আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৪

সংখ্যা: ১৫৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

 ফুটবল,

 বিশ্বকে আজ মাত করে দেয় রেখে যে হট্টগোল। বেলেল্লাপনায় উন্মাদ হয়ে হাসতেছে খলখল,

 হায়! তরুণ-তরুনী নর্তকী সেজে নন্দেতে উচ্ছল।

যুব ও বৃদ্ধ বুদ্ধু বনিয়া খেলার আমেজে যোগ,

হিতাহিত জ্ঞান বিরান করিয়া সত্তা করে বিয়োগ।

 

এমন কি ঐ রিক্শাওয়ালাও রিক্শা বেচিয়া শেষে,

 খায়েশ পুরাতে টিভি যে কিনিছে নন্দের অভিলাষে।

আহা! ফুটবল প্রেমে জীবন যে দমে আত্মহুতিই গ্রহে,

ফের কাঁদিয়া কাঁদিয়া বক্ষ ভাসায়ে বিলাপ করিতে চাহে।

 

ফুটবল আহা প্রাণের যুগোল, যতই যাতনা দিক,

সাদা-কালো ফেলে, রঙ্গীন টিভি ক্রয় করিতে হিড়িক।

 জাত মান সব যায় চলে যাক বিশ্বকাপ দেখা চাই,

কোটি কোটি টাকা ও শ্রম খরচে কোনই কসূর নাই।

 

ঐ মরদুদ্ শয়তান!

বুদ্ধিজীবিরে সিদ্ধ করিয়া তার পথে রাখে টান।

 ঐ সুবুদ্ধিতেই কূটচাল দিয়ে জিয়ে রাখে উগ্রতা,

মানবিয়তারে নরকে রাখিয়া দেখায় যে ধৃষ্টতা।

 

ঐ ফুটবল আজ মানবি শিরায় বহাইছে হিল্লোল,

ফুটবলে হায় বিকলে রহিছে পশুত্বেই চঞ্চল।

 ফুটবল দিয়ে মানবের মাঝে সখ্য গড়িয়া তোলে,

মানবেরা ঐ তাগুতি রঙ্গে ধরিছে বসন খুলে।

 

রাখে লাস্যময়ীদের শিকার করিয়া ফুটবলি ইজলাসে,

বলের যাদুতে বাঁধে ইবলিস কঠিন অক্টোপাশে।

আজ প্রাধান্য পায় সারা দুনিয়ায় ফুটবল একচেটে,

 ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সেই প্রেমে সবে ছুটে।

 

হায়! হায়! ইবলিস,

সে লাগিয়া যে গেলো ফুটবল নিয়া মুসলমানের পিছ।

ইহুদী হিন্দু নাছারা মজুসি বৌদ্ধ নাস্তি দিয়ে,

মুসলমানেরে শিকার করিছে ছল্কি আশায় থুয়ে।

 

ফের উলামায়ে ‘ছু’ ওহাবী খারিজী মওদুদীদের হাতেই,

ফতওয়া যে দিয়া গর্ব করিছে বিশ্বকাপের তাপেই।

উড়াইয়া ছাড়ে মুসলমানের বাড়ি শিরে হায় হায়,

ছাইয়া রাখিছে রং-বেরংয়ের লাখো লাখো পতাকায়।

 

আজ নামধারী ঐ আলিম ইমাম তালিবেরা বেসামাল,

ফুটবল প্রেমে নামায আযানে করে যে টালমাটাল।

এহেন সুযোগে সহজে তাগুত ঈমান কারিছে বেশ,

মুসলমানেরে দুনিয়া পুজায় আস্ত রাখিছে পেশ।

 

খবরদার! পৃথিবী যমীন কাঁপাইয়া হাকে মুজাদ্দিদ মেহমান,

 সেই হাকে লুকে ধূর্তবাজ ঐ ইবলিস শয়তান।

 হাজার লক্ষ লিফলেট তিনি মুহূর্তে ছড়ান ভূমে,

ফতওয়া যে দেন খেলা হারাম হাদীছের আহকামে।

 

রসূলে পাকের ছহীহ হাদীছ, পৃথিবীর প্রতিপদে,

প্রচার করেন ঝটিকা বেগেই বলিষ্ঠ তাজদীদে।

ক্ষতি ওরফে জাতীয় খতিব চর্ম ছাড়া ও মাহি,

শর্ত সাপেক্ষে সকল খেলাই তাহারা জায়িয কহি।

 

মহিলা কুস্তি ও ক্রিকেট ভলি ফুটবলসহ সবি,

হাল জামানায় জায়িয কহিছে ক্বিয়াসে বনিয়া নবি।

স্বঘোষিত ঐ নবী দাবিকারী নামধারী পীর আলিম,

হারামকে হালাল ফতওয়া যে দেয় ইহুদীর খেয়ে আফিম।

 

ঐ বীর মুজাদ্দিদ ইমামে আ’যম প্রবল বাঁধার মুখে,

খেলাকে হারাম ফতওয়া যে দিয়া মিথ্যাবাদীরে রুখে।

তিনি অকাট্য দলীল নির্ভয়ে দেন কোন পরোয়াই নাই,

তিনি আসাদুল্লাহ বাতিল ভাঙ্গিতে জজবাহি জোশে রই।

 

যতই তাগুত অযূত শক্তি যোজন করিয়া ফিরে,

 মুজাদ্দিদের রোবি দাপটেই তুলো হয়ে সব উড়ে।

ঐ মুজাদ্দিদ তিনি আল্লাহর দান মাখলুকাতের মাঝে,

ঐ মুজাদ্দিদ তিনি রসূলী রহম খোদার সৃষ্টি রাজে।

 

সেই মুজাদ্দিদ রাজারবাগেই, দূর্গ তাঁহার সুভে,

তাঁর তাজদীদে কায়িমী প্রদীপ দপ করে যায় নিভে।

 শুন্, মুজাদ্দিদের বিরুদ্ধবাদীরা আল্লাহ্র দুশমন,

রসূলে পাকের অভিশাপ রহে সর্বদা বর্ষণ।

 

 সাবধান ওরে সাবধান হও দুনিয়ার মুসলিম,

ঈমান বাঁচাতে আয় চলে আয় রহিওনা মুজরিম।

ঐ মুজাদ্দিদের হস্ত ছোঁয়ায় লওরে ঈমানী স্বাদ,

দুনিয়া আখিরে কামিয়াবে রহো মুছে লও অপবাদ।

 

তাঁহার পরশ বড়ই সরশ হাদীছ কুরআন মতে,

হতভাগা আর কভু না রহিবে মুসলিমী ফিত্রাতে।

আমি কবি কই তাকবীর দিয়ে পৃথ্বি চূড়ায় উঠে,

সত্যবাণী যে প্রকাশ হইলো তুর্জ কলমি ঠোটে।

 

ঐ মুজাদ্দিদের ফায়েজী জজ্বা বহিছে আমার ক্ষুণে,

তাই পরোয়া করিনা সত্য কহিতে জাহিলের ময়দানে।

তাই আমীন আমীন কহরে মু’মিন দুর্দিণে বাঁচিবার,

মুজাদ্দিদের জোস্না ছায়ায় সবে করি পারাবার।

 

-বিশ্বকবি, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬

 আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০