
এখনো বাংলা রাজেই রাজকীয় হালে করিছে খবরদারী,
হায় প্রশাসনসহ সকল খাতেই দর্পিত পায়চারি।
আবাল বৃদ্ধ বনিতার খুনে যারা করে বিলাসিতা,
আহা বাংলাদেশি কি ভুলিয়া গেল তাহাদের হিংস্রতা।
ঐ পাক হায়েনার দফাদার তারা বাংলার দুশমন,
ঐ ইসলামসহ বাংলাদেশিরে করে রাখে বিভাজন।
বাংলা করিতে আরেক ইসরাইল ইহুদীর অভিপ্রাত,
ইসলামে তাই আত্ম প্রকাশে দেখায় হিংস্র হাত।
হায় পনের কুটি মুসলমানের বাংলাদেশের গদি,
কারিয়া লইতে তৎপর সদা জামাতিরা নিরবধি।
কেমন করিয়া জামাত এদেশে নিজকে জাহির করে,
ফিরিস্তি তার কহিছি এবার বিশ্বাস অন্তরে।
ঐ মৌদুদী শয়তান!
রাজনীতি করে জামাতি ব্যানারে মারিতে মুসলমান।
মৌদুদী তার ইহুদী নীতিতে বনিছে ধর্ম গুরু,
ইহুদী প্রথায় ছল্ মহড়ায় কার্য করিল শুরু।
মেকি দরদি মৌদুদী হয়, হতে ইসলামি নেতা,
চমক লাগায় পুস্তক লিখে প্রয়োগে যে ধুর্ততা।
সে জিহাদি বচনে অগ্নি ঝরায় বানোয়াটি জালওয়ায়,
বৃটিশ বিরোধী ধোঁকা সংগ্রামে মুসলিমদের বাগায়।
মূলতই সে বৃটিশের চর, রহিছে মুখোশ পড়ে,
সেই মুখোশেই ইসলামি খোলে রহিতেছে ফুরফুরে।
পূর্ব-পশ্চিম পাকিস্তানেই তার রাজনীতি বেশ,
ইনকিলাবেই ছয়লাব রাখে দেশময় অবশেষ।
জামাতি ইসলাম নাম দেয় তার রাজনৈতিক দলে,
কামিয়াব হাছিল ইহুদী শাবকের গর্ব করিয়া বলে।
ফের মুজতাহিদের পদ দাবি করে ইসলামে দেয় হানা,
কহে ইসলামে নেই সুফি দরবেশি নেই কোন মাস্তানা।
ভুলের উর্দ্ধে নেই ইনসান হউক না নবী ও রসূল,
হিংসা দ্বন্দ্ব সবই রহিছে ছাহাবার অনুকুল।
ওহ্! নাউযুবিল্লাহ, উদভট বাদ প্রচারিছে মৌদুদী,
গোটা কওমেই ভ্রান্তি ভজিতে নামিছে নেংটি বাঁধি।
ঐ ইহুদী দালাল নাছারা মাতাল দেখায় দুঃসাহস,
মৌদুদী জালে আটকা পরিছে আলিম ওলামা বহু,
মুফতী মুফাস্সির রাখে অস্থির জজ্বাতে নিজ লহু।
খোদার দয়ায় ধরা পরে যায় মৌদুদী শয়তান,
আলিম ওলামা ছল বুঝে তারে দিল যে তালাকখান।
এবার মৌদুদী ঐ ইহুদীর থেকে চায় কিছু মৌলভী,
ইহুদী ও তারে দিয়ে দেয় ওরে সুরতান পায়রবী।
ভাড়া করা ঐ ইহুদী মৌলভী আসিল পাকিস্তানে,
তাহাদের দিয়া মৌদুদী হায় ফতওয়ার তীর হানে।
ঐ জিহাদ হচ্ছে বড় ফরজ শুনে লও মজাহিদ,
নফল-সুন্নাহ দরকার নেই ইহা মোর তাজদীদ।
মৃত্যু তাহারে থাবা মেরে নেয় পৃথিবী জমিন হতে,
চেহারায় তার বিকৃতি ঘটে কঠিন পক্ষাঘাতে।
সেই মওদুদীর চেলারা এখনো রহিয়া দেশের বুকে,
মৌদুদী বাদ প্রচার করিছে বহুধা ইহুদী পাকে।
তাইতো দেশেই নিজামি সাইদী কপটতার সাথে চলে,
মৌদুদী বাদ প্রচার করিছে কঠিন জাহিলি কলে।
ইহুদী ইশারায় জাগায় রাখিছে ঈমান ধ্বংসি কাজ,
প্রশাসন হতে সর্বত্রই রহে রহে সাজ সাজ।
শুন্রে জামাতি উল্লকি দল এলো তোর অন্তিম,
মুজাদ্দিদ আ’যম বাংলা জমিনে রৌনকে উদ্যিম।
তাগুতি রথকে রুখিয়া দিছেন তাঁহার রোবের ঘাতে,
তিনি জাগায় রাখেন সুন্নি নূরেই মুসলিম নও ভাতে।
ওরে মুসলিম চাহিয়া দেখরে জামাতিরা কত নিচ্,
মুসলমানের শত্রু তাহারা রহিছেই পিছ্ পিছ্।
আসেন হযরত নিয়ে আযমত মহান মুজাদ্দিদ,
দুর করিছেন এই জামানার সকল ঝুট পালিদ।
শুনরে খোদাদ্রহী!
খোদার দোস্ত তাশরীফ আনেন হুংকার দিয়ে কহি।
তিনি ওলী সম্রাট দস্তগীর, গাউসুল আ’যম, মুজাদ্দিদ,
ইহুদী জামাত নিপাতের তরে তিনি যে বীর নাহীদ।
ওরে বাংলার মুসলিম তোরা কাঁদিয়া ফিরো না আর,
হল বিশ্বাসঘাতক জামাত পন্থির, মূল যে ছত্রাছার।
নিরুদ্বেশের তপ্ত বালাইয়ে নাহি রবে উত্ত্বাল,
কব্জায় রাখেন মুজাদ্দিদ আ’যম দ্বীন ইসলামের হাল।
তিনি খালিদী খায়ের বীর সেনাপতি র্দূভরি লন কাঁধে,
তিনি ইহুদীর দানব কীর্তি রুধিয়া দিলেন বেঁধে।
আল্লাহর দান অভিজান তাঁর ভেঙ্গে দেয় দূর্দ্বার,
তিনি কাইয়ূম এই জামানার কে- পারে ঠেকাবার।
– বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০