হায়রে হায় মালউন প্রেমী নামধারী মৌলভী,
দু’দিনের এই জিন্দেগী ভবে দম্ভের কর দাবী।
কবর-হাশর জাহান্নামের ওয়াজ যে করিয়া ফের,
মালউন পদে কুর্নিশ করে ঠিক রাখ লক্ষ্যের।
ভুলে গেলি তোরা পরকালের ঐ শক্ত আযাবী কথা,
ভুলে যাস্ ঐ রসূলে পাক-এর নির্মল হুকুমতা।
ঐ দুষ্টলোকের মিষ্টচারিতে গ্রহিয়া প্রশিক্ষণ,
জন আঞ্জামে তাগুদি ক্বদমে রয়েছিস বন্ধন।
অদ্য দুনিয়া শাসনের তরে সত্য করিস বিদা,
ইহুদির কোলে আশ্রয়ী বলে নিত্যই রহ সদা।
পৃথিবী নামক গ্রহ বুক হতে শান্তিরে তাড়াবার,
তোরা যে ওহাবী ইহুদী ক্বদমে রয়েছিস আহ্কার।
ঐ অন্ধ ঘরের বদ্ধ মেঝেতে মৌজে বন্দি হইস,
তাগুদি মঞ্চে নৃত্যের ঘোরে বন্দনা দিয়ে রইস।
শুনরে, নব জীবনের কেতনী লব্ধ মুজাদ্দিদের হাতে,
ঐ ঊর্ধ্ব আরশের মহান সুর্য আগমন ধরণীতে।
তামাম দুনিয়া ঘিরিয়া রহিছে সেই সে সুরুজ খান,
ঐ দ্বীন ইসলামের সব ক’টি দ্বার রাখিছে দরমিয়ান।
সেই রাজারবাগ শরীফের মুর্শিদ তিনি, আলোকিত উল্কা,
ঐ লক্ষ্য সূর্য নিষ্প্রভ সেথা গতি রহে ঝলকা।
রাজারবাগ শরীফের মহিয়সী শায়খ পীর রসূলে পাক-এর খাস্,
তাঁহার দাপটে কাঁপে থর থর বিতাড়িত খন্নাস।
তাঁর তাজদীদে তাগুতি দাওয়াত আলবত রুখে দেয়,
ঐ তাঁর হাজিরানে ইহুদি মগজ অগ্নি লাভাতে রয়।
ইহুদি গোলাম ওলামায়ে ‘ছূ’ উহা দেখে বিস্ময়,
কি হতে সব কিইবা হলো ভাবনাতে পড়ে রয়।
বর্তমানের দেয়াল লিখনি সাহসী ভূমিকা নিয়ে,
ওলামায়ে ‘ছূ’র মুখোশ খুলিছে জনতার মাঝে রয়ে।
ঐ দেশময় জুড়ে দেয়ালে দেয়ালে বড় বড় অক্ষরে,
আল বাইয়্যিনাত, আল ইহসান নামেই কাজটি করে।
আল বাইয়্যিনাত, আল ইহসানের প্রতিষ্ঠাতাই যিনি,
রাজারবাগ শরীফের মহান মুজাদ্দিদ তিনি যে সুন্নাহ মনি।
দেয়াল লিখনি পড়িয়া আওয়াম রহিল না আর বোকা,
হায়রে হায় বেকায়দায় রয় ওলামায়ে ছূর ধোঁকা।
স্কুল কলেজ ছাত্র শিক্ষক ব্যবসায়ী আর কৃষক,
ধর্ম ব্যবসায়ী মৌলভীদের জানিয়া রাখিল ঠক।
হক্বানী আলিম দ্রুত চলে আসে মুজাদ্দিদের দ্বারে, না
মধারীদের তালাক মারিয়া খালিস তওবা করে।
টিভি সিনেমা ও রাজনীতিতে ইসলামী নাম দিয়ে,
জালিয়াতি করে ওলামায়ে ‘ছূ’ অধুনাযে নির্ভয়ে।
আল্লাহর দ্বীন ইসলামে তারা করিছে খবরদারি,
আপন স্বার্থে যা ইচ্ছা তাই করিছে ধর্মে জারি।
দুশমনে দ্বীন বাংলা ইহুদী, ওহাবী খারিজী হায়,
তারা অপপ্রচারেই লিপ্ত এবার টিভি ও পত্রিকায়
ঐ ধরায় জানায় মুজাদ্দিদের তাজদীদী ফতওয়া
এতেই জনতা জানিয়া ফেলিল ওলামায়ে ‘ছূ’রাই ভূয়া।
হায় বদনাম নামে সত্য প্রচারে, মুজাদ্দিদই ঠিক,
ঐ ধরা পড়ে যায় ওলামায়ে ‘ছূ’ ধিক পায় চৌদিক।
ওরে জেনে রাখ, রাজারবাগ শরীফের গাউসুল আ’যম পরম শক্তিধর,
বাতিলের সাথে আপোশ করে না হক্ব পথে ঊর্বর।
সত্য শাশ্বত সুন্নাহর তিনি ধরাতে জিন্দাকারী,
রসুলে পাক-এর আওলাদ তিনি মজবুতে উচ্চারি।
ঐ মুজাদ্দিদের তাজদীদে রন নিবেদিত পাকতন,
তাঁহার আহালবর্গ সহই সকলে দ্বীনিয়াতে অর্পণ।
অধুনা জাহিল ধরণীর বুকে আওরাতি কাফিলার,
হালটি ধরিয়া রাজারবাগ শরীফের আম্মা যে হুঁশিয়ার
তিনি যে হলেন- মুমিনাকাশের ধ্রুবতারা জাগুয়ার,
তাঁহার ছবকে শালিন আমল রহিতেছে মুমিনার।
ঐ উম্মাহাতুল মুমিনা তিনি সাইয়্যিদাতুন নিসা,
তিনি নারী সমাজের মুক্তি দিশারী সুন্নতি ফরমিশা।
ঐ ছাহিবজাদাই মুজাদ্দিদের, তিনি যে খোদার বাঘ,
সেই ওহাবী খারিজী তাঁর হুঙ্কারে বনিয়াছে বন ছাগ।
তিনি বহু কারামতে অধিকারী আর ন্যায়েতে বিচক্ষণ,
করেন সুন্নী শাসন কায়িম করিতে জনগায়ে বিচরণ।
ভাবি মুজাদ্দিদ, ইমামও তিনি, আউলিয়া মেহমান,
তিনি কুরআন সুন্নাহর মত ও পথেই আল্লাহর আরমান।
ঐ রাজারবাগ শরীফের মুজাদ্দিদের কন্যা যে দুইজন,
মহিয়সী তাঁরা ইসলামী দ্বীনে সর্বদা রওশন।
ঐ সাইয়্যিদাদ্বয় চন্দ্র সূর্য ইসলামী আকাশের,
দিশাহারা ঐ নারীদের তাঁরা দেখালেন সত্যের।
বেপর্দা আর বেহায়া ঠেকান কঠিন শক্ত হাতে,
সকল মুমিনা আস্থা যে পান তাঁহাদের ছোহবতে।
ঐ মহান মুজাদ্দিদ পাক পাঞ্জাতন নকশায়ে মদীনা,
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের তিনি হন ছামিয়ানা।
-শায়েরে আলম, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬