কয়েদী দূর্গ, ভেঙ্গে চুরে আনে সাম্য সবিস্তার,
জাহিলিয়াতের জাল ছিড়ে ছিড়ে, তেড়ে দেয় ব্যবভচার।
কারবালা কুলের ইস্তেকামত শির শমসের ইতিকথা,
দেখি জাগায় রাখিল হিলালি ঝাণ্ডা ভাগায়ে বর্বরতা।
লা শারিকের কাফিলা ছুটিছে মরু হতে দিকে দিকে,
মরু মাধূরীর ফরাশে রাখিছে দূর্গম গণ লোকে।
তামাম পৃথিবী পদানত হল বীর মরুবাসী হাতে,
সেই বীর তাঁরা দ্বীন ইসলামের জ্যোতিতে রহিল জিতে।
সেই জাতি আজো গণসংখ্যায় বৃদ্ধিতে বেশুমার,
দেড়শ কোটির কোঠা ডিংগে ফেলে দুনিয়ায় আজিকার।
কিন্তু যে হায়, সৌর্য হারায়, সেই জাতি বার বার,
জুলমাতি কোলে রহে রহে ভূলে নিজেদের অধিকার।
গোটা মুলুকের মুসলিমদের বিলোপ করিয়া দিতে,
রাখে দুশমন সব ত্রাস জিয়ে জিয়ে মিসাইল যে লম্বিতে।
নিড় জ্বালায়ে শির কেটে কেটে রাখে তারা দূর্বলে,
মুমিনের আহা সম্ভ্রম যাহা কেড়ে নেয় খুলে খুলে।
পিছু পিছু চলে মুসলিম আজ বেদ্বীনের আশ্রিতে,
ঐ ফেরাউন সম লাখ কাফিরের কুফরির মর্জিতে।
হায় বাংলার মুমিনি কওমে ভরিয়া যে দুর্নীতি,
ইহুদী নাছারা ছল করে করে মারিছে মর্দ বাতি।
আরে ঐ বাতি হল ঈমানের গতি ভূমবনে মুসলমান,
হায় কুৎচালে তায় মাতাল বানায়ে করিতেছে অপমান।
ঐ তাদের পোষাই ওহাবী খারিজী মওদুদী তাবলীগী,
সয়লাবে রাখে পুরো দেশটারে হয়ে হয়ে কাল নাগি।
ছয় উছূল আর জিহাদী ব্যানারে ধোকা দেয় কেৌশলে,
ঈমান কাড়িয়া শিরিক ঢুকায়েসৌর্য রাখিছে হিলে।
ফের দেশময় জুড়ে গডফাদোরের তাণ্ডব লিলা দেখে,
শয়তানও হায় লাজে সরে যায়, আলো আধারেঁর ফাকেঁ।
মন্ত্রি সচিব আমলা বাদিরা হয়ে যে রাঘব বোয়াল,
গণতন্ত্রের মসনদে বসে বুক যে করে বিশাল।
জিরো থেকে হায় হিরো বনে যায় এইতো তাগুত খেলা,
হয় গরীবের ধন লুণ্ঠন করে নেতার বাসরে দুলাহ।
খবরের কাগজ খুলিতেই হেরি বড় বড় অক্ষরে,
দুনীৃতিবাজ জননেতাদের কীর্তি বেরিয়ে পরে।
কাল যাহারা রক্ষক বলে দাবিতে অগ্রগামি,
আজকে তাহারা ভক্ষক হয়ে লভিতেছে বদনামি।
ফের ইহুদী নাছারা, সুদখোর দিয়ে দাবড়াতে চায় দেয়,
বেআবরু করেই ইমান ধসায়ে করছে নিরুদ্দেশ।
আজ আমরা যে হেরি, নভেলেই চরি অমানুষ ডক্টর,
হবু বাঙলায় প্রভু হতে চায় সেই সে ইহুদী চর।
এই বাংলাদেশেই ঘাপটি মেরে লুকে থাকা নাস্তিক,
ঐ সুদখোরকেই সানন্দে তাহারা সবে করে আস্তিক।
ঐ নাস্তিক আর মুশরিক মিলে ওহাবী ছাগলদেরে,
কাবাব বানায়ে ঝুলায়ে রাখিছে মুসলমানের নিড়ে।
সরল মুমিন দিকহীন হয়ে ঐ কাবাবের ফেরে
ক্ষুধার জাতনা মিটাইতে চায় ক্ষনিকের মোহ পারে।
মহান খোদার দরদি সাগরে বহিতেছে হিল্লোল,
মুসলিমদের উদ্ধার তরে এসে পরে কল্লোল।
সেই কল্লোল মিল্লাতে দ্বীন মুজাদ্দিদ দস্তুর,
ওরে সেই কল্লোল জান্নাতি জান সুন্নতি বন্ধুর।
সেই কল্লোল সাইয়্যিদী বল নকিবে মুসলমান,
দেখি ঐ কল্লোল-ই কারবালাধন হোসাইনি খান্দান।
তাঁহারী তপ্ত রুহানী রোবেই ধরাশায়ী সুদখোর,
তাঁহারী দস্তে মুষরে পরিছে ওহাবী ধর্ম চোর।
গণ তন্ত্রের গামলায় ভরে গহনা লুটেরা কই,
গণ ধোলাইয়ের গমগিনে কেন করে নাকো হৈ চৈ।
ঐ গণতন্ত্রেই লুণ্ঠন করে ইনসানি মহাধন,
ইবলিসি চাল শ্রেষ্ঠ উহাই গাওয়াইছে কির্তন।
দেখি আব্রাহামের গণতন্ত্রই সাধুতা করে হনন,
তাই মুসলিম সবে, মুজাদ্দিদের এ বাণী কর গ্রহণ।
ওরে ইসলম আর গণতন্ত্র, কখনই নহে এক,
কেবল গণতন্ত্রই গর্ধভি মত, ওহাবীরা কয় নেক।
প্রমাণ রহিছে ময়দানে আজ গণতন্ত্রের ফল,
হায় কেমন করিয়া মুসলমানেরে করছে করে অচল।
মুসলিমসহ তামাম মানুষ ফিরে আয় ইসলামে,
রাজারবাগের মুজাদ্দিদ তিনি রহমত এই ধামে।
তার ফায়েযেই ইসানিয়াত ফিরে পারব কহিলাম,
তাঁর ছোহবতে সত্য শাসত খিলাফতি আঞ্জাম।
কহি ইনশাআল্লাহ তাঁর সিলসিলা অনন্ত বরকত,
তাঁর তাজদীদে মর্দ্দে মুমিন দ্বীনে আনে ইজ্জত।
আওলাদে রসূল, আঁতায়ে রসূল, ইমামে রাজারবাগ,
আস হে মুমিন দিধাহীন হৃদে গ্রহ ঈমানের ভাগ।
তিনিই কেবল উজ্জ্বলে দ্বীন প্রগতি জাহিল ঘাটে
আজ দুনিয়ায় তাঁহার ছায়ায় মুক্তি কেবল জোটে।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০