মীলাদুন্ নবীই শ্রেষ্ঠ ঈদ মানিছে মুসলিমীন,
ঈদের ঈদ ঈদে মীলাদ গুল্জারী মুহ্ছিন।
ঐ আশিকে রসূল মকবুল রহে জীবনের জয্বাতে,
মীলাদুন্ নবী যে পালন করিছে আত্মার সওগাতে।
অধির আগ্রহে প্রতীক্ষায় রহে আসতেই সেই দিন,
ত্বলায়াল ধ্বনি প্রতিধ্বনি দিয়ে লুফে লয় আশিকিন।
ধনী ও গরীব ভেদাভেদ ভুলে এক সাথে মিলিমিশি,
নও সাজে সবে প্রস্তুত হয়ে পালন করিছে খুশি।
থোরাও ডরেনা আশিকিন সব মীলাদের আয়োজনে,
নন্দিত দিলে কোলাহল ভুলে সেথা আসে বহুজনে।
মীলাদুন্ নবীরে বিদ্য়াত কহিছে ইহুদী পোষ্য হায়,
দিল্ নাহি কাঁদে ফতওয়া ঝাড়িতে জাহান্নামী হয়ে যায়।
চিহ্নিত কিছু নবী দুশমন নিয়ে মুসলিমী নাম,
লয় ইহুদী হইতে পয়সা খাইয়া বিরোধীর পয়গাম।
ঐ লা মাযহাবী, খারিজী, ওহাবী, দেওবাদী পন্থীরা,
মীলাদে আসে না দূরে থেকে থেকে বদনাম গায় তারা।
হুক্কা হুয়ার ভিতু ডাক হাঁকে আঁধার গুহায় বসে,
আশিকে রসুল পাইলে তাদেরে পায়ের তলায় পিষে।
তবুও নাদান উলামায়ে ‘ছূ’ বেহায়া নীতিতে গাঁথা,
ইহুদী পয়সার লোভেই পরিয়া মু’মিনকে দেয় ব্যথা।
যাহির! পনের শতকের হিজরীতে আজ মুজাদ্দিদ মহা বীর,
তাঁর তাজদীদে জলদী জাগিছে শির যে মুসলিমীর।
ঐ মুজাদ্দিদ আ’যম, গাউসুল আ’যম, রাজারবাগের পীর,
তাঁর দরবারে ঈদে মীলাদেই আশিকিন করে ভিড়।
হয় এক মাস ব্যাপি মীলাদুন্ নবীই অনুষ্ঠিত রৌণকে,
প্রকাশ্যেই তিনি শান শওকতে কহিছেন গণলোকে।
মীলাদুন্ নবীই পালন যে হয় মুসলমানের ফরয,
সকল ঈদের সেরা সেই ঈদ এক্বিনে রাখ হে গরজ।
ঈদে মীলাদ যে বিদয়াত কহিছ দলীল প্রমাণ দাও?
কুরআন হাদীছে কোথাও কী আছে সত্য করিয়া কও?
হায় বেয়াদব ওহাবীরা কেন রহে রহে নিশ্চুপ,
কেন যে তাহারা ইহুদীর হয়ে ছিটায় ধোঁকার ধূপ।
দেখি পারে নাই তারা পারবেও না ইহাই সত্য বাত,
বুক ফুলে মোরা পাঠ করি সবে রসূলে পাক-এর নাত।
দেখরে মুজাদ্দিদের তাজদীদী শিলে কুপোকাত ওহাবী,
সমারোহে তাই পালিতে হচ্ছে ঈদে মীলাদুন্ নবী।
ইহা যে হেরিয়া ইহুদী-নাছারা বৌদ্ধ নমরা মিলে,
বিদ্বেষী ভাব বজায় রাখিতে নব নব চাল চালে।
হায় রসূলে পাক-এর ব্যঙ্গ চিত্র প্রচার করিয়া ফিরে,
রাখে মুবারক তাঁর নামের উক্তি জড় ও জীবের শিরে।
কুরআনের পাতা ছিঁড়িয়া ছিঁড়িয়া দেখায় যে ধৃষ্টতা,
নবীজির নাম প্রাণিতে লাগায় ইহুদীর হয়ে হোতা।
ফের ফুটবলেও কালিমা লিখিয়া করে করে উল্লাস,
দশ টাকা নোটে আল্লাহ লিখিয়া করিতেছে উপহাস।
ঐ নূরানী রসূল সৃষ্টি উসুল মানে না কাফির কুল,
নূরী রসূলকে মাটির কহিতে ওহাবী বদ্ধমূল।
রসূলে পাক-এর তা’যীম খানিরে তুচ্ছে রাখিয়া হায়,
তামাশা করিছে মুনাফিক আজ কাফিরের কাহিনায়।
ঐ উলামায়ে ‘ছূ’র আশ্কারা পেয়ে তাগুত বাদিরা মিলে,
নূর নবীজির শরাফত নিয়ে ব্যঙ্গ করিছে হালে।
বামপন্থী ঐ সুশীল সুধীরা সুযোগে কুড়াল মারে,
উলামায়ে ‘ছূ’ এর লেজ ধরে ধরে জন মাঝে পারাপারে।
হুঁশিয়ার ওরে জাহিল জালিম পাতি শিয়ালের দল,
সাবধান হও কাপ্তানি ছেড়ে সামনে আসিয়া বল।
ওহে হিম্মত তোর হিমাগারে কেন ইহুদীর চামচিকা?
মুজাদ্দিদ আ’যম একাই তামাম তিনি বক্বাউল বাক্বা।
মহা মুজাদ্দিদ তাজদীদী জোশে নিয়ে মীলাদের বাণী,
দাপটের সাথে প্রচার করেন গ্রহিছে সত্যজ্ঞানী।
ঐ রাজারবাগের গগন জুড়িয়া তারকাপুঞ্জ শোভে,
চাঁদনী রাতের বাতায়ন খুলে উদ্যাপে গৌরবে।
হাক্বীক্বী উম্মত প্রেমীকে রসূল ছাহাবী জয্বাদার,
রাজারবাগেই কোটি কোটি রহে জানবাজি অধিকার।
ওরে মালউন উলামায়ে ‘ছূ’ ধ্বংস তোদের ক্বারীব,
তোরা যে নবীর দুশমন জানি মাফ নাহি নারজীব।
কইরে ইহুদী খ্রিস্ট বৌদ্ধ নম শিখ ও কাদিয়ানী,
তোরা পৃথিবীর যেথায় থাকিস্ তাহা যে আমরা জানি।
রহি, তোদের দস্যূপনারে নিঃস্ব করিতে হরদম সচেতন,
সাগর পাহাড় সেঁচিয়া খড়িয়া ছাটিয়া রাখিছি বন।
লুকাবার তোরে দিবনারে মোরা জানবাজ আশিকীন,
নবীর নামের ব্যঙ্গকারীরে করি যে অর্বাচিন।
উলামায়ে ‘ছূ’ ঐ কেডি কুকুর মুগুর দেখিয়া লুকিস,
তোর চৌদিকে বেষ্টিত আছি সত্য করিয়া ভাবিস।
কিয়ামত তক্ ক্ষমা করিনারে নবী দুশমনদেরে,
ইহাই লক্ষ মুজাদ্দিদের জানাইয়া দেই তোরে।
মোরা অনন্তকাল পালনে রহিবো মীলাদের সেরা ঈদ,
এক্বিনে মু’মিন করিছি খরিদ মীলাদেই তাহমিদ।
বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩১
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩৪