বৈশাখি নওরোজ,
হিন্দু বৌদ্ধ মুজুসি খ্রীষ্টের উহা হয় বড় ভোজ।
নব বর্ষের পুজায় মাতিছে তাদের বিধান মতে,
নাচে-গানে আর শ্লিল হিনতায় রহিতেছে ফুর্তিতে।
ধুতি পৈতার বাহারী পোজেই হুলি খেলে সারাদিন
লাল পেড়ে শাড়ী শাখা ও সিঁদুরে রহিছে অর্বাচীন।
হায় শয়তান উহা বাংলাদেশে বাঙ্গালী কৃ?িনামে,
মুসলমানের মাঝেও তাহা জারি করে ধুম ধামে।
ইবলিসি দাস উবাই বিন সুলুল ফতওয়া যে দিয়ে দিল,
পহেলা বৈশাখ বড় নিয়ামত ভেদাভেদ ভুলে মিল।
এই ফতওয়ায় কমজোর ঐ আওয়াম মুসলমান,
নফ্সি খায়েশে গাহিয়া চলিছে নববর্ষের গান।
হিন্দুর সাথে বিন্দুও তারা হটিছে না কোন কামে,
গান্ধা পান্তা ভাজা ইলিশের বিদঘুট মৌসুমে।
বাঙ্গালী প্রিতির বাগারে ঢালিছে মজুসি রেওয়াজ ঘি,
বৌদ্ধ বিধানে বাঁধিবার তরে বাঙ্গালীরে আনে ভাঘি।
তাই হায় দেখি বাংলাদেশী, মুসলমানেরা আজ,
পহেলা বৈশাখ পালন করিছে সাজিয়া হিন্দু সাজ।
শুন শুন ঐ বাংলাদেশী মুসলমানেরা সবে,
মুজাদ্দিদ আ’যম ফতওয়া যে দেন ইসলামি গৌরবে।
কুরআন হাদীছ ইজমা কিয়াসি প্রমানে ফতওয়াখান,
অকাট?তাঁহার তাজদীদী বাণী শুনরে পাতিয়া কান।
ঐ নববর্ষেই মুসলমানের করনীয় নেই কিছু,
কেন অহেতুক ছুটিয়া চলিছ কাফিরের পিছু পিছু।
কেন ধুতি যে পরেই বটের মুলেই পাগলা ঘোড়ার মত,
লাফালাফি কর একতারা নিয়ে হয়ে সেথা সমবেত।
কেন হিন্দুর ন্যায় পৈতা পড়িয়া পূস্পদানিতে রহ,
কেন হুলি উল্কিতে নববর্ষরে হিন্দু নীতিতে গ্রহ।
কেন বৌদ্ধের ন্যায় আক্বীদা রাখিছ বছরের পহেলাতে,
ভাল খাবার আর নতুন পোশাকে শান্তিরে আগলাতে।
সারাটি বছর ভালই কাটিবে রহিবেনা আর দুখ,
এই বিশ্বাসে খোদা হতে সদা তোমায় রাখে বিমুখ।
অগি?পুজারি মজুসির ন্যায় তুমি কেন উল্লাসো,
ঐ বেলেল্লাপনায় নন্দন চেয়ে বেহেলাতে উচ্ছাসো।
শুন বানোয়াট উহা শয়তানি ছল কহিতেছে ইসলাম,
তুমি কেন দেও হয়ে মুসলিম কুফরিতে আনজাম।
হাদীছের বাণী দেয় দেয় ধ্বনি হয়ে যাও সাবধান,
ঐ কাফির মুশরিক মুনাফিক হতে সদা রহ দূরিয়ান।
শুন্ যে জাতির সাথে যেজন রাখিবে মিল,
হাশর নশর তাদের সাথেই রহে রহে বখ্শিল।
যে যার সাথে রাখে মুহব্বত হায়াতি জীন্দেগীতে,
তার সাথে সে আখিরাতে রবে ধার্য্য যে ভাগ্যেতে।
রে মুসলিমা তোরা ত্রিশালী চন্দন তিলক কপালে পরে,
বেপর্দা হয়েই ঢলাঢলি কর, বনিতা বাইজী ঘরে।
ইসলাম তোরে হুশিয়ার করে বার বার বলে বলে,
কুফরী পরবে নাহি নাহি রবে জীবনের কোন কালে।
সাবধান ওরে উলামায়ে ছূ, দালালিতে হুশিয়ার,
মুজাদ্দিদ আ’যম করেন খতম হইয়া বীর আবরার।
তিনি মুজাদ্দিদ আওলাদে রসূল কাওয়ায়েদে আওলিয়া,
তাঁর ফতওয়ায় সত?দেখায়, নাহি করে দেউলিয়া।
ঐ ওরে ঐ সুধী ও সুশীল ছেড়ে দাও বাটপারি,
হিন্দু সাংস্কৃতি প্রণাম করিয়া দেখাচ্ছ বাহাদুরি।
সভা সেমিনারে ঘটা করে করে পালন করিছ তোরা,
যাত্রা মঞ্চে ফাতরামি করে বাঙ্গালীরে কর ভেড়া।
শুন্ মুসলিম জানে ধর্মই মূল, এরপর দেশ ভাষা,
ধম?আলোকেই কম?তাহার কহিয়া দিলাম খাসা।
ঐ রাজারবাগ হতে মুজাদ্দিদ আ’যম দেশ ও দেশান্তরে,
তাঁর বলি?ফতওয়া প্রচার করেন মুহূর্তের আস্তরে।
ঐ সুধী ও সুশীল উলামায়ে ছূ তোদের দালালী শেষ,
লাভ নেই আর মনের দুঃখেই ছিড়িয়া শিরের কেশ।
খোদাদ্রহীরে মুজাদ্দিদ তিনি নাহি নাহি দেন ছাড়,
তিনি মুসলমানের এই যামানার মহান জামিনদার।
সুধী সমাজের সুবিধাবাদিরা ইহুদী নাছারা থেকে,
সুবিধা ভুগিতে বহুরূপী বনে কুশি?মুখোশ ঢেকে।
ঐ উলামায়ে ছূ সুধী ও সুশীল একই ম?হতে,
খাটি ইসলাম ভেজাল করিতে সদা রহে ধান্ধাতে।
ঐ আল্লাহর দ্বীনে ছাহিবে কাসিম মুজাদ্দিদ র্দূবারে,
ইসলামী শাঁন রাখেন উচুয়ান, পৃথিবীর চত্ত্বরে।
ইহুদী বৌদ্ধ মজুসি নাছারা, নম নাস্তির রীতি,
ধ্বসাইয়া দিতে মুজাদ্দিদ আ’যম কভূনা গ্রহেন ভীতি।
আহবান করি ছাড় ছল্গিরী, ইসলামী নীতি লও,
মুজাদ্দিদ হতে দিক্ষা গ্রহিতে মুনাফিকি ছেড়ে দাও।
ঐ নিজামি উবাই তোদের ফতওয়া তোদের ঘাড়েই চাপে,
জাহান্নামের ফুল্কি তোদেরে রাখে রাখে উত্তাপে।
তিরস্কার করে জান্নাতি তোরে সেই সে ভয়ঙ্করে,
যন্ত্রণা আর লজ্জায় পুড়ে কাটাও যে চিৎকারে।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০