উলামায়ে ছূ ঐ ধোকাবাজ যয়নুলে,
রে মুফতে মুফতি। কুড়াল মারিস মু’মিনী হৃদয় মূলে!
মসজিদ মিশনের পাতি নেতা হয়ে ছবিকে জায়িয কইস,
তুই সাখাওয়াত আর ছহুলি ক্বদমে চকিদার হয়ে রইস্।
উলামা ফেডারেশন নাম দিয়ে, তোরা তুলতে ছবিখানি,
আওয়াম মু’মিন-মু’মিনারে কও নেই এতে শয়তানী!
দেশের স্বার্থে রহিতে মর্তে ছবি যে তুলতে হবে,
ইসলাম ইহাতে দেয়নাকো বাধা কহিতেছ আজগুবে।
ঐ ইহুদী পোষ্য নাছারা দস্যু কহিস কি তোরা হায়!
কত যে মিথ্যা আওড়াস বুলি মুসলিমী আঙ্গিনায়।
তাই তোদের ধোঁকারে নস্যাৎ তরে আল্লাহর বাহাদুর,
ঐ রাজারবাগের মুজাদ্দিদ আ’যম আসিলেন নিয়ে নূর।
সেই নূরে আজ তড়িৎ ভাগায় জাহিলের তমশা,
তিনি যে হলেন ইমামে আ’যম মুসলমানের দিশা।
তিনি যে হলেন শাহ সাইয়্যিদ আমিরুল মু’মিনীন,
তিনি যে করেন ধরণীর বুকে তাগুতেরে নিশ্চিন।
দেখি তাঁর তাজদীদ বাতিল চুড়াতে সর্বদা দূর্বার,
তাগুতী পলিদ ত্বাবা যে করতে অক্ষয়ী হাতিয়ার।
কেবল তাঁর ওসীলায় রহিতেছে দ্বীন জীবন্ত বলীয়ানে,
শুন্, আজকে তাঁহার হুকুম মানিছে তামাম মুসলমানে।
তাঁহার ডাকেই ঐক্য যে গড়ে তাগুতেরে রুখিবার,
রে উলামায়ে ‘ছূ’ যালিম শাসক! দেখ্্ দেখ্্ দূরাচার।
ঐ তুফান ঝটিকায় ছোয়ারিয়া তিনি নির্ভয়ে কন বাণী
ছবি তোলা হারাম স্বচ্ছ হাদীছ, নেই এতে ইনিবিনি।
বীরের শীর্ষে উরূজিয়া তিনি ধমকান প্রশাসন,
তিনি জব্বারিয়াতের তখতে বসিয়া দফিছেন প্রহসন।
শুন্রে ছহুল, সাখাওয়াত! তোরা ছেড়ে দে হটকারিতা,
মুসলমানেরে খেপাসনে কহি, ফেলে দে ইহুদী ভাতা।
নইলে মুজাদ্দিদের জালালী দৃষ্টি তোরে করে ছারখার,
তাঁর তেজস্বী রোবের তপ্তেই তোরা হলি যে গ্রেফতার।
ওরে বাংলার মুসলিম শোন! ভয় নেই ভয় নেই,
তোদের সহায় আশ্রয় হন মুজাদ্দিদ তিনি সেই।
তিনি রহমত রহমানের; ইয়াক্বীন রাখ হে মুসলমান,
ভয় ভাবনা নেই আর হবি নারে ম্রীয়মান।
পারিবে না আর তাগুত তোমারে করিতে জাহান্নামী,
করতে পারে না যালিম শাহীরা তোমা নিয়ে ফাজলামী।
আজ ওলামায়ে ছূ’রাই পালাই পালাই করিতেছে হরদম,
লেজখানি তুলে কুহুরে ঢুকিয়া চুপ রাখে সরগম।
ঐ মূর্তি, ছবি ও গান-বাজনা ধ্বংস করিতে তিনি,
ধরার জমিনে তাশরীফ আনেন হয়ে রসূলের গুণী।
রে ছহু সাখাওয়াত টিকটিকি হয়ে কহ ইহুদীর বাত,
খোদার বিরুদ্ধে বিরোধিতা করে হয়ে গেলি মুরতাদ।
প্রাণাধিক প্রিয় রসূলি হাদীছ তোরা আজ মুছে দিতে,
হায়! ওলামায়ে ছূ’দের সাথে করে রহ ইবলিসী ইতায়াতে।
শুন! আমাদের জান থাকিতে কভু না সহ্য করিব তাহা,
ঐ মুসলিম মোরা তান্জিম গ্রহি লহুতে জযবা বহা।
রে নির্বাচন কমিশনার,
কহি তোদের দমাতে কঠিন শপথ আমাদের সবারার।
তোদের খাহেশ ভষ্ম করিতে আমরা যে প্রহলিকা,
তোর গর্দানে দিচ্ছি দিলাম খোদার গজবী চাকা।
চৌদ্দ কোটি মুসলিম মোরা থেকে নেই আর বসে,
ঐ খোদায়ী খড়গ হস্তে ধরিয়া সচেতন রহি হুশে।
শুন্রে মুজাদ্দিদের অগ্নি ঝলক বাষ্পিত বিবৃতি,
দেখ্্ নছীবে তোদের আসলই ধেয়ে নমরুদি দূর্গতি।
নেইকো রেহাই ছহু সাখাওয়াত দিতে হবে কাফ্্ফারা,
ফের সিংহের জাত মুসলিম সাথে করছিস মসকরা।
তোদের নিশ্চয়ই এই দুঃসাহসেই পতন ডাকিয়া আনো,
তোদের মন মগজই শয়তান হায় করিয়া রাখিল ধুনো।
মিছে ক্ষমতার দম্ভে করিস ছবি তোলা আইন পাশ?
শুন্্ তোর দম্ভরে মোরা মোটেও পুছিনা হুশিয়ার সর্বনাশ।
মোরা লা শারিকের ঝান্ডা লইয়া মওজুদ ময়দান,
ঐ হরদম মোরা কর্তন করি মুরতাদী গর্দান।
আজো রহিয়াছ হায়দারী হাঁক পৃথিবী বক্ষ ঘিরে,
আজো ফারূকের ফাহমিদ বাহু উঁচুয়ান বহু তরে।
ঐ মুসলিম মোরা রসূলী লগনে রহিয়াছি লালে লাল,
দ্বীন ইসলামের প্রহরায় মোরা জাগ্রত চিরকাল।
ঐ মর্দে মুজাহিদ মুজাদ্দিদের পরশে বাংলা ভূমি,
আযান ধ্বনীতে পুলকিত রয় সদা যে দিবস যামী।
হায় সেই ভূমিতেই মুরতাদ করে খোদার বিরোধিতা?
শুন্ অসম্ভব, ঐ বেয়াকুফ নাদান জাহিল প্রেতাত্মা।
দেখ্ মুসলিম মোরা পিছু হটিনাই হটিবোনা কভুরে,
সদা রসূলাদর্শ কায়িম রাখিতে নিত্য যে লড়িবে।
মোদের শীরায় হিল্লোল বহে হক্বের খুন জোয়ার,
বক্ষ ছাতিরে প্রসারিত রেখে ছুটে আসি বেশুমার।
মোরা বদর উহুদীর উত্তরসূরী পেয়ে গেছি আলবত,
ঐ তিনিই হলেন বীর মুজাদ্দিদ যামানার হুরমত।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০