আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০

সংখ্যা: ১৬২তম সংখ্যা | বিভাগ:

দেখি তাগুতি চিত্তে গণ দুশমনি বেড়ে যায় বেপরোয়া

হায় মানবি কেতন ডুবায়ে চলিছে ছাড়িয়া দানবী ধুয়া।

গণ গোরে গোরে অগ্নি ভজিছে আজ কুঁজো পৃথিবীতে,

ঐ ইবলিছ তার ঈর্ষা পুরাতে গর্জিছে অহমিতে।

চলে দেশে অবরোধ,

সেই গণতেন্ত্রের মুষ্ঠাঘাতেই গণ রাখে নির্বোধ।

ঐ নির্বাচনের অর্বাচীনেই গরম রাখিছে দেশ,

বন্দি মানুষ বেহুশের জালে মেনে চলে ফরমেশ।

অন্য বস্ত্র বাসস্থান আর চিকিৎসার বুলি ঝেড়ে,

অসহায় করে আওয়ামগুলিরে মারিছে নির্বিচারে।

অস্ত্র বুলেট ও পেশী শক্তির মহড়া জমজমাট,

নীতিবাম আজ দূর্নীতি জেলে হয়ে আছে ঝনঝাট।

ধর্মকে ফের বর্ম বানিয়ে বচন বাণীরে ছুয়ে,

সত্য দুধের স্বাধ নিতে চাহে মিথ্যার ঘোল পিয়ে।

আহা! ঐ ঐ দেশি ধর্মচোরা বহুরূপী মেৌলভী,

দল বদলের কসরত করে ধর্ম রাখিছে নিভি।

ফের এ আঁচল ছেড়ে ও আঁচল ধরে করিতেছে লুকোচুরি,

কাফির ফতওয়া দিয়াও তাহাদের ক্বদমে রহিছে পরি।

দোহাই দিচ্ছে খিলাফত নামে যোগ দেয় মহাজোটে,

পঞ্চাশ বছর হাদীছ পড়ায়ে, ইবলিছি জপ ঠোটে।

ঐ কুফরী দাওয়াত গণতন্ত্রই সমূলে অগত্যা,

চাহে দ্বীন ইসলামকে ধরনির বুকে করিতেই হত্যা।

ঐ গণতন্ত্রেই গণ ধ্বংসের করিয়া বীজ বহন,

গোটা গণ মাঝে ছয়লাব করে ইবলিছি আচরণ।

হরতাল আর অবরোধ দিয়ে করিতেছে জিম্মি,

কোটি কোটি টাকা লোকসানে রাখে সোনার বাঙলা ভূমি।

ঐ জালাও পোড়াও সন্ত্রাসী সব গণতন্ত্রের বীজ,

বাজ পড়া সব বাক্য লইয়া নেতা বনে নিজ নিজ।

হায় যানবাহনের ভাঙচুরে করে চলাচল গতিরোধ,

লাখো মানুষের কষ্টতের তারা লভিতেছে প্রতিশোধ।

ঐ গণতন্ত্রের চুলায় জ্বালায় শৃঙ্খলা করে জোর,

ঐ গণতন্ত্রের ঝলকি বোমায় শান্তিরে রাখে গোর।

ঐ গণতন্ত্রের গরমে সমাজ আজকে পুড়িয়া ছাই,

শালীনতা সব সাহস হারায় স্বকীয়তা যেন নাই।

লুভি মৌলুভীদের ভেড়ার সুরতে চড়ায়ে অন্ধকারে,

গ্রেফতার করে সহজে তাদের ইহুদীর কারাগারে।

ঐ মৌলুভী দিয়া ইহুদীরা আজ পুরায় হিংস্র নেশা,

মুসলমানেরে ক্ষতি করে করে খেলিছে মরণ পাশা।

ফের ইংরেজ পড়ুয়া মুসলমানেরা গণতন্ত্রের ঢোলে,

নন্দে বাজায় জয় গীত গেয়ে ইহুদী নাচনে দোলে।

আজ গোটা দেশ ব্যাপী গণতন্ত্রের তীব্র বিকট খেলা,

বাংলাবাসীরে ফাসিতেঁ ঝুলায়ে দেখায় আশার মুলা।

ইজরাইল, ইংরেজ, আমেরিকাসহ ভারত রাশিয়া চীন,

মুসলমানেরে কাবু রাখিতেই বাজায় তাগুতি বিন।

মোদের বাংলাদেশের মুসলমানেরে বধির করিতে তারা,

অর্থ পদ ফের হুংকার দিয়ে কুফরীতে রাখে খাড়া।

শুনি বিজয়ের ধ্বনি

বাংলা ললাট লালে লাল করে পূব দিকে হাতছানি।

দেখি ঐ রক্তিম গোলক কাঁপায়ে কাহার আবির্ভাব,

তিনি মুজাদ্দিদ আউলিয়া রাজ রাজবাগে নূর বাব।

ঐ নূরে সরে তপ্ত তাগুতি জলদি যে বিয়াবানে,

ঐ নূরে আনে নূরানী জীবন গ্রহে যে মুসলমানে।

তিনি যে মহান কাইয়্যূম,

তিনি তাগুতবাদীর পিলাই কাঁপায়ে রাখেন যে অর্ঘুম।

তিনি তাগুতি ত্রাসে তর্পান নহে কোন ক্ষণ কোন কামে,

তিনি হরদম গদগদ দিলে রাজ রবি রণ ভূমে।

তিনি বর্ষাণ অব্যর্থ বাজ ইহুদীর অভিলাষে,

উত্থানে তাঁর দিশ দুর্দম কভু নহে অবকাশে।

তাঁর দৃষ্টিতে ভ্রষ্টে রহিছে তাগুতি নিশানা তীর,

তাঁর ফায়েজের বোররাকি গতি মারে মারে খিঞ্জির।

তিনি মুসলমানসহ গোটা মানবের দ্রষ্টা মহান বীর,

তিনি নির্ভীক স্বরে বিশ্ব জুড়িয়া সত্য আলমগীর।

বলেন, হউক দণ্ডন,

পিছু হটিবনা কভু মিথ্যা করিতে খণ্ডন।

ঐ মিথুকদের চুরে চুরে রহি নিহারিকা বাজ হাতে,

আজ জুলমাতি সব দণ্ড পালেরে দণ্ডিত রাখি ভিতে।

ভয়ঙ্করের বিভীষিকা তিনি করে দিয়ে পয়মাল,

হক্বের দাপটে হটান ঠকেরে করে তিনি কঙ্কাল।

ঐ মুসলিমদের দুর্দিদে তিনি আল্লাহর তসলীম,

সত্যাগ্রহরে শক্তি সেবনে তিনি হন তসনীম।

তাগুতি দগ্ধ করে আবদ্ধ পৃথ হতে সব হিংস্র দ্বার,

খান খান করে হন মহিয়ান ব্যাধিতেরে সারাবার।

বিজয় জয়, জয় করে নেন সত্য সে চিরদিন,

লাখো ঝনঝারে পাঞ্জায়ে ধরে করে দিয়ে বলহীন।

ঐ জনসমুদ্রের রাহবার আজ বার বার ডেকে বলে,

ফিরে আয় তোরা সত্যোর পথে রও রবে উৎফুলে।

-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান

শব্দার্থঃ তসলীম- শান্তিদায়ক, তসনীম- জান্নাতী ফোয়ারা।

 আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯ 

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫১