ঐ দেখছি ধর্মব্যবসায়ী মোলভীরাই বড্ড হারামখোর,
তারা ধর্মের চেয়ে ধরার বেহেশ্ত উঁচুভাবে বহুতর।
হায়! ধর্মাদেশরে গর্তে দাফনে দেখায় বীরত্ব,
ধর্ম বিক্রি করিয়াও তারা দেখায় মহত্ব।
পাশ্চাত্যের বেদ্বীনি রেওয়াজে মোলবিও নেই থেমে,
কুরআন সুন্নাহ লঙ্ঘনে রহে জাগ্রত আর ঘুমে।
পহেলাই তারা চাবুক মারিছে মুসলমানের শিরে, পা
গড়ি, টুপি নামাইয়া হায় শিরকে করিছে নেরে।
ইহুদী ফ্যাশনে দাড়িও কামায় ইঙ্গ নমর ভাবে,
এই বাংলাদেশী মুসলমানেরে উহাতে রাখিছে তাবে।
দেখ কোনা কাটা ঐ হিন্দুয়ানীর পাঞ্জাবী-পায়জামা,
কিস্তি টুপি ও সেরওয়ানী চেপে রহিয়াছে রমরমা।
মশাই সাজে নাগড়া পাংসু পরিয়া যে মোলভী,
হরতাল আর লংমার্চ করে আদায় করিছে দাবি।
তারা মার্কি ইঙ্গর নক্শায় ফের করিছে নির্বাচন,
ঐ গণতন্ত্রের তছবীতে করে খ্রিস্ট আলীঙ্গন।
হায় ইহুদীর ন্যায় বদল করিতে চাহিতেছে ইসলাম,
চায় তৌরাত ন্যায় বিলীন করিতে কুরআনী পাক কালাম।
অর্থ ক্ষমতা দেব যে তোদের নারী দেব সুন্দরী,
অশেষ আয়েশ সম্মান আর বিলাস বহুল বাড়ি।
ঐ বোরকা চিড়িয়া নারীদের আন জনগণ ময়দানে,
হাফ প্যান্ট আর গেঞ্জি পড়ায়ে বনিতা বানাও টেনে।
তোদের মোদের লালসা পুরাও ক্ষণিকের ফুর্তিতে,
ইনাম তোদের জুটিবে বহুত রহিবে যে গর্বিতে।
সিনেমা, টিভি ও নাট্য ড্রামায় রহ যে জমজমাট,
শো-বিজ আর নাচ গানে গানে দ্বীন বাঁধ আটসাঁট।
ডিস এন্টিনা আর মদকে ডুবাও তরুণের জাগরণ,
অশ্লীলতার ভিসিপি-সিডিতে রাখ হে আকর্ষণ।
ইসলাম প্রচারের দোহাই দাও টিভির মিডিয়ারে,
ছবি জায়িয কও প্রগতি ধরায় সত্য মিটাবারে।
হায় কমবখ্ত সব মোলবিরাই ইহুদীরে বিশ্বাসে,
অতি লোভে তারা মাথা নত করে শয়তান দেখে হাসে।
আহ্! মুসলমানের দ্বীনিয়াতে তারা ছল করে বেশুমার,
আজ মু’মিনের সম্মান তারা করিতেছে সংহার।
হরতাল, লংমার্চ, ব্লাসফেমী আইন, ছবিও জায়িয কহে,
কহে দিল ঠিকতো সবই ঠিক জাহিরান কিছু নহে।
নামায, রোযা, হজ্জ ও যাকাত একত্বের কালিমায়,
আক্বীদা আমল নষ্ট রাখিছে তাগুতি বালাখানায়।
বেপর্দা নারী নেতা হতে পারে নগ্ন খেলাতে যের,
গোড়ামি নেইকো ইসলাম মাঝে উদারতা রহে ঢের।
ঐ গণতন্ত্রই শক্তির উৎস জ্ঞান পাপিদের বাত,
ঐ গণতন্ত্রেই শান্তি নিহীত কহিতেছে দিন-রাত। (নাউযুবিল্লাহ)
নষ্ট করিছে ঈদের নামায হারাম ওয়াক্তে পড়ে,
ফিতরাও হায় ভঙ্গে রাখিল কমতি হিসাব জুড়ে।
ফরজ রোযাও ধ্বংস করিল চন্দ্র হিসাব কষে,
‘নিউ মুন’ হতে নির্ণয় করে রাখিছে সর্বনাশে।
এভাবে যে হায় লক্ষ কোটি মু’মিনী সওম ছালাত,
ওহাবী-খারিজী ধ্বংসে রাখিছে ইসলামী শাফাক্বাত।
লাত মানাতের মূর্তি সুভিছে রাজ পথ মোরে মোরে,
অপসংস্কৃতির দাবানল আজ সুশীল দিচ্ছে পুড়ে।
হেরি পরিবার আর ধর্ম কর্ম শিক্ষাঙ্গন জুড়ে, হায়
মুসলমানদের চাপিয়া ধরিছে তাগুতের খঞ্জরে।
উহ্! ফিরকাবাজির ঘুর্ণিঝড়ে ঈমান আক্বীদা উড়ে,
মুসলমানেরা দিশেহারা আজ অথৈ সাগরে পড়ে।
এই মুহূর্তে দিচ্ছে ডাক বঙ্গ পাহাড় চুড়ে,
গগন বিদারি হুঙ্কারে ঐ নিহারীকা উঠে নড়ে।
প্রগতি ধরার তমশা বক্ষে জ্বালিয়ে অনির্বাণ,
বীর মুজাদ্দিদ হলেন প্রকাশ শমসেরে সোভামান।
তিনি আল্লাহ দীপ্ত পুরুষ আসাদে মুস্তফা,
তিনি ফারুকের নাঙ্গা বাজুর হায়দারী তোহ্ফা।
তিনি খবরে খালিদ ঐ তারিকি তপ্ত কায়া,
তিনি কারবালার ইমামি শির দ্বীন ইসলামের হায়া।
ওরে অজ্ঞ কুলাঙ্গার ওহাবী খারিজী মওদুদী,
ভেবেছিলি তোরা মিথ্যা ছলেই রহিবি দ্বীনের হাদী।
সেই তরে তোরা বনিয়াছ ওরে ইহুদী লালসা মাদি,
ঐ মুজাদ্দিদের তাশরীফে তোর খসে পড়ে বজ্জাদি।
ঐ মুজাদ্দিদের তাজদীদে আজ বঙ্গ মুসলমান,
তোদের ঘৃণ্য লালসাভিযান করিতেছে অবসান।
মওদুদীদের বাতিল জানিয়া ঘৃণা করে জামাতীরে,
গোমরাহ জানিছে ওহাবী খারিজী বাংলা শ্যামল পাড়ে।
ঐ রাজারবাগের মুজাদ্দিদ তিনি বাতিলি ফতওয়াগুলি,
রব্বি অনলে একে একে তিনি সবটা দিলেন জ্বালি।
পুনরায় তিনি বিশ্ববাসীরে ইসলামী আনওয়ারে,
ঝলমল রাখে উজ্বলি মূলে সুন্নতি অভিসারে।
জামানার এই জাহিলি গগণে হাক্বীক্বী মুজাদ্দিদ,
সেই মুজাদ্দিদ আল্লাহর পথে স্বয়ং মাইয়্যূরিদ।
মারহাবা মারহাবা হে আখিরী যুগের নূর,
লাখো মারহাবা মারহাবা হে জাব্বারি মঞ্জুর।
–শায়েরে আলম, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০