ঐ ওহাবী খারিজী মওদুদীরাই ইহুদী শরাব পিয়ে,
নর্তকী হয়ে নাচিয়া চলিছে হায়া লাজ খুয়ে খুয়ে।
আজকে তারাই ক্ষমতার লোভে ইসলামী আসমানে,
বিদয়াতী মেঘের সামিয়ানা টেনে, তাগুতি শাসন আনে।
মুসলমানের আক্বীদা আমলে ওহাবী শাবল হানে,
খারিজীও সেথা শরীক রহিছে ছয় উছূলের ঘুণে।
রেজভীও হায় চামচিকা হয়ে করিছে সমর্থন,
কাদিয়ানী তাজ মাথায় পড়িয়া কুফরীতে অর্পণ।
হায় তাগুতের প্রথা ভোটের পিঁড়িতে করিছে তাহারা ভিড়,
মনগড়া ঐ ফতওয়া যে দিয়া পরিছে গো জিঞ্জির।
তারা খিঞ্জির সেজে ইহুদীর মাঝে, করিতেছে উল্লাস,
ঐ নারীর আঁচলে নির্বাচনেই তাহারা চাহিছে পাস।
হায়! খারিজী কওমী পিছাইয়া নহে তারাও অগ্রসর,
ঐ বেগানা নারীর হুকুম পালনে তারাও রয় অনড়।
দেখি আসাদ ঘাদানি কংগ্রেস করে সোনিয়ার হাত ধরে,
গোটা দেওবাদী সোনিয়া পূজায় ব্যস্ত যে হয়ে পরে।
খবরের কাগজে ছবিও ছাপিয়া, তৃপ্তি ঢেকুর ছাড়ে,
ঐ ঢেকুরের আওয়াজ খানিও বাংলায় ঢুস মারে।
ঐ আসাদ ঘাদানির শীষ্য শাবক হদস কমিনী মাহি,
নারী ক্বদমকে পুঞ্জি করিয়া কিত্তন গাহে ছহি।
ওরে হিংসুক উল্লুক সব জানোয়ার জীব গুলা,
তোরা যে তোদের ইহুদী দেবের ক্বদমে রাখিয়া মালা।
তোরা ওহাবী রেজভী মওদুদী হায়, ধর্মে তুলিছ ঢেউ,
আর ইহুদী নাছারা, দাজ্জাল হয়ে তোদেরে বানায় ফেউ।
ফের উল্লাস কর তাণ্ডবী খেলে,
আহামরি কিছু পাইয়া যে ঘোলে।
হইয়া যে হীন বাজাইয়া বীন, রহ তাগুতের তাবে’,
ঢাক পিটে পিটে হাটে ঘাটে মৌজ করিতেছ বিয়াকুবে।
তোরা মুরতাদ, মরদুদীবাদ তোদেরে করে গ্রাস,
বদ নছীব ঐ ওহাবী খারিজী হয়েছ সর্বনাশ।
ওরে মুসলিম হওরে আলিম, চিনহে কারা জালিম,
কাহারা তোমার ঈমান অসারে, জিয়ে রাখে কূটতা’লীম
ঐ মুসলিম শোন, ওহাবী খারিজী মওদুদী ইসলামে,
মরদুদ তারা মুসলিম মাঝে শয়তান নিম নিমে।
মুওদুদীদের মর্দামী শুধূ ইহুদী শিখানো বুলি,
মুসলমানের ক্বদমের তলে রেখে দেয় চোরা বলি।
রেজভীরা ঐ তছবিহ হাতেই ইহুদী ছবক পঠে,
ওহাবী গাধারা নাছারা পূজায় গর্ব করিয়া ছুটে।
ঐ খোদার দুয়ারে হিল্লোল উঠে ঘূর্ণি ঝড়ের বায়ু,
শুনিয়া রাখরে তাগুতি হায়েনা তোদের ফুরায় আয়ু।
ঐ হিল্লোল কল্যাণী বীর তোদেরে করিতে দূরীকৃত,
জমিনও তাঁহার পদছোঁয়ায়, ফিরে পায় হিতাহিত।
ঐ দৃশ্যমান আজ রাজারবাগ, বাংলা পূণ্য ভূমে,
ঐ মদীনার জাগ্রত ভূম ঊর্বর নও নামে।
ঐ মরু মদীনার অববাহিকায় রাজারবাগ উদ্ভব,
আল্লাহর প্রিয় প্রতিনিধি সেথা নিয়ে আছে মনসব।
তিনি মুজাদ্দিদ আ’যম গাউছুল আ’যম, সুন্নতি নীহারিকা,
তিনি কুতুবুল আলম ইমামে করম, নেই তাঁর অহমিকা।
তিনি যে স্বয়ং খোদায়ী শক্তি, উক্তি কুরআনী নূর।
তিনি রসূলের রূহানী জ্যোতি, গতিময়ে মঞ্জুর।
আজ তাগুতের নিঃশেষে তিনি, বাজ হয়ে আগমন,
তিনি যামানার মাহদী মাসঊদ, দাজ্জালের শিহরণ।
তিনি মুসলমানের ঈমান বাঁচান, ওহাবীর থাবা থেকে,
তিনি ঈমানদারের আক্বীদা ফিরান, দেওবাদী দাহ ছেঁকে।
তিনি রেজভী ধোঁকারে প্রকাশ করেন, ইহুদী মুখোশ তুলে,
তিনি আশিকের ক্বালবে দিলেন, সত্য প্রদীপ জ্বেলে।
তিনি ইনসান শরীফান করে, বানান যে জান্নাতী,
তিনি মা’বুদের মাহবুব হন, রসূলের রুহী মতি।
আজ মুসলমান হও আগুয়ান, রাজারবাগের দিক্,
সেথায় আছেন মুজাদ্দিদ আ’যম সত্য লভিবে ঠিক।
তিনি মুজাদ্দিদ দেন তাজদীদ, তাঁর দিশ মাঝে পাবে,
তাঁর জ্যোতিতেই দ্বীনের তর্জ, অভয়ে লইয়া যাবে।
চারিদিক হতে ঘিরে থাকা ঐ, তাগুতি ধূম্রজাল,
মুজাদ্দিদের ফায়েজি অগ্নি, তাহা করে পয়মাল।
সাবধান! ওরে সাবধান! ধেয়ে আসে দাজ্জাল,
ঈমান বাঁচাতে তরীত হওরে মুজাদ্দিদী আহ্ওয়াল।
তাঁর ফায়েজেই বলবান হয়ে, হাতে লও তলোয়ার,
ভয় ক্ষয় করে, হিম্মত যোজে ইহুদীর কাঁটো ঘাড়।
উলামায়ে ‘ছূ’য়ের পিছু হেটনারে, ঐ ইসলামে বিশ্বাসী,
তোরে মিছে লোভ দেয় উলামায়ে ‘ছূ’, পরিণামে রাখে ফাঁসি।
ঐ মুজাদ্দিদে আ’যম ইসমে আ’যম জিন্দা যে জমিনে,
কেন হে দেরী, আস দুর্বারী, গ্রহ তাঁরে কায়মনে।
কহিয়া গেলাম আমি এক কবি, ইহাই সত্য বাণী,
অক্ষয় উহা নিশ্চয়ই তাহা, চিরঞ্জীব সেই ধ্বনী।
-বিশ্বকবি, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০