ঐ মীলাদুন নবী হৃদয়ের রবী, মহতি এক পরব,
মীলাদুন নবী আনে পায়রবী, মহান মহানুভব।
আখিরী রসূল সৃষ্টির মূল তাশরীফ এই ভবে,
পুরো কায়িনাত খুশির বন্যায় রহয়াছে সয়লাবে।
জাহিলিয়াতের তাণ্ডব যবে গ্রাসিল এই জগত,
স্নিগ্ধ আলোক আসিল ভুলোকে লইয়া যে রহমত।
ফিরিয়া পাইছে বনি আদমসহ তামাম মাখলুক্বাত,
শান্তি সহসা সাবলিল নিড়ে জান্নাতি ইশায়াত।
ঐ মীলাদুন নবীই মিলাইয়া দেয় মালাহাতি মেৌসূম,
সেই পরম পাওয়ায় রহিছে না আর আশিকেরা মাহরূম।
ঐ মীলাদুন নবীই পালন করিছে স্বয়ং যে রহমান,
মালায়িকা নিয়ে আলম জুড়িয়া জেৌলুসে সুবহান।
তাই রবিউল মাহে রোস্নাই রহে, অষ্টম জান্নাত,
মাহে রবিউলে রহমত ঝরে অনাবিলে আহলাদ।
হুর গিলমান জান্নাতি জওহর সদা রহে ঝকমকে,
আরশি উদ্যান ঝলমলে দুলে, ঈদে ঈদে রওনকে।
পৃথিবী যমিন খুশি সীমাহীন ধারণ করিয়া ঈদ, আর মুহুত্ব তরেও আসমানি আলো রহেনা স্তিমিত।
শুন হে স্রষ্টাসহ সৃষ্টিকুলের মাশুক যে হযরত, সেই হযরতের আশিক তাবত অনন্য উজরত।
ছরকারে দো আলম রসূলে আলোকে, তাগুত যে ভয় পায়,
তাই রবিউল আউয়ালে রহে বিকলেই, ইবলিসে সহসায়।
জাহিরান যদিও রমযান জানি সেই সে ঘোষণা খানি,
হাক্বীক্বতে উহা রবিউল আউয়ালেই, শুনহে সত্য বান।
যবে তাশরীফ হাবীবে আউয়াল রবিউল আউয়ালে,
বাতিলী কির্তী অগ্নিবাতি, লুটে পরে খুলে খুলে।
নবীজি স্বয়ঙ খাইরে কাছীর, খায়ের তাঁর তোফায়েলে,
ঐ নূরী রসূলের রৌনকে ভরা খায়েরের খাছ দিলে।
শুনুন খাইর অর্থ আখিরী রসূল, ইহাই খোদার দান,
ঐ খায়েরেই সৃষ্টি তামাম জাগিয়েছে ধরে শান।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, মুবারকবাদ অনন্ত অনাদি,
মীলাদুন নবীই মহা মিলনের এক মহা ডোরে বাধিঁ।
খোদার খোদায়ি জাহির করিছে ঘোষিয়া জগত পতি,
ঐ মুস্তফা মুহি ছহীহ করে রাখে আশিকের অনুভূতি।
এলাহী গুণেই গুণবান হন আখিরী রসূলে খোদা,
হাক্বীক্বতে কা’বাই আহমদী হন, নাহি নাহি এতে ধাঁধাঁ।
শুধু, নূরে আহমদী আল্লাহ নন, আর বাকি সব তিনি,
তাঁর তোফায়েলে আলম প্রকাশ, দলীল যে কুরআনী।
কই গেল তোর পোস্টার?
রে ওহাবী কুলাঙ্গার।
মীলাদুন নবীরে বিদায়াত বলাতে গ্রাসিল তপ্ত নার,
ঐ নার তোরে ছন ছার করে দু’কুলে লক্ষ বার।
শুনরে ওহাবী, খারিজী, ইহুদী ক্বিয়ামত অবধি,
মীলাদুন নবীই শ্রেষ্ঠ ঈদ জেৌলুশে অনাদি।
আজ রসূলের আওলাদ, ঐ মুজাদ্দিদ মহা শানে,
তিনি রসূলের দুশমনদেরে পাঠাচ্ছেন বিয়াবানে।
তিনি উত্তাল বাতিলের তরে, ক্ষিপ্র যে সুলতান,
তিনি োলায়াল আশিকান হৃদে সুন্নতি নূরীয়ান।
ঐ রাজারবাগেই রওনকে তিনি তাজদীদী ঘোষণায়,
তামাম তাগুত কাঁপায় অজুত বীর বেশে দুনিয়ায়।
কই লা-মাযহাবী তাইমিয়াবাদী কই আজ মৌদুদী,
কই দেওবন্দী পালাইয়া কেন রহিয়াছ চোখ মুদী।
মুজাদ্দিদ আ’যমের তাজদীদ লয়ে আল ইহসান বাইয়্যিনাত,
তামাম পৃথিবী চষিয়া তোদেরে করিছে বেত্রাঘাত।
ঐ মুজাদ্দিদ আ’যম, দস্ত তাঁহার, বহুত শক্তিশালী,
ঐ গাউছে আ’যম, দৃষ্টি তাঁহার আলম জুড়িয়া মেলি।
কে পারে তাঁহারে ফাকিঁ দিতে হায়, তাগুতে করিয়া ভর?
ঐ মুজাদ্দিদের হুংকারে রহে তাগুতে অনুর্বর।
চুপে চুপে নয় প্রকাশ্যে হয় চব্বিশ দিন ব্যাপি,
ঈদে মীলাদুন নবীর জলসায় লক্ষ লক্ষ আশিক,
খুশির আবর্তে শান-শওকতে রহিছে রহে শরিক।
রে ওহাবী তোদের চোখের সামনে, সেই ঈদ গৌরবে,
পালন হচ্ছে গোটা দুনিয়ায় ঘিরিয়াছেসৌরভে।
ঐ মুজাদ্দিদের তাজদীদ পেয়ে আশিকে রসূল সবে,
পূর্ণ উদ্যমে মীলাদুন নবী, পালন করিছে ভবে।
ঐ মুজাদ্দিদের ফতওয়ায় ডুবে ইহুদী ওহাবী হায়,
তাই আজ তারা তাগুতের থেকে ধিক্কার শুধু পায়।
ধোঁকা খাওয়া ঐ মুসলমান, রহিওনা আর ঘুমে,
মুজাদ্দিদের কিস্তিতে উঠ, রবে নাকো মাজলুমে।
ইলম, ইখলাছ, আমল, আক্বীদা সুন্নতি মত হলে,
তবেই তোমার মুক্তি মিলিবে, পরিবে না কোন ছলে।
ঐ সুন্নি তরীক্বা কেবল রহিছে মুজাদ্দিদী তাজদীদে,
আস রাজারবাগ, ফায়িয নিয়ে জাগ, মীলাদুন নবীর ঈদে।
শব্দার্থঃ মালাহাত-লাবনাময়ী, খায়িরে কাছীর-সর্বোত্তম, তোফায়েল-ওসীলা
বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০