বীর মুজাদ্দিদ! বীর মুজাদ্দিদ!! তাশরীফ লন রাজারবাগে,
ইসলামী দ্বীন জাগ্রত রেখে, সুন্নী আলোকে রন জেগে।
গগন ভুবনে দ্বীনি হিলাল,
উচ্চ শিখরে রাখে কামাল।
সয়লাব করে বাতিলি দম্ভ, কুওওয়তে রন বিত্তশাল,
দুশ্মনি দিলে শাবল গাঁথিয়া হলেন রব দুলাল।
নহে নহে বেসামাল,
তিনি খোদ বালাগাল।
ত্রাসাগারে রাখে তাগুতি তখ্ত সেই সে মুজাদ্দিদ,
খোদায়ী বর্ম ধারণ করিয়া ভাঙ্গেন জাহিলী সিঁদ।
ঐ তাঁহাকে আল্লাহ ভেজেন ধরায় করিয়া মহামানব,
তিনি যে শ্রেষ্ঠ সবারার তরে স্বয়ং হন আদব।
আজ পৃথিবীর চারিদিকে,
তাগুতি হিংস্র রহে ঢুকে।
মুনাফিক আর মুশ্রিক দিয়ে মলিন ধরণী বুক,
উলামায়ে ‘ছু’ তাদের কোলেই খুঁজিছে পরম সুখ।
গর্জে গগন ভূবন কাঁপায়ে আসে দূত আল্লাহর,
হিমাদ্রি শির দস্তে ধরিয়া হাঁক মারে জজ্বার।
নও প্রগতির নব খালিদ,
ঐ রাজারবাগের মুজাদ্দিদ।
বীর বাজু তাঁর প্রসারিত রহে সপ্ত আকাশ ভূমে,
তাগুতের কোন বাঁধায় তাঁহার তীব্রতা নাহি ঝিমে।
ক্ষিপ্র গতিতে রুখিছেন বীর, বিদ্য়াত-বেশরাগুলি,
উলামায়ে ‘ছু’র বিলাসী মহল তাঁর রোবে পরে ঢলি।
ইহুদী বক্ষে কাঁটা ফুটে,
খ্রিস্ট নমরা পরে লুটে।
ঐ নাহক্ব পাত্রে বৃষ্টির ন্যায় সত্যের বোম ফাটে,
উলামায়ে ‘ছু’র নাঙ্গা শির ভূতলে পরিছে কেটে।
এক মাহিনার সিয়ামের শেষে দেন খোদা বেহতর –
ঈদুল ফিতর,
সিয়ামে দিক্ষা লভিছে মু’মিন বান্দা যে আল্লাহর।
সেই সিয়ামের বোরাকে।
রাজারবাগের বীর বাহাদুর ছফর করেন দিকে দিকে,
তাগুতি তনুরে তাবা করে দিতে আসেন আরশ থেকে।
তাঁর তাশরীফে তমিশ্রু সব তড়িৎ রহিছে লুকে,
তিনি নব যুগে লন নব অভিযান ক্ষুব্ধ অগ্নি বুকে।
তিনি না টলেন তুফানি ঝরে,
বেসামালে কভু যান না উড়ে।
বিশ্বাস তাঁকে আশ্বাস দেয়, হন তিনি কাণ্ডারী,
আল্লাহর দ্বীন উড্ডিন তরে কুদ্রতে রণ জুরি।
জাগরণ তাঁর ঘন ঘনময় উম্মাদে নন টল মলে,
ফিকিরের ঐ সফেদ ফরাশে রহিছেন নও বলে।
আজ দুনিয়ার মানব দানব বর্বরে,
আহা গিরেই রহে র্না গাড়ে।
হায় প্রলয় লিলায় হিল্লোল খেলে প্রগতি প্রান্তরে,
ঐ মুজাদ্দিদ তিনি সিয়ামি চাবুকে সব দেন ঠিক করে।
ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক!! ঈদ মুবারক!!!
মহা মুজাদ্দিদ দুনিয়ার বুকে সত্য মিথ্যা করে ফরক।
মু’মিনের দিল ইলাহী ইশ্কে রাখে গরক,
আজ দুনিয়ায় তাগুত বাদিরা বনিয়াছে উজ্বক।
ঘুঁচান তিনি ভয়-ভীতি,
সত্য আবাদে রণ জ্যোতি।
দেখি বাংলায় হদছ কমিনী মাহিরা হারাম খায়,
ওদের কথায় রংঢং বেশী আওরতি আঙ্গিনায়।
পোশাক আশাকে হিন্দু সাজিয়া দাবিটি করে আলিম,
মুসলমানের ঈমান লুটিয়া বনিছে বড় জালিম।
বাংলা শয়তান শায়খ হামান দেশটারে জ্বেলে খায়,
বোমা মেরে তারা সোনার বাংলা সাগরে ডুবাতে চায়।
ঐ মৌলবাদীরাই জঙ্গি বনিয়া দাবি করে মুজাহিদ,
ইসলামী শাসন কায়িম করিতে চাহিছে কয় উমিদ।
নেপথ্যে তাহারা ইহুদীর থেকে টাকা লয় কাড়ি কাড়ি,
প্রকাশ্যে দরদি হইছে তাহারা দেখায় ঈমান্দারি।
শুন্ হারামখোর ঐ মৌলভীরাই, ইসলামী দুশমন,
দ্বীন ইসলামকে বিদায় করিতে, তাহারা লইছে পণ।
গান্ধি টুপি মাথায় চাপিয়া খাটো দাড়ি নেড়ে নেড়ে,
জাহান্নামি দাওয়াত দিচ্ছে তাহারা সভা ও সমিতি করে।
তাই রাজারবাগের মুজাদ্দিদ আ’যম ভয়াবহ দুর্দিনে,
মুসলমানরে বাঁচাবার তরে নেমে আসে ময়দানে।
সাথে রহে তাঁর আহাল-ইয়াল লাখো লাখো মুরীদান,
এইনা হেরিয়া লেজুর তুলিয়া পালাচ্ছে শয়তান।
কুরআন হাদীছ ইজমা ক্বিয়াস জাহির বাতিনি দিকে,
সেই রাজারবাগের সিলসিলা রহে মহিয়ান রৌশনকে।
-শায়েরে আলম, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০