আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩৯

সংখ্যা: ১৫১তম সংখ্যা | বিভাগ:

জানবাজী রেখে কহি কহি মোরা সত্যের সংবাদ,

প্রকাশ করি জনতার মাঝে সুন্নাহ্র নওশাদ।

মুসলিম মোরা পাই মুজাদ্দিদ, দেড়শ’ বছরি তীরে,

মুসলিম ফৌজ তাঁর ফায়েজেই দ্বিপ্ত যে দিবাকরে।

সেই সে রাজারবাগ,

মাদানী নকশা বক্ষে ধরিয়া ভাঙ্গিছে ঠগ দেমাগ।

ঐ রাজারবাগেই রাজকীয় নূর মুজাদ্দিদ গৌরবে,

তাগুতি রেওয়াজ দগ্ধ করিছে, দুরন্ত মহারোবে।

সারা বাংলার আনাচে কানাচে পৌঁছান হক্ব বাণী,

জাহিলী ধরায় নববী খুশবু দানিছেন মহাজ্ঞানী।

নাজাতের মহাভান্ডার,

ঐ মুজাদ্দিদ তিনি মু’মিনের তরে খুলে দেন রব্ দ্বার,

ঐ দৈত্য দানব নাশ তরে তাঁর দুনিয়াতে আগমন,

তিনিই মাহ্দী এই জামানার গোটা ভূমে আলোড়ন।

আজ দৈত্য দানব ইহুদী নাছারা দাজ্জাল হয়ে ঘোরে,

মুসলমানের  ঈমান লুফিতে কৌশলে জাল ছুড়ে।

আজ বাংলার অলিতে গলিতে ঘুরিছে কেডি কুকুর,

তারা ইহুদীর নাজ পাইবার আসে বনিছে ধুরন্ধুর।

ঐ কেডি কুকুরই জামাত শিবির, খারিজী ও তাবলীগ,

তারা মুজাদ্দিদকে মিছে রুখিতেই সদা রহে উদবিগ।

পারিয়া উঠেনা কোনভাবে তারা তাগুতি মদদ বলে,

ঐ মুজাদ্দিদ তিনি ইলাহী খলীফা, কুভু না পরেন হেলে।

গত ত্রিশ/একত্রিশ দু’হাজার ছয় জানুয়ারী মাহিনাতে,

আসেন সুনামগঞ্জ জেলা শহরে, গণমাঝে হক্ব দিতে।

হাজার হাজার ইনছানে ঘেরা, মুজাদ্দিদী মজলিসে,

সুনামগঞ্জের অধিবাসী, তাঁর পরশ লইছে জোসে।

ঐ মুজাদ্দিদের মুরীদ হয়ে সব, সন্বিত ফিরে পায়,

আল্লাহ্র পথে অটল থাকিতে শপথ যে আওড়ায়।

সুন্নাহ্ জীবন করিছে গ্রহণ, তাজদীদী আলোয়ানে,

চিনিয়া ফেলিছে দুশমনে দ্বীন, তাজদীদী ফরমানে।

পরে, সুনামগঞ্জের পুরো শহরেই প্রচণ্ড আলোড়ন,

তাই মুজাদ্দিদের আগমনে লাগে তাগুতের শিহরণ।

ঐ তাগুতি কুকুর ওহাবী খারিজী মওদুদী যায় ক্ষেপে,

সুনামগঞ্জ হাতছাড়া বুঝি হয়ে যায়, উঠে কেঁপে।

দলে দলে লোক বাইয়াতে পুলক, দেখিয়া সে দৃশ্য,

হায়! এমনটি হলে তাগুতি দখল হয়ে যাবে নিঃস্ব।

ভাবনায় পরে ভন্ডরা সবে মাশোয়ারা করে ঢের,

যেভাবেই হোক ঠেকাতে হবে ইজ্জত গুরুদের।

কেন্দ্রীয় উলামায়ে ‘ছূ’দের, সাথে যে তারা এবার,

যোগাযোগ করে ঘটনা কহিয়া উপায় চাহিছে তার।

কেন্দ্র হতে মত ভেজে ঐ নিয়ে যাও হাতিয়ার,

তরীত্ব জোগাও শিবির ক্যাডার বাড়াও যে গণহার।

ঐ ওহাবী দালাল চেয়ারম্যানসহ ভন্ডরা সবে মিলে,

ইমাম পরিষদের ব্যানার লইয়া মিছিল করিয়া ঠেলে।

শতধা হুমকি ধমকি মারিছে কহে কহে অশ্লীল,

তবুও তারা ঠেকাতে পারেনা হক্ব তালাশীর দিল্।

দলে দলে আসে শহরবাসীরা মুজাদ্দিদের দ্বারে,

সুন্নতী টুপি মাথায় চাপিয়া সত্য যে উচ্চারে।

রাগে ক্ষোভে হায়! ফাটিয়া পড়িছে জানোয়ার ওহাবীরা,

শিবির ক্যাডার কেডি কুকুরেরা ঢিল মারে তাড়াহুড়া।

নিক্ষিপ্ত ঢিল ফিরে অবিকল, লাগিছে তাদের গায়েই,

এতে করে তারা আহত হইছে, অন্ধ ল্যাংড়া হয়েই।

জেলা প্রশাসক তখনি সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়,

হটায় তাদের ফাঁকা গুলি করে, পিটায়ে করিছে হেয়।

আরো যে আসিলো বিডিআর ফৌজ, মৌজে করিছে গুলি,

ঐ কেডি কুকুরেরা পালায় দৌড়ে, তাকায় না চোখ মেলি।

পুরাতন বাসস্ট্যান্ড নূরানী হোটেলে মুজাদ্দিদসহ মোরা,

মুরীদান মোরা নিবেদিত রহি, পূর্ণ জজ্বা জোড়া।

মোরা তিন শতাধিক আঞ্জুমানের নির্ভিক সৈনিক,

আদেশ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকি, জিহাদ করিতে ঠিক।

মুহূর মুহূ তাকবীরে মোরা, শহর রেখেছি কেঁপে,

প্রশাসন তাহা বুঝে হুশিয়ার, নজর রাখিছে মেপে।

জন চল্লিশেক ক্যাডার কেবল জঙ্গী মিছিল করে,

হায়! তাহাও ফের ঐক্যজোটের মদদে লাফায় ওরে।

মুজাদ্দিদে আ’যম নির্দেশ যদি দিতেন মোদের তিনি,

ঐ চল্লিশ কেন হাজারো ক্যাডারের, শিরগুলি লই ছিনি।

সারাদেশময় খবর পৌঁছায় সকল মুরীদী কানে,

ক্ষিপ্র বাঘের হুংকারে সবে প্রস্তুত জনে জনে।

এহেন দশায় প্রশাসন করে আমাদের অনুরোধ,

হুযূর! ক্ষমা করে দেন আমাদের দোষ, খারিজীরা নির্বোধ।

তিনি রসূলে পাকের নছবী তনয়, মহামতী দয়াবান,

তায়েফের ন্যায় ক্ষমা করে দেন, যত যে ছিলো নাদান।

যথাসময়ে বীর বেশে মোরা, তাজদীদী কাজ সেরে,

সুনামগঞ্জ ত্যাগ করে আসি, দোছরা ছফর পুরে।

-শায়ের আলম, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬

 আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০