আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩১

সংখ্যা: ১৪৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুজাদ্দিদে আ’যমের তাজদীদের ঐ হেলালী ঝান্ডা উড়ে,

ঐ গগন পবন পুলকিত করে আলীশান দ্বিনদারে।

বিশাল বহর লইয়া যে বীর দ্বীনের তরেই ছফর,

দ্বীন প্রচারেই মগ্ন যে রণ কভু না হন নিথর।

তাঁর আল-আওলাদ ফরযন্দ, আর সাথে আছে মুরীদান,

তিনি সত্য বাণীর স্নিগ্ধ পরশে জাগান যে ইনসান।

হয় লক্ষ বাঁধা ও ভ্রক্ষেপ ছেড়ে, ছফর যে দুর্বার,

ভয় পেয়ে যায় ইহুদী ওহাবী হয়ে রহে ছনছার।

হায় শয়তানী দল বিফলে রহিয়া কাতরায় মহাবানে,

ঠাই নেয় তারা সমাজ ছাড়িয়া দৌড়ায় চিতা পানে।

ওহাবী-খাহেশ পুরাবার তরে খারিজী ও তাবলীগী,

আপনারে তারা উজার করিছে তাগুতি লোকমা ভুগী।

হায় ইলম আমল আক্বীদার মাঝে কুফরীর বীজ ঢালে,

কল্পিত ঋষি মহিয়সী হতে নাচে গায় সব খুলে।

ঐ ইহুদী ওহাবী জামাতী খারিজী তাবলীগী কামনা,

নিষ্ফল হয় প্রতি ক্ষনে ক্ষনে, হিংসায় রহে ধুনা।

মোদের ঐতিহাসিক সবুজের দেশ সোনার বাংলাদেশে,

ঐ রাজধানী ঢাকা রাজারবাগে যে মহা মুজাদ্দিদ আসে।

তাঁর তাজদীদে জামাতি জব্দ জাহানের জনমেলে,

তাঁর তাজদীদে খারিজী ওহাবী ইহুদীও রহে শূলে।

কি থেকে কি করে মুজাদ্দিদ ভয়ে কাঁপে ইবলিশ,

ঐ মুজাদ্দিদের দাপটেই বুঝি থাকিছে না তার হদিস।

তাই যে তাগুত বাছিয়া লইছে সাধুর মুখোশ খানি,

পীর মুজাহিদ মৌলভী সেজে টানিছে ধর্ম ঘানি।

জামাত, সমাজ, তাবলীগী আর পীরালী নামের আগে,

ইসলামী নাম যোজন করিয়া রহিছে ধূর্ত ভাগে।

হক্বের নামেই ঠক সমাবেশ করে যায় শয়তান,

আক্বীদা আমল ধ্বংশের ফাঁদে করে রাখে পিছুটান।

মহা মুজাদ্দিদ দু’হাজার পাঁচের পহেলা জুনের মাসে,

হক্ব তাজদীদ নিয়ে দাঁড়ান তিনি মজলুমিনের পাশে।

সফর করেন খুলনা, যশোর, ঝালকাঠি, কুষ্টিয়া,

মদারিপুর আর বরিশাল হয়ে ঝিনাইদহ পৌছিয়া।

সগৌরবেই দ্বীনি মাহফিলে রৌনকে দেন ভরে,

হাজারো জনের মিলন মোহনা রহে সেথা বিস্তরে।

সুন্নাহ আলোকে আলোয়ান করে সেই সে মুজাদ্দিদ,

খ্যাতিমান সব বিজ্ঞ আলিম তাহারা হয় মুরীদ।

মেজর মন্ত্রী জর্জ ব্যরিস্টার আরো যে শিল্পপতি,

কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিকও ছোহবতে লয় গতি।

ঐ দুর্ধর্ষ আর সন্ত্রাসীজনও তার নূরে ইছলাহ্,

শ্রমিক কৃষক মেহনতি সব পাইছে পায় পানাহ্।

কারামত এক হইল প্রকাশ এবার সফর মাঝে,

স্মরণীয় হয় হৃদয় দখলে সত্য পথের ভাঁজে।

আনছার ক্যাম্প ঝালকাঠি মাঝে ঈদে মীলাদের সভা,

তৃষ্ণা কাতর কণ্ঠনালীরে সিক্তে রাখেন ভাবা।

ঐ রাজারবাগের মুজাদ্দিদের আগমণ যবে শুনে,

চৌদিক হতে সমাগম সেথা ভরপুর লোকারণে।

মেঘ বৃষ্টি নেই সেথা হায় দাবদাহে জ্বলে সবে,

দোয়া-মুনাজাত কতনা হইছে সব আশা রয় উবে।

আহা! ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রাণে দোলে,

কামনা করিছে পূণ্য জনের আগমনে যদি মিলে।

সেই সে আশায় চাহিয়া রহিছে ঝালকাঠি অধিবাসী,

অধীর আগ্রহে ব্যাকুল নয়নে কাঁদিতেছে দিবানিশি।

মুজাদ্দিদ আ’যম করুনা পরম যোশ বহে নিজ হৃদে,

বয়ানের শেষে তওবা করায়ে হাত তুলে আশা বেঁধে,

আয় পরোয়ার মালিকে জাহান বান্দা যে বেকারার।

হায় বৃষ্টি বিনেই কষ্টে রহিছে দয়া চাহি আপনার।

অমনি পবন দোলা দিয়ে উঠে মেঘ ডাকে গর গর,

মুহুর্তে বৃষ্টি বর্ষিত হয় ভিজে সবে বেহ্তর।

মুনাজাত শেষে মুজাদ্দিদ আযম মুচকি মুচকি হাসে,

তিনি ঐ হাসিরই নূরাণী ঝলক বৃষ্টিতে দেন পশে।

ঝালকাঠির ঐ পুরো জনমাঝে পরে যায় আলোড়ন,

রাজারবাগের শাহান শাহ্ পীর অলি বড় একজন।

ঝালকাঠি সহ সব স্থানেই বার বার ওহাবীরা,

বাঁধা দিতে যেয়ে হয় পরাজিত বনিছে হতচ্ছারা।

এবারের শেষ সফর হলো যে ঝিনাইদহের বুকে,

মুজাদ্দিদ তিনি অবস্থান নেন সুইট হোটেলের বাঁকে।

ঐ খারিজী গং ওহাবী বিদয়াতী চর্ম বিহীন পীর,

মুজাদ্দিদের ছফর রোধিতে হয়ে উঠে অস্থির।

তারা ঝিনাইদহের থানা মসজিদে কুটচালে মেতে রয়,

আওয়াম জনতা ক্ষেপাবার তরে ভনিতা সাজিয়া কয়।

ঐ খোদার মদদে মুজাদ্দিদের প্রবল রোবের চাপে,

দেখি চর্মবিহীন ইহুদী গংরা চুপসে উঠিল কেঁপে।

তারা র‌্যাব পুলিশের কদম ধরিয়া ক্ষমা চাহে বার বার,

নাকে খত দিয়ে চুপ হয়ে যায় ধিক্ গ্রহে এলাকার।

সেই সত্য মুজাদ্দিদ রাজারবাগের তাজদীদী মহাপালে,

ঐ বিজয়ী পবন প্রবল প্রবাহে তাগুত যে ধ্বংসীলে।

-শায়েরে আলম, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬

 আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০