মুবারক রামাদ্বান,
খাইরান জাদীদান।
ওই ইলাহী উনার পাক হাদিয়া পেয়েছি মুসলমান,
এক বছরের গালিজ পালিদ মুছে হবো শরীফান।
ওই আল কালামেই একি শুনি?
নাযিল হলো কুরআনি বাণী।
শবে ক্বদরের তোহফা খোদায়,
বান্দা ভাগ্যে দিলেন জাগায়।
ধরার যমীনে মুসলানেরা হলো সেরা মেহমান,
কামিয়াব বেশ, বেহিসাবে রেশ, রহমানী অনুদান।
রহমতসহ বরকত জু’যে মাগফিরাতের দ্বার,
যায় খুলে যায় বেকসুর হেথা রব্বানী কারবার।
নূরে ভরা সাহরী ও ইফতার,
ইশকি মৌজে রহিছে ঈমানদার।
নেই দ্বিধা সংকোচি সমাচার,
লিল্লাহিয়াতে মকবুলে একাকার।
শানদার সবে উদ্ধারে রহে নেই এতে গাফলতি,
মাহে রমাদ্বান সম্মানী শান, দূর করে দুর্গতি।
মু’মিনের তরে রহে ফুরফুরে অনন্ত নির্মল,
তাক্বওয়া আমলে রোশনাই রহে বান্দা যে অবিচল।
তৃতীয় ভাগের বিজোড় নিশিতে খুঁজিছে শবে ক্বদর,
হাজার রাতকে পরাজিত করে এক রাতে নির্ভর।
ইলাহী উনার হামদ শোকর, বান্দারে তিনি করে আদর।
দান করেছেন শবে ক্বদর, হেথা রহমত রহে অঝর।
নফল আমলে ফরযের সম ছাওয়াব দানেন খোদা,
এক ফরযেই সত্তর ফরয খুশির আমেজে সদা।
ইহা যে খোদায়ী বকশিশ জানি আকবরী ইহসান,
করি বিশ্বাস মুসলিম মোরা নেই যে সন্দিহান।
ঐতিহাসিক মুবারক ওই ৯ই রমাদ্বান,
বিশ্বজুড়েই আলোড়ন পড়ে আহলান সাহলান।
তামাম তাগুত হারায়ে অকুত হালাকেই ধাবমান,
নিত্য নিয়মি মরমি রেওয়াজ ভেজে দেয় বিয়াবান।
কায়িনাতব্যাপী বহু বহু রূপী ঘটা করে মাখলুক্ব,
ওই ৯ই রমাদ্বান করছে পালন জ্বলে মরে নিন্দুক।
সমুদ্র গোত্র গর্জন করে এ দিবসে দেয় ডাক,
খলীফাতুল উমাম কারামে কারাম সাইয়্যিদী মহাপাক।
হিমাদ্রী চূড়ায় বাসর সাজায়ে মৌজ করে উৎসবে,
ঐ মেঘমালা তার জানালা খুলেই চমকিছে গৌরবে।
গ্রহ উপগ্রহ নক্ষত্র আর কোয়াসার মিল্কিরা,
মহা রওনকে আসমানে তারা ঈদিয়ানে রহে জোড়া।
বন্য পশু ও পাখ-পাখালি ঝাঁকে ঝাঁকে আমাজান,
ঐ ঈদি বিলাদতে শাহযাদা পাক পালনেই বেগবান।
আজ কায়িনাত বারাকাতে ভরা পুলকিত সাজ সাজ,
আজ মালায়িক রহিছে অধিক সচেতনে রাজ মাঝ।
ঐ শাহাযাদা হুযূর আল মানছুর আমীরুল মু’মিনীন,
তিনি সাইয়্যিদ আহলে বাইত ইহসানে আশিকীন।
তিনি ইলাহী বালাগ সুন্নি সজাগ আসমানী মেহমান,
তিনি আরশি উনার উর্বশী শানে দায়িমান দুলহান।
তিনি ছিদ্দীক্ব আখলাক্বি তন, উদীয় ফলগুধারা,
তিনি রাহবার করেন উদ্ধার, ধরে ধরে পথহারা।
তিনি রহমানী রৌশনী নাজ মিনহাজে আবিদীন,
তিনি রাহাতুল ক্বলবি কালাম নজরানে সালিকীন।
তিনি আহলুল আওলাদে রসূল মকবুলে দারাজাত,
তিনি তো ইমাম ইসলামী জাম, আঞ্জামে হাসানাত।
তিনি শাহানশাহ্ আউলিয়া নূর মানছুরি উম্মত,
ঐ তিনি ইলমের মহাসাগর দায়িমানে হুরমত।
তিনি যে হলেন মহান ইমাম দুই পারে আলবত,
করেন কায়িম দায়িমী দারাজ, সুন্নতী খিলাফত।
তিনি তাগুতের তপ্ত যম, জগতে তাশরিফান,
তিনি ইবলীসি জ্যান্ত ত্রাস, ইসলাহী আরমান।
তিনি বুরহানে বোররাকী নাজ, আউলিয়া সুলত্বান,
তিনি মাদারযাদ শাহানশাহ শির উম্মতী খাইরান।
তিনি বরকত আলবত কহি রব্বানী ফায়ছালা,
তিনি আযমতি আবে হায়াত নাজাতের মকবুলা।
ওরে দুনিয়ার মুসলিম সবে দাও ছেড়ে হীনভাব,
খলীফাতুল উমাম ডাকছেন ওরে লও উনার আসবাব।
শির নাহি আর ঝুকাইয়া রহ তাগুতের সম্মুখে,
ওই আল্লাহ উনার বীর খলীফা রয়েছেন দুঃখে সুখে।
আজকে উনার তাবেদারি রহে পুরো কায়িনাতব্যাপী,
হায় আজকে বাতিল বরবাদ রহে কাঁদিছে বক্ষ চাপি।
ওই উনি প্রচ- প্রতাপশালী ইমামে মুসলিমীন,
খলীফায়ে আল মানছুর তিনি নকশায়ে সাবিকীন।
গাফিল কাহিলে থেকো না দাখিল আয় ফিরে মুসলিম,
খলীফাতুল উমাম জাহিলী তামাম ধ্বংসেই তাকসীম।
উনার ফায়িজে ফায়দা গ্রহিবো জান্নাতী মাহরুবা,
বলি খলীফাতুল উমাম আসসালাম মারহাবা মারহাবা।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬