আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৩

সংখ্যা: ১৫৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

দেশময় আজ শত্রুরা বহমান,

আর বসে নয় ঘরের ভিতরে, আয়রে মুসলমান।

পুরো ক্বওম জুড়ে থাবা যে মারছে, দুশমনে মুসলিম,

কোটি কোটি ঈমান বিরান করিছে, চেয়ে দেখ নিঃসীম।

উৎপীড়িতের ধারালো খোঁচায় জখম করিয়া দিল,

কাড়িয়া লইছে বিশ্বাসী বাস দিয়ে হায় অশ্লীল।

দেখি জন্ম-মৃত্যু সকল ক্ষেত্রে তাগুতি খবরদারী,

কৃতল গাহেতে কাত করে রাখে মুসলমানেরে ধরি।

জালিম শাসক ও ঠক মৌলুভী নাস্তিক মিলে মিলে,

মুসলিমীনের তাহজীব আজ ঝুলায়ে রাখিহে শুলে।

 নিঃসার রাখিছে মানব মাঝে ঐ কুওমে ঈমানদার,

নাহকু বটিকা সেবন করায়ে বেহুসেই বেশুমার।

কহে, আজ বাংলায় চিৎকার করে নবরূপী হনুমান,

সে নাস্তিক হয়ে আস্তিকি সূরে গাহে ধর্মীয় শান।

নামে মুসলিম তা’লীম লভিছে নম নাছারার ঘরে,

ঐ বক ধার্মীক সংস্কারিতে নিজেরে উজার করে।

সে যে ঐ শফিকুর রেহমান,

তাহা ‘যায়যায়দিনে’ প্রকাশ করিছে হইয়া সে বেঈমান।

মুসলমানের ধর্মীয় নীতি ক্ষতি সে করার লাগি,

ঐ ইহুদী নমর হয়ে উভচর আস্ত বনিছে ছাগি।

সে খোদাদ্রোহীর প্রথম কাঁতারে থাকিয়া বাজায় ঢোল,

সে হনুমান হয়ে কিত্তন গেয়ে খিলিছে ইহুদী ঘোল।

ফের নাছারা চরনে প্রণাম করিয়া বাংলার ময়দানে,

বাইবেলিবাদ দাওয়াতে সাজিছে পাদ্রীর অনুদানে।

ঐ শফিকুশ শয়তান,

জানায্য কবরে গীতা পাঠ করে নিতে চায় খ্যাতিয়ান।

ত্রিপিটক আর বাইবেল পড়ে কুরআনের পাশা পাশি,

কবরেও সে উদার নীতিতে মুর্দারে রাখে কষি।

হিজরা আর নর্তকি দিয়ে নাচে গানে মুর্দারে,

নন্দে রাখিতে চাহিছে কবরে গীতা পাঠ করে করে।

‘যায়যায়দিন’ পত্রিকা তার সেথায় লিখিছে সে,

ঐ ইহুদী পয়সা খাইয়া যে হায় রহিয়াছে উচ্ছ্বাসে।

কহে মৃত্যুস্থলে পুষ্প রাখো হে স্মরণ করার তরে,

নর সম নারী জানাযা নামাযে রহিবে এক কাতারে।

হিজরাও সেখা শরীক রহিবে মানবের অধিকারে,

নামায বাদ গাহ মুনাজাতে ঐ রবীগীত উচ্চারে।

উচিত হইবে মুর্দাকে ঘিরে কুরআনের পাশাপাশি,

ত্রিপিটক আর বাইবেলসহ গীতা পাঠ কর ঠাসি।

ঐ নাস্তিকি সন্তান

হায়রে আজ বাংলাদেশের মুসলমানেরে করিতেছে হয়রান।

কহে প্রগতি যুগের বুদ্ধিজীবীরা তোমরা বুঝিয়া লও,

নহে মানব ধর্মের তরে, মানবের তরে ধর্ম কও।

ঐ কুখ্যাত বেঈমান,

হায় ইহুদির সে দফাদার হয়ে অহমেই বেগবান।

সে প্রতাপ লভিছে ওলামায়ে ছদের অনুগত করে করে, পু

রোহিত প্রথা প্রচার করিছে ‘যায়যায়দিনে’ চরে।

গণতন্ত্রের মন্ত্র বলেই লভিছে বাক স্বাধীন,

যা ইচ্ছা তাই কহিছে অবৈধ পণ্ডিতি সীমাহীন।

হায় হোঁচট খাইয়া ছিটকে পড়িছে বর্বর শয়তান,

আল বাইয়্যিনাত করে নস্যাৎ শফিকের খতিয়ান।

ওহাবী নজদিক হইয়া শফিক, সবক লঞ্চিছে বেশ,

বাইয়্যিনাতের বদনাম গায় প্রচারিয়া সারাদেশ।

নাদান কাফিলও তাহার সাথে যে করিছে চামচা গিরি,

টিভি পর্দায় প্রোগ্রাম করে মারিতেছে ঝাড়ি ঝুড়ি।

শোন রে শোন ঐ বেঈমানেরা তোদের কর্ণ খুলি,

রাজারবাগেই শুভিতেছে ঐ পাক মদীনার ঝুলি।

সেথায় খোদার খাছ খলীফা, নেই তাঁর মুশকিল,

নির্ভিক তিনি আশিকে রসূল সত্যে দারাজ দিল।

তিনি মক্কার চাঁদ মাদানী সূর্য দুর্জয় তেজিয়ার,

তিনি কবজা করেন তাগুতি সবুজা দন্তে সুন্নী দাঁর।

 তিনি ঐ দাঁর দিয়ে দ্বীনের কিস্তি চালান যে দোস্তরে,

 ঐ দাঁর হয় তাজদীদ তাঁর উলকা সমেত ওরে।

মুজাদ্দিদ তিনি গাউছুল আ’যম যামানা একক তাঁর,

 বিদয়াত থেকে তিনি দ্বীন ইসলামকে করিছেন উদ্ধার।

ঐ আল বাইয়্যিনাত ধুলিস্যাত করে বাতিলি অট্টালিকা,

কায়েনাতে আজ তাণ্ডতবাদিদের ধরিয়া বানান বোকা।

আল বাইয়ি‍্যনাত আল ইহসান জান্নাতি অনুদান,

ঐ অনুদানে তামাম তাগুত বিয়াবানে ভাগুয়ান।

আজকে দ্বীনের মসনদে দেখ মুজাদ্দিদ সুলতান,

দন্তে তাঁহার হাতিয়ার শোভে সুন্নতি আশ্বিশান।

খালিদি ক্ষীপ্র দাপটে কাঁপান নাহকের মসনদ,

কেবল রসূলের নুরী দূর্গ হতে তিনি যে পান মদদ।

ওহে মুসলিম অসীম সাহসে মুজাদ্দিদের সনে,

ঐ মুজাদ্দিদের ফায়েজী ভেজেই জ্বলে ওঠ সবখানে।

-বিশ্বকবি, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬

 আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০