আজ পৃথিবীর চারিদিক হতে ইহুদী-নাছারা মিলে,
মুসলমানের টুটিখানী চেপে মারিতেছে তিলে তিলে।
পৃথিবীতে আজ সুলূল-সাবারা আসে যায় বার বার,
আরও চাহে ঐ কারবালা খুন, তাকায় রহে সীমার।
আহ! এই পৃথিবীর খবরদারীতে ইহুদীরা হুশিয়ার,
তাদের সাদ্দাম আর লাদেনই মোষ্ট ওয়ান্টেড হাতিয়ার।
ফের, নাছারা চাকর দেওবাদী ঐ হদছ কমিনী মাহি,
ইহুদী কানুন কায়েমের তরে সংগ্রাম লহে গ্রহী।
এই বাংলায় হায় মওদুদীরাই ছবি ও মূর্তিপূজায়,
আওয়াম মু’মিনী শীরখানা, জোর করে দেয় নোয়ায়।
হাজারো বিদ্য়াত প্রবেশ করায়ে দাবী করে প্রগতি,
জাহিল সাঈদী হাদীর দাবীতে ইহুদীরে কয় পতি।
ঐ আল্লাহ্র দান সুন্নী কামান, রাজারবাগের চূড়ে,
মুজাদ্দিদে যামান মুসকিল আসান, তাশরীফ নূরে নূরে।
ঐ মহা মুজাদ্দিদ তাগুতি তখতে, তরীত্ব চাবুক হানে,
বেড়ে উঠা ঐ উলামায়ে ‘ছূ’দের রাখিয়া ত্রাস তুফানে।
ঐ মুজাদ্দিদের দস্তে সুভিছে ফারুকের তলোয়ার,
রক্ত তুফান তাগুতি দুর্গে, ঝড়গতি বেশুমার।
আজ মুজাদ্দিদের কূল কাফিলায় শক্তি যে অফুরান,
দেখ, বাজিছে বিজয়ের ধ্বনী তাজদীদী মহা দান।
ঐ গত ডিসেম্বর দুই হাজার পাঁচে বাংলার উত্তরে,
লয়ে আহাল-মুরীদ, যান মুজাদ্দিদ, দ্বীনিয়াতি সফরে।
পাবনা নাটোর সিরাজগঞ্জ, ঠাকুরগাঁ দিনাজপুরে,
পাটগ্রাম চাঁপাই, নাজিমখানের মিয়াপাড়া চত্ত্বরে।
স্মরণকালের দ্বীনি মেহ্নত, শোন হে মুসলমান,
তামাম তাগুত কিমাম করিয়া হক্ব দানে সহজান।
আরো স্মরণীয় বরণীয় হয়, মহিলা তা’লীমে জমা,
ঐ মুজাদ্দিদের জাওযা সেথা নূরানী মুয়াল্লিমা।
লাখ মহিলারে তাজদীদী নূরে পথ যে দেখান তিনি,
মু’মিনা হৃদয়ে এলাহী আলোয়ে, আলো করে দেন আনি।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার নাজিমখাঁন ইউনিয়নে,
গ্রাম মনিডাকুয়া, গাজীরদরগাহ, মানিক মিয়া নিকেতনে।
লিখি কিছু আমি সাইয়্যিদা মায়ের, তা’লীমের ইতিহাস,
শত শত নারী আসে মিয়াবাড়ি, লভিতেছে উচ্ছাস।
জান্নাতী নূর এলো মিয়াবাড়ি, সারাগাঁও আলোয়ান,
হাজার হাজার মহিলার ভিড় সেথা যে বিরাজমান।
এপাড়া ওপাড়া ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসে, লভিতে নূরের দান,
বোরকা চাদড়ে ছেয়ে ফেলে আজ, মানিকি আঙ্গিনা খান।
দেড় বিঘা জুড়ে গাজীর কুটিরে, বাগান বাড়িতে ভিড়,
পর্দার সাথে তৈরী যে সেথা তা’লীমের মহা নীড়।
মায়ের আদর আচরণে সবে মুগ্ধা রমণী কূল,
ফিরিয়া পাইছে নারী জীবনের, ইসলামী রাহা মূল।
পাশের পাড়ার রিকশাওয়ালা, কহিতেছে চিৎকারে,
লোকালয়ে মাঝে আম্মা ছিফত, খুশী হয়ে উচ্চারে।
অবাধ্য আমার ঘরের বিবি, বিবাহ্রে পর হতে,
বেয়াদবী করে হড়দম ওরে সংসার অধঃপাতে।
নামায রোজার ধার ধারে নাকো, পর্দার নেই বালাই,
টিভি সিনেমার নেশায় বিবির, শালীনতা কিছু নাই।
কেঁদে কেঁদে কত রাত পার করি, চিন্তা বেড়েই রহে,
দোয়া তদবীর কত না করেছি, ফিরাতে পারিনি তাহে।
ঐ যে মানিক হুযূরের দরগাহ বাড়িত্, মহিলা তা’লীম হয়,
সেইঠে আমার বিবিও গেলেন, শুনিবারে নিরালায়।
বাড়িতে আসিয়া বিবি যে আমার, দুই পাও ধরে কয়,
স্বামীর পায়ের নিচে বিবির বেহেশ্ত, বুঝিয়াছি নিশ্চয়।
অপরাধী আমি ক্ষমা চাই স্বামী, শান্তি যে নাহি পাই,
ঐ রাজারবাগের আম্মাজান মোক, কয়া দেন সব তাই।
নামায পড়িম, যিকির করিম, পর্দা করিয়া থাকিম,
অবাধ্য আর হোইম না স্বামী, বরকত ধরি আনিম।
কত যে দিবস কত যামি, ও স্বামী কষ্ট দিয়াছি মনে,
ওগো! মাফ করে দেন আমারে এবার রাখিয়াই চড়ণে।
এবার রিকশাওয়ালার দুই আখি ভরে পানি করে ছলছল,
ভীড় করা সব লোকদের সে কহিতেছে সবে চল।
রাজারবাগের পীর সত্য ওলী খাঁটি তাঁর নছীহত,
তাঁর ছোহবতে হক্ব পাওয়া যায়, কহিনুই এ যাবত।
সুবহানাল্লাহ্ বলিয়াই সবে, আসিল দরগাহ বাড়ি,
হাজার হাজার বণী আদমের ভীড় সেথা রয় জুড়ি।
এভাবেই কত মু’মিনীন তারা চৌদিক হতে আসে,
মহান ওলীর কদম চুমিয়া, ইসলাহে রহে মিশে।
তিনদিন ব্যাপী মিয়াপাড়াতে হাজার হাজার লোকে,
মুখরিত রাখে যিকির-আযকারে অবকাশে নাহি থাকে।
এমনটি করিয়া মহান মুজাদ্দিদ বাংলার গাঁও গ্রামে,
প্রতি লোকালয়ে আলো করে দেন পবিত্র ইসলামে।
ওরে ও মু’মিম গমগীন ছেড়ে, এসো হে মুক্তি নিতে,
রাজারবাগের তাজদীদী ঘরে সাজ হে ইনছানীতে।
-শায়ের আলম, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জুলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০