ঐ প্রলয়ী ঘুর্ণিঝড়,
সে সিডর নাম নিয়ে দাবরায় বিস্তর।
খুলনা, ভোলা ও বাগেরহাট, সাতক্ষিরা, বরিশাল,
খেলে নোয়াখালিসহ তাণ্ডব লিলা দূর্দমে বেমেছাল।
আজদাহা সিডর গজবরূপেই ছোবল হানিয়া ফিরে,
অতি পাপের পরিণাম হয়ে উপকুল দেয় চুরে।
আজ হাহাকার উপকুল জুরে কেঁদে কেঁদে হয়রান,
দূর্গতি হায় হারে হারে মারে ভুক্তভূগির প্রাণ।
ঢলিয়া পড়িল হাজার হাজার বনি আদমের লাশ,
ভাসিয়া চলিছে পঁচিয়া গলিয়া ভূগিয়া যে উপহাস।
ওরে হুঁশিয়ার হও বাংলাদেশের মুসলমানেরা সবে,
তওবা করিয়া মিছবাহ লভ হে ঈমানদারীর বাবে।
কেন যে গজব আসে বার বার বাংলার পাদদেশে?
ওহে মুসলিম একটু যে রহ ফিকিরের এজলাশে।
দেশময় আজ পাপ দিয়ে হায় কানায় কানায় ভরা,
পনের কোটি মুসলিম রহে বেমালুম হয়ে আত্মহারা।
ভণ্ড প্রতারক মুনাফিকি নিয়ে কেন যে রহিছ মেতে?
কেন ইহুদী দোসর উলামায়ে ‘ছূ’র খঞ্জরে রহ গেঁথে?
কুফরি প্রশাসন নির্ণনে কেন খেলছগো কানামাছি?
তাদের তোয়াজেই গুজরান তরে ধরিছ তল্পি গাছি।
ওরে বাংলার মুসলিম তোরা শুনে লও ভাল করে,
মহাবিপদের কালো মেঘখানি বাংলা আকাশে উড়ে।
ঐ মার্কিনীরাই ওমেঘে ছোয়ারি আসিয়া পড়িল দেশে,
চির গোলামির জিঞ্জিরে আজ তোদেরে রাখিবে ফেসে।
যাতমানসহ ঈমান আমান তাহারা লইয়া কেড়ে,
ছুড়িয়া মারিবে জবরদস্তি সমুদ্র গহিন ক্রোড়ে।
হায় ত্রানের ছুতোয় চাতুরি করিয়া বাঙ্গালি মুসলমান,
এদেশ হইতে কাচিয়া কাচিয়া করিতে চাহে বিরান।
আসন গাড়িয়া খ্রিস্ট শাসন ক্বায়িম করিতে তারা,
করে উলামায়ে ছূ আর শুসিল বাদিরে দাসানুদাসের ভেড়া।
ঐ শুনরে মু’মিন গহিন বিপদে তব উদ্ধার তরে,
তাশরীফ আনেন মুজাদ্দি আ’যম খোদার সাকীনা ধরে।
তিনি রাসূলে পাকের রহমতি ত্রাণ আলীশান রাহ্গির,
তিনি নাহক্ব বক্ষে কুড়াল মারিতে ধাবমান মহা বীর।
তিনি না ডরেন সত্য কহিতে জাহিলিয়াতের রোশে,
তিনি না দমেন বাতিল দাবাতে আজদাহাদের ত্রাসে।
তিনি মুলোৎপান করিয়া চলেন ধরিয়া তাগুতঝুটি,
তিনি দেখাইয়া দেন উলামায়ে ছূ’র মুখোশখানিরে কাটি।
তিনি মুসলিমি অন্তরে সদা তাওয়াজ্জুহ ফয়েজ দিয়ে,
তিনি রাশেদার রূহানি তেজেই জাগান সফরে গিয়ে।
তিনি অপ্রতিরোদ্ধ সূর্য সমই ধরনিতে হাজিরান,
তিনি লা-শারিকের দীপ্ত দিশারী দুর্জয়ী আহ্লান।
দু’হাজার সাত নভেম্বরের পহেলা হইতে তিনি,
সফর করেন পরিবারসহ জেলা হতে জেলা ধুনি।
দেখি অর্ধ হাজার মুরীদানও তাঁর ছোহবতে শরীকান,
নিবেদিত রহে শহিদী মোহতে দ্বীন তরে শানিদান।
কেবল তিনি মুজাদ্দিদ দাবড়ান ঐ দেশময় ঘুরে ঘুরে,
নাহক্বের হাত গুঁড়ো করে দেন তাজদীদী হাতিয়ারে।
যশোর, বরিশাল, কুষ্টিয়া আর খুলনা, ঝিনাইদহ,
চুয়াডাঙ্গা হয়ে মেহেরপুর, ভেড়ামারা ভূমিসহ।
উপকুল কাছের জেলা থানাতেই মুজাদ্দিদের বহর,
বিদ্য়াত বাতিল অচল করিয়া সফল করেন সফর।
ঐ ঝিনাইদহেই হাজারো হিন্দু কালিমা শরীফ পড়ে,
তারা মুসলিম হয় মুজাদ্দিদের দস্ত দামান ধরে।
মেহেরপুরেও অনুরূপ হেরি খ্রিস্টান দলে দলে,
মুজাদ্দিদের ক্বদমে আসিয়া ঈমান আনিয়া বলে।
সবে মুজাদ্দিদের তাজদীদী নূরে সত্যের পথ পায়,
তারা মুজাদ্দিদের ছোহবতে এসে নূরীমান হয়ে যায়।
ঐ সাইয়্যিদাতুন নিসায়ী আম্মা ছফরেও শরীকান,
তিনি ইছলাহ করেন মুসলিমাসহ হিন্দু-খ্রিস্টান।
পথহারা ঐ লাখো নারীদের করেন সংস্থান,
করেন ঈমান আমল দুরস্ত সব সুন্নতে মহিয়ান।
তারা খানিক সময় করে গুজরান আম্মার ছোহবতে,
দিলের কালিমা দূর হয়ে যায় রহেনা যে ঔদ্ধতে।
তিনি মুজাদ্দিদ সত্য দানিতে সকল বাঁধারে ডিঙ্গে,
নদীতেও বীর মাহফিল করেন জরুরী কানুন সঙ্গে।
বিরান ভূমি মুজীব নগরে লাখো জনতার ঢল,
রহে পর্যটনের ময়দান জুড়ে তাজদীদে উজ্জল।
ঐ তাগুতি সেবক কুফরি শাসক পরিশেষে ভেড়ামারা,
তারা মুজাদ্দিদকে আটকাতে চায় যৌথ বাহিনী দ্বারা।
তাহা মুজাদ্দিদের ত্যাজোদীপ্ত হুংকারে যায় ভেসে,
মৌদুদীসহ উলামায়ে ছূ’রা চুপসে রহিল শেষে।
ঐ জরুরী আইনের দূর্গম রাহা পারি দিয়ে দিয়ে বীর,
দ্বীন ইসলামের বানী পৌঁছায়ে ফিরেন আপন নীড়।
এমনটিই শান মুজাদ্দিদের খুলে দেখ ইতিহাস,
সত্য তালাশি আয় রাজারবাগ নেই আর অবকাশ।
বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০