মহর্ষি মহা দুমান
মহা মুজাদ্দিদ চূর্ণ করেন বাতিলের কালো দান্দান ।
শাহী মহিয়ান ধ্রুব তারকায় সোয়ার হইয়া তিনি,
ইবলিসি চাল বানচাল করে সত্যে রাখেন দ্বীনি
পশ্চাতে রয় পাপিষ্ঠরাই ভয়ে কাঁপে থর থর,
ইহুদী বাচাল আগুনে বেহাল জাজ্বালা দস্তর ।
অতন্দ্র সুন্নি শীর
ঐ বীর মুজাদ্দিদ রাজারবাগ হতে রণ রাহে তর্জীর ।
তিনি কাঁকনী কাচনে অস্থির রাখে ইবলিসি তালকীন,
তার তপ্ত ফায়েজ প্রসারিত রহে সৃষ্টিতে সীমাহীন ।
রে ঐ ইবলিসি গর্ধভ
তোরা রুখিতে পার না মুজাদ্দিদকে ইহা বড় বাস্তব ।
কত খারাপ ঐ উলামায়ে ‘ছূ’ নমুনা কহিছি তার,
দুনিয়ার লোভে দ্বীন বেঁচে গ্রহে পরিণাম দুরাচার ।
ঐ স্মরণ করে দেয় চামড়া ছাড়ার মৃত্যু ভয়ঙ্কর,
সে মৌলবাদীর দাবীটি করেই বনে শয়তানি চর।
আকৃতি তার বিকৃতি ঘটে মরণে চেহারা খানি,
ফের লুলা আনছার ক্যান্সারী রোগে মৃত্যুতে উত্তরাণী ।
কাফন কাপড়ে আবৃত রেখে জনতারে দেয় ফাঁকি,
অনুগত আর ফরজন্দ তারা কবরে রাখিল ঢাকি।
কবি সত্য কহিছি, শোন মুসলিম, পাপীদের পরিতাপ,
ইবরত উহা মু’মিনের তরে, হুশিয়ারী আতরাফ।
ঐ দু’হাজার ছয়ের নভেম্বরের ঈসায়ী তারিখে দেখি,
পঞ্চগড়ের পটভূমি সেথা মুনাফিকও রহে মেকি ।
দতাগুত তাহার তপ্তে জ্বালাতে চেয়েছিল মু’মিনী
মুজাদ্দিদের কাফিলা ললাটে ঘৃণ্ দিতে বরভিন।
পারেনাই সেথা পারবেও না, তিনি যে ঐশি ঢাল,
ঐ ঢালে রহে হক্কানী দল আহলাদে খোশ লাল।
চুপিসারে ঐ কুকুরের দল ভাঙ্গছে বহরি কাঁচ,
দূরে সরে গিয়ে দেখায় শিয়ালি হুক্কা হুয়ার নাচ ।
ঐ মুজাদ্দিদ মহা পৌরুষ,
জাগায় তোলেন তরিৎ গতিতে মর্দে সেনানী হুঁশ।
ঐ বাইয়্যিনাতের সিপাহী সকল বীর বিক্রমে নামে,
অমনি জামায়াত শিবির ক্যাডার পালায় তুর্কি ঘামে।
ঐ হাজার হাজার মহিলা পুরুষ পঞ্চগড়ের বাসী,
তারা মুজাদ্দিদের মুরীদ হইছে ত্যাগিয়া সর্বনাশী ।
গিরিশৃঙ্গ আর সমভূমি ডিঙ্গে গন মাঝে গৌরবে,
মহা বীর তার বহর লইয়া ছফরিছে নূর খাবে।
বগুড়া, নাটোর, জয়পুরহাট, রংপুর রওশনে,
লালমনিরহাট ভোলাহাটসহ নওগাঁর ময়দানে ।
গাইবান্ধার ঐ আকাশ বাতাস কাঁপায়ে মুজাদ্দিদ,
প্রচার করেন তাজদীদ তাঁর গুড়ান জালিমী জিদ ।
দেখি গাইবান্ধার জমিন কাঁপিয়ে দুর্জয়ী তাকবিরে,
মুজাদ্দিদ আ’যম জয় করে নেন তামাম জিন্দাদেরে।
ঐ নওগাঁ শহরে জিহাদী মিছিলে বাইয়্যিনাতের আমিল,
তারা মুজাদ্দিদ দ্বারে ইনসানদেরে করিছে করে শুসিল ।
শহর জুড়িয়া মিছিল করিছে জযবায় হেটে হেটে,
তারা উলামায়ে ছু’র মুখোশ ছিঁড়িল নওজোয়ানের মাঠে।
ফের যমুনা তীরের সিরাজগঞ্জের শহরে গাউছে পাক,
সেথাও দু’দিন তাজদীদী নূরে জনতারে দেন ডাক
শত শত ঐ শহরবাসীরা ছুটে আসে ছোহবতে,
দর্শিয়া সবে নছীহত গ্রহে আপন হৃদয় পেতে ।
আবাসিক হোটেল পূবালীতে তিনি খানকায় বসে বসে,
রোবের বারুদে বিতাড়িত করে তাগুতিরে নির্বাসে ।
জুমা পড়ালেন পূবালী ছাদেই ভরে দিয়ে সায়াদাত,
মুছল্লি মহলে রহে কল কলে ফায়েজানে সাদাকাত ।
নির্দেশ দেন শহর জুড়িয়া জিহাদী মিছিল কর,
উলামায়ে ‘ছু’র অপকৌশল জনমাঝে তুলে ধর।
এবার আদেশ গ্রহিয়া মুজাদ্দিদের জানবাজ সৈনিকে,
শত শত বীর হইছে বাহির করিয়া ভিতরে ফিকে
গগন বিদারী তাকবীর দিয়া শহর যে তোলপাড়ে,
তাকবীরে মিলে জিহাদী মিছিলে অগ্নি জযবা ধরে ।
ঐ জিহাদী মিছিল জমায়েত হয়ে শহরের চত্ত্বরে,
পথ সভা করে হক্ উচ্চারে রেখে দেয় হুঁশিয়ারে।
টু শব্দ করেনা পাতি শিয়ালেরা, চৌ সীমা ছেড়ে লুকে,
শহর প্রদক্ষিণ করিয়া মিছিল ফিরিল ওহাবী রুখে।
হায়! দালাল পুলিশ মোটা ঘুষ খেয়ে তাগুতি পক্ষ ধরে,
টিয়ার গ্যাস আর রাবার বুলেট, বীর বুকে মারে মারে।
মুরীদানে চাহে মিটাইয়া দিতে পুলিশী বর্বরতা,
মুজাদ্দিদ কহেন আইন হাতে নেয়া, নহে নহে শরাফতা ।
কুরবান হতে রয় প্রস্তুতে মুরীদান প্রতিক্ষণ,
নহে নড়বড়ে, প্রতিরোধ করে, প্রতিটি আক্রমণ ।
দাঙ্গা পুলিশে হারে অবশেষে হেরিয়া বীরের হিয়া।
মুজাদ্দিদ পদে ক্ষমা চাহে তারা, অপরাধ স্বীকারিয়া,
ক্ষমা করে দেন দয়ালু হাদী তাদেরে মুরীদ করে,
জামাত শিবির ওহাবীরা দেখে পালায় শহর ছেড়ে ।
বলিষ্ঠ সফর মুজাদ্দিদ করে আপন বাড়িতে ফিরে,
ঢাকা রাজধানী রাজারবাগেই রব্বানী নাজি নূরে ।
-বিশ্বকবি শায়েখ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫১