চেয়ে দেখি আজ চারিদিকে হায় ভণ্ড আলিমে ভরা,
আলিম ডিগ্রি পুঞ্জি করিয়া জনমাঝে রাখে ডেরা।
এই ধর্মভীরুর স্বর্গ উদ্যান সোনার বাংলাদেশে,
ঐ ভণ্ডের দল করিছে দখল শতধা অক্টোপাসে।
নামায-কালাম পর্দা পুসিদা ও সত্য ন্যায়ের পথে,
এই বাংলাদেশের মুসলমানের হৃদয়ে রহিছে পুঁেত।
তাদের সহজ সরল ধর্ম প্রিয়তা নিত্য দিনের নথি,
প্রতি মু’মিনের আবাসালয়েই রহিছে কুরআন সাথী।
মাসয়ালা-মাসায়িল হাদীছী কিতাব ভক্তি ভরিয়া পঠে,
আর হালাল রুজির অন্বেষনেই ফসল ফলায় মাঠে।
নতুন ফসল আর ঈদ তেহারেই খুশিতে আসেনা ঘুম,
মীলাদ-ক্বিয়াম প্রতি বাড়ি বাড়ি আয়োজনে রহে ধুম।
ঐ সুদ-ঘূষ আর খুন খারাবী, হিংসা চোগলখুরী,
বেপর্দা-বেহায়া হারাম জানিছে আক্বীদা শুদ্ধ করি।
টেলিভিশন আর ছবি যে সবাই জানিছে ইহুদী রীতি,
ঈমান বাঁচাতে হুঁশিয়ার হয়ে রহিছে সুন্নাহ প্রতি।
এভাবেই চলে ইসলামী দেশ মোদের বাংলা ভূমি,
লক্ষ ওলীর আলোর পরশে বাংলা যে হয় দামী।
খোদার শত্রু ইহুদী-নাছারা মজুসি ও মুশরিক,
প্রগতি দোহাইয়ে দখল করিছে পৃথিবীর চারিদিক।
হায় মুসলিম হতে বাছিয়া তাহারা দোসর খুঁজিয়া লয়,
দেখি ঐ দোসরই শিয়া, কাদিয়ানী, ওহাবীরা নিশ্চয়।
হায় কাদিয়ানী দিয়ে কুঠার মারিছে খতমে নুবুওওয়তে,
শিয়াদের দ্বারা আঘাত করিছে সাহাবীর কাফিলাতে।
ঐ সুন্নী জামাত কাঁত করে দিতে ওহাবী যে হাতিয়ার,
খারিজী রাফিযী তাবলীগী জামাতী ইহুদীর দফাদার।
কাদিয়ানী শিয়া ও ওহাবীরে দিয়া ইহুদীরা জোরেশোরে,
মুসলমানের কোমর ভাঙ্গিতে আনবিক বোমা ছাড়ে।
আহা! লক্ষ লক্ষ মুসলমানের রক্তে রাঙায় ভূমি,
মুলকে মুসলিম দখল করিতে রহিছে না তারা দমি।
ইরাক, ইরান, তুর্কি, কুর্দি পাক আফগান সারা জাহান,
হায় দখল করিছে ইহুদী-নাছারা রাখিয়া যে জ্বালোয়ান।
অনুরূপ ঐ ইহুদী থাবাও বাংলা বুকেতে আসে,
সরল মু’মিনী ক্বালবী গহিনে আঁচড় কাটিয়া কসে।
আজ বাংলাদেশের মুসলিমী শান সেই সে থাবায় দোলে,
ঐ ইহুদী রেওয়াজ প্রবেশ করায় বাংলার গণ কোলে।
বাংলা জমিতে ধ্বসাইতে চায় ইসলামী শওকত,
তাই মুসলিম মুলে কৌশলে ঢালে বিষাক্ত শরবত।
ঐ হাল যামানার মহা মুজাদ্দিদ রাজারবাগ দরবারে,
নববী নক্শায়ে মারকাজ হেথা চমকিছে নূরে নূরে।
তিনি আজিকার প্রগতি বেহায়ার বক্ষে মারিয়া হুল,
ঐ প্রমাণ করেন বিজ্ঞ বয়ানে তাগুতি দরদ ভুল।
দুশমনে খোদা ইবলিশ সদা মানবেরে করে ক্ষতি,
ইবলিসী পোষ্য শিষ্যরা সবে সেই পথে রহে মাতি।
তাগুতি মতরে তাবা করে দিতে তিনি লন তাশরীফ,
ঐ ঘুচান যে তিনি রাজারবাগ হতে মুসলিমী তাকলীফ।
রাজারবাগের রাজ খানকায় সুন্নী মুকুটে বীর মহান,
তিনি মিথ্যারে পুড়ে সত্য প্রচারে নির্ভয়ে বেগবান।
আমি কবি বলি ইতিহাস খুলি রসূলী দর্শ পেতে,
ঐ রাজারবাগেই রোশনাই হয়ে রহিতেছে শওকতে।
ওহে মুসলিম হিমশিম ভুলে জাহিলের তাবে ছাড়,
আয়েশ ভীরুতা ত্যাগ করে আয় মুজাদ্দিদের দ্বার।
তিনি যে তোমায় দেখায়ে দিছেন ন্যায্য সকল চীজ,
দ্বীন ইসলামের লালাহি বালাগে রাখিয়া যে তাহ্ফীজ।
ওরে চিনিয়া লও রে মুজাদ্দিদের নকশাহি তরতীব,
তিনি নায়েবে রসূল মুক্তি উছূল সদা রন সঞ্জিব।
ফের আখিরী যুগের গণলোকে কহি করিয়া যে আহ্বান,
ঐ সত্য পথ ও নাজাতই রহে মুজাদ্দিদী ক্বরিবান।
তিনি মুজাদ্দিদ তাকলীদ তাঁর কুরআন হাদীছী প্রাণ,
ইজমা-ক্বিয়াসের তিনিই প্রতীক সদা রণ উচুঁয়ান।
ঐ উচ্চমানের শান শওকত আলবত রহে তাঁর,
গোটা দুনিয়ায় তার তাজদীদ হয় দ্বীনী আনছার।
তিনি ইহুদী লোলুপ হিংস্র থাবারে ছুড়িছেন কোহেকাফ,
নাদান ওহাবী কাদিয়ানী- শিয়া করজোড়ে চাহে মাফ।
ঐ মুজাদ্দিদের পদাঘাতে তারা কাচুমাচু করে কাঁদে,
হায় দূরে যেয়ে তারা তাগুতি তাছবীহ জপিতেছে উম্মাদে।
হে মুসলমানেরা চিনিয়া রাখ ঐ ভণ্ডের পায়তারা,
ধর্মকে তারা বিক্রি করিয়া ঈমান করিছে ন্যাড়া।
হারাম ছবিকে হালাল কহিয়া তুলিতেছে অহরহ,
টিভি মিডিয়ারে তবাররুক জেনে অনুষ্ঠানে আগ্রহ।
ঐ হাটহাজারীর মুফতে শফী ইহুদীর দালালিতে,
সে ইহুদীর দেয়া বখ্শিশ গ্রহে ছবি যে পত্রিকাতে।
দেখরে মু’মিন গমগীন ছেড়ে করে কি মৌলভীরা,
তারা মৌলভী নয়, মৌ-লোভী হয়, কুখ্যাত দ্বীন চোরা।
আহা নরপিচাশের হস্ত হতে যে বাঁচাতে মুসলমান,
আগাইয়া আসেন মুজাদ্দিদে আ’যম আল্লাহ পাকের দান।
–শায়েরে আলম, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০