আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২

সংখ্যা: ১৫৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

আব্রাহাম লিঙ্কন,

ওহাবী জামাতী তাহার পুজায় ব্যস্ত সারাক্ষণ

ঐ আব্রাহামের মতবাদ তারা সদা করে চুম্বন।

ঐ আব্রাহামের গণতন্ত্রকে শিরে যে করে বহন,

মওদুদীদের  একটি দাবি,

গণতন্ত্রই মুক্তির ছবি।

ঐ কাট্টা কাফির আব্রাহামের তন্ত্র তাদের পুঁজি

ঐ পুঁজি নিতে হরদম তারা জীবন রাখিছে বাজি।

দেখি নিজামী করিছে উক্ত বয়ান গণজমায়েত করে,

 খবর কাগজে প্রচার করিছে, ঢালাও যে বিস্তরে।

ফের সাঈদী চামচা চামুচে করিয়া  আব্রাহামের নীতি,

দেশ বিদেশে বাটতে চাহিছে, বাড়াতে ধর্ম গতি।

ইহুদী সাঈদী মুজাহিদ সহ গোটা মওদুদী দল,

আব্রাহামের মজনু বনিতে সদা রহে উচ্ছল।

সেই কাতারে কওমী,খারিজী,

জানায়ে দিচ্ছে তারাও রাজি।

দেওবন্দী সব খারিজী গোষ্ঠী কাছা-দী নামিয়া পড়ে,

তাগুতী তন্ত্রে তপস্যা করিতে নিজকে ঠাসিয়া ধরে।

পিছাইয়া নেই তারাও আজ কহিতেছে চিৎকারে,

ভোট নির্বাচন হরতাল আর মিটিং মিছিলে জুড়ে।

প্রগতিবাদীরে স্বাগত জানায়, তারা সব দেওবাদী,

ঐ চরিত্রহীন আব্রাহামের ইস্কে নিজেরে বাঁধি।

কিতাবী বয়ানে নাহি দমে,

গণতন্ত্রের মন্ত্রে ঝিমে,

গোটা বিশ্বেই পরিচিত হতে মাওসেতুংকে মানে,

হায় তারা লেলিনকেও ললাটে বহিয়া ধরাতে প্রদর্শনে।

সেই সে খারিজী রহিয়াছে পাজি ইহুদীরে খোদা ভাবি,

নাছারা নমরে আদাব দানিয়া অধিকার করে দাবি।

বাংলাদেশের হদস কমিনি মাহি শফি সহ সবে,

পরশি দেশের ‘দেও’ নেতাদের কদমে রহিছে তাবে’।

 ফের দেওবন্দীদের তাবলীগী দল তামাম দুনিয়া ঘুরে,

কুফরী রেওয়াজ প্রচার করিছে গাট্টি বহিয়া শিরে।

হায় রঙ্গিলা এক মৌলভী পীর বৃদ্ধ দুয়ারে এসে,

খায়েশ মেটাতে লংমার্চ করে, জানায় দেশ বিদেশে।

শত চেলাদের কাফিলা লইয়া ঢাকায় আসিয়া বলে,

আমি ফুলতলী কহি দিল খুলি, বসে নই এই হালে।

ছবি, ভিডিও আর বেপর্দাগীরীতে একটুও ঝিমে নই,

রহি আব্রাহামের সিলসিলায়, কসম করিয়া কই।

ইহুদী দেবের কদমে পুষ্প দানিতে করিনা কসুর,

ঐ ইহুদী দেবের পুঁজায় ভাবিছি দুনিয়াটা মোর হুর।

ঐ হুর লাগি মোর বৃদ্ধ বেলায়ও লোভ নাহি রয় কমে,

ইতিহাসে আমি থাকিতেই চাই, স্মরণীয় বদনামে।

আমি জৌনপুরী দাবী নাহি করি সনাতনি ইসলাম,

ইহুদী মতেই মত খানি রাখি, ফুলতলী ঘুষিলাম।

ফের চুল্লা ফকীর লাল-শালু গড়ে তরীকতি সংগঠন,

চাহে বিদয়াত বেশরার ধুমাগ্নীতেই ঢাকিতে যে জনগণ।

তারা যোগী ঋৃষিদের  রেওয়াজ গ্রহিয়া শেরেকীতে  বেশুমার,

চাহে মুসলমানেরে হিন্দু বানাতে তাগুতী করে প্রচার।

হুশিয়ার ওরে খেকশিয়াল,

শুন আব্রাহামের পুজারি সকল যত কর কুট চাল।

ঐ আল কুরআনের বিজয়ী কেতন  দূর্বারে উত্তাল,

 দেখ্রে দেখ্ আল হাদীছের দস্ত দামান উঁচুতেই বর্তাল।

ঐ সত্য ইজমা দ্বীপ্ত ক্বিয়াসের চকচকি তারকা,

জানাই গগণ চুম্বি জ্যোতি ইসলামি মু’মিনের ছায়কা।

আজ লিঙ্কনের লালসা জ্বালাতে আল্লাহর শমসির,

 রয় রৌনকে তাঁর শির গুলজার নূরে নূরে তানবীর।

ঐ তিনিই হলেন মুজাদ্দিদে আ’যম আছেন রাজারবাগে,

ঐ তিনিই হলেন ইসলামী হাল, দীনিয়াতী মহা ভাগে।

উলামায়ে ছূ’য়ের মুখোশ ছিড়িয়া দেখান তাদের শ্রী,

মিছমার করে দিচ্ছেন তিনি তাগুতি ছলের বেরী।

সর্বদা তাঁর রোবের দাপট রূপ নেয় আনবিক,

রহে সেই দাপটের আয়ত্ত্বে ঐ মাগরিব মাশরিক।

তিনি মুজাদ্দিদ পথহারা লাগি মজবুত আলোয়ান,

তাঁর তাজদীদে শুদ্ধে আনিছে ইনসানি সম্মান।

তাঁর নাম শুনি কাপিছে বাতিল বন-বাঁদারের গুহে,

ঐ উলামায়ে ছু-এর দেবতা সমেত, আড়ালেই রহে রহে।

তিনি আল্লাহর জালালি শান,

তিনি রহীমের রহমানি দান।

তিনি যে খোদার জামালি চিজ,

তিনি করীমের করম নিজ।

ঐ একবিংশের জমিন গগণে তাঁর প্রভাবের বায়ু,

একচ্ছত্রে হিল্লোলে জুড়ে আলমি বাগের আয়ু।

আয়রে মু’মিন তালকীন নিতে রাজারবাগের দোরে,

আয় মজলুম জোশ লও এসে দুনিয়ায় দিবাকরে।

আমল আক্বীদা ইখলাছ নিতে মুজাদ্দিদের হাতে,

মুরীদ হওরে তাহ্মীদ পেতে, রবেনা তাগুতি খাতে।

-বিশ্বকবি, শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬

 আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০